পরিবেশ ও প্রকৃতি

  • জিএম শস্য : কী, কেন, কীভাবে

    বিগত চল্লিশ বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। কিন্তু আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বেড়েছে সামান্যই। এরপরেও আমরা,রাজনৈতিক কারণ ছাড়া, পৃথিবীতে বড়সড় কোনো খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হই নি। আসলে, উল্লেখ্য সময়কালে জনপ্রতি খাদ্যোৎপাদন প্রায় পঁচিশ শতাংশ বেড়েছে। জমির পরিমাণ যদি তেমন না-ই বেড়ে থাকে,তাহলে কীভাবে সম্ভব হলো এই চমৎকার? ফসল উৎপাদনের দারুণ বৃদ্ধির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে…

  • প্রাণিজগতে বিচ্ছেদ 

    আমরা সবাই-ই মিলনের আস্বাদ উপভোগ করতে চাই। কেউই বিচ্ছেদের তিক্ত অনুভূতির অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে চাই না। কিন্তু প্রকৃতি আমাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার ব্যাপারে উদাসীন। মিলন যেমন স্বাভাবিক ঘটনা, তেমনি বিচ্ছেদ। এসব কথা কেবল মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তা নয়। অন্যান্য প্রাণীকুলের ক্ষেত্রেও তাই। পেঙ্গুইন, বীভার কিংবা সমুদ্র ঘোড়া এরা সবাই-ই একটা সময় ইতি টানে সুদীর্ঘ সময়ের…

  • নিমর‍্যাভিড

    আজ থেকে চল্লিশ মিলিয়ন বছর আগের কথা। আমাদের চেনা পৃথিবী তখন ইওসিনের মধ্যভাগে। পৃথিবীর উষ্ণ আর ভেজা জলবায়ু ক্রমশ শীতল আর শুষ্ক হয়ে উঠছে। সবুজ সবল গাছে ছেয়ে যাওয়া বন-জঙ্গল ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছিল ঝোপ-ঝাড় আর খোলা তৃণভূমিতে। সে সময় উত্তর আমেরিকা আর এশিয়ায় দাবড়িয়ে বেড়াত একদল মাংসাশী প্রাণী। আমেরিকান জীবাশ্মবিদ এডওয়ার্ড ড্রিংকার কোপ এদের…

  • খরগোশ কি চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে?

    খরগোশ ল্যাগোমর্ফা বর্গের লেপোরিডি গোত্রের একটা তৃণভোজী প্রাণী। এদের দুটো ভাগ আছে- হেয়ার (Hare) এবং র‍্যাবিট (Rabbit)। আমরা অনেকেই প্রায়শই এই দুই দলকে এক করে ফেলি। কিন্তু তাদের মধ্যে আছে বিস্তর ফারাক। র‍্যাবিটদের দেহের গড়ন অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের হয়। কান জোড়াও হেয়ার’দের তুলনায় ছোট ছোট। জন্মলগ্নে র‍্যাবিট শাবক’দের দেহে কোনরকম পশম থাকে না। চোখ জোড়া…

  • আবৃতবীজী উদ্ভিদেরা কি করে পৃথিবী জয় করল?

    সবীজ উদ্ভিদের দু’রকম ভাগ আছে। নগ্নবীজী এবং আবৃতবীজী। আবৃতবীজী উদ্ভিদদের বীজটা ফলের ভেতর আবৃত অবস্থায় থাকে। তাই এদের এমন নামকরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে নগ্নবীজী উদ্ভিদদের বীজ একপ্রকার বীজ ধারক পত্রে খোলা অবস্থায় থাকে, তাই এদের নগ্নবীজী ডাকা হয়। আসলে নগ্নবীজীদের ফুল থেকে কোনরকম ফল সৃষ্টি হয় না। তার কারণ এদের ফুলে গর্ভাশয় থাকে না। তাই…

  • ঘাতক বেজির দল

    নেউলে বা বেজি হল ঝোপ-ঝাড়ে ঘুরে বেড়ানো একটা শ্বাপদ স্তন্যপায়ী প্রাণী। গ্রামে কিংবা শহরে ঝোপ-জঙ্গলে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে যেতে দেখা যায় এদের। কিংবা দেখা যায় কিং কোবরা সাপের মাথাটা কামড়ে ধরে আছে। পৃথিবীতে তিন ডজন এর কাছাকাছি সংখ্যক প্রজাতির বেজি আছে। এর মধ্যে আছে চৌদ্দটা গণের তেত্রিশটা নেউলে প্রজাতি। সবচাইতে চেনা হচ্ছে হারপেস্টেস গণের দশটা…

  • প্রাণীদের অন্তর্জাল

    প্রতি বছরই শীতের শুরুতে সুনামগঞ্জের  টাঙ্গুয়ার হাওর, কক্সবাজারের সোনাদিয়া কিংবা নিঝুম দ্বীপে অতিথি পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়। ঢাকার কাছাকাছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়েও অতিথি পাখিদের মেলা উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। এসব পাখিদের বেশির ভাগই আসে উত্তর মঙ্গোলিয়া, তিব্বতের একটি অংশ, চীনের কিছু অঞ্চল, রাশিয়া ও সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে। শুধু মাত্র আমাদের দেশেই যে পরিযায়ী…

  • ভূমিকম্পের বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ

    “ভূমিকম্প” এক মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম। তুরষ্কের ঘটে যাওয়া বিশাল ভূমিকম্পের পর এই শব্দটা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, ভূমিকম্প কেন হয়? কীভাবে এর মাত্রা পরিমাপ করা হয়? আর আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে এই দূুর্যোগের ঝু৺কি কতটুকু? এই সব প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর জানবো আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে। এই ব্লগটা মূলত শিক্ষার্থীদের…

  • লাইফ দ্যাট গ্লো’জ : জীবজগতে আলোকসজ্জার সন্ধানে

    গরমের দিনে ঝোঁপ-ঝাঁড়ে টিম টিম করে জ্বলে এক বিশেষ আলো। আমাদের অনেকেরই দেখা-অনেকেরই চেনা,এই আলো জোনাকির। জোনাকির আলো দেখে আমাদের ভালো লাগে; যখন শয়ে শয়ে জোনাকি একসাথে আলো জ্বালে (যদিও এই দৃশ্য গ্রামাঞ্চল ছাড়া শহরে দেখা প্রায় অসম্ভব) তখন যেন মনে হয় আকাশের তারাগুলোই নেমে এসেছে জংলায়। জানেন কি, এই আলো মূলত জোনাকির সঙ্গী-নির্বাচন প্রক্রিয়া?…