ভাইরাস শব্দটি মূলত আক্রমনাত্মক এবং সংক্রামক স্বভাবেই বেশি পরিচিত। খালি চোখে দেখতে না পাওয়া এই জীবতত্ত্বিক রসায়ন অসংখ্য মৃত্যু এবং অসুস্থতার সাথে জড়িত। একটি ক্ষতিকর ভাইরাস মহামারীর মত প্রতিবেশি, শহর, এমনকি কোন ভৌগলিক এলাকাকে নিদারুণ উদ্ভট আতংকে ফেলতে পারে৷ যার প্রমাণ আমরা এই করোনার কারণে ভালোই উপলব্ধি করতে পারছি৷ আর এই খালি চোখে অদৃশ্য ভাইরাস পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই বিদ্যমান। এরা ছত্রাক, উদ্ভিদ, প্রাণী এবং মানুষকেও সংক্রামিত করতে পারে৷ তবে, সব ভাইরাসই খারাপ নয়৷ কিছু ভাইরাস বিপদজনক ভাইরাসের বিপক্ষে কাজ করে ৷ কিছু মানব দেহের প্রোবায়োটিক-ব্যাকটেরিয়ার (যে ব্যাকটেরিয়া মানুষের উপকার করে) মতই প্রতিরক্ষা-ভাইরাস হিসাবেও কাজ করে। আসলে, আমরা তাদের সম্পর্কে যত বেশি জানছি, তাদের উপকারী দিকগুলি তত আবিষ্কার করতে পারছি। তারা আমাদের এমনভাবেই উপকার করছে যে প্রথমে আমরা বুঝতেই পারি না এবং একই সাথে কিছু ভবিষ্যতের ইতিবাচক সম্ভবনাও তৈরী করছে।

অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার ব্যর্থতায় ভাইরাস

ধরেন, আপনি হৃদপিন্ডের সংক্রামণে ভুগছেন যা ওষুধে কাজ করছে না৷ একজন ৭৬ বছর বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে এই দুঃস্বপ্নই আবার বাস্তবতা। হৃদপিন্ডের মহাধমনীর স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ স্ফীতের (অ্যাওর্টিক এনিউরিজম) কারণে যখন অস্ত্রপচার করা লাগে তখন অনেকক্ষেত্রেই প্রধান রক্তনালীতে বিপজ্জনক Pseudomonas aeruginosa ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন হয়ে থাকে। পরবর্তীতে, এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে ধীরে ধীরে রেসিসট্যান্স হতে থাকে এমনকি অধিক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলেও আর কাজ করে না। এটি এতই খারাপ দিকে যায় যে এর পচনশীল সংক্রামনে রোগীর বুকে বড় গর্ত হতে থাকে। এর ফলে মহাধমনীর ক্ষয় হতে থাকে এবং অস্ত্রপচার আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়ায়। এরকম একটা ঘটনাতেই আশাহত ভাবেই রোগীর সম্মতি এবং ডাক্তারদের পরীক্ষামূলক একটি চিকিৎসার চেষ্ঠা করা হয়েছিলো যার নাম “ফেজ থেরাপী”। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ডাক্তারেরা অ্যান্টিবায়োটিক এবং কানেক্টিকাটের জলাধার থেকে প্রাপ্ত প্রায় একশ মিলিয়ন ভাইরাস (OMKO1) একত্রে রোগীর দেহে পুশ করেন। ধারণা করা হয়েছিলো ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার “ইফ্লাক্স পাম্প” কেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে৷ যে পাম্প ব্যাকটেরিয়াকে তার দেহ থেকে অ্যান্টিবায়োটিক বের করে “অ্যান্টিবায়োটিক-রেসিসট্যান্সিতে” সাহায্য করে। অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে OMKO1 ভাইরাসের অণুপ্রবেশের ফলে ব্যাকটেরিয়া এই “পাম্প” অপসারণের মাধ্যমে ভাইরাসের প্রতি রেসিসট্যান্স হওয়ার গুণাবলি অর্জন করলেও একই সাথে পুনরায় অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পরে৷ ২০১৮ সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ পল টার্নার তার এই ঘটনা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এই ফেজ থেরাপির মাধ্যমে আরো ১৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ মূলত এটি অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও বেশি পুরাতন এবং আলেক্সান্ডারের পেনিসিলিন আবিষ্কারের পূর্বে পশ্চিমাদের কাছে আকর্ষণীয় ছিলো৷

টার্নার বলেছিলেন- “কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের চেয়ে ভাইরাসগুলি আরও কার্যকর হতে পারে কারণ তারা “স্ব-পরিবর্ধক ওষুধ” হিসাবে কাজ করতে পারে।”

ভাইরাস সংক্রামণের উপকারীতা:

ভাইরাসের কিছু বিষ্ময়কর অবদানও রয়েছে, যা শুনতে রীতিমত বেশ অবাক মনে হতে পারে৷ যেমন: অল্পবয়সীদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঠিক ভাবে বিকাশ হবার জন্যেও ভাইরাস সংক্রামণ দরকার ৷ এছাড়া অন্যান্য সংক্রমণের প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও সিস্টেমিক ভাইরাস দ্বারা মানবদেহের পর্যাপ্ত পর্যায়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে৷ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি ভাইরাস অন্যান্য ক্ষতিকর ভাইরাস থেকে প্রতিরক্ষা দিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ: গো-বসন্ত ভাইরাস, যা গুটিবসন্ত রোগ থেকে বাঁচাতে ভ্যাক্সিন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অন্য উদাহরণ হিসাবে, উপসর্গবিহীন সুপ্ত হার্পিস ভাইরাসের কথা বলা যেতে পারে৷ এ ভাইরাসটি মানুষের রোগ প্রতিরোধী-NK কোষকে ক্যানসারে কোষ ও অন্য ভাইরাসের সংক্রামণকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করে৷ এভাবে ভাইরাসটি পোষকের দেহে দীর্ঘদিন অবস্থান করে এবং একই সাথে অন্য প্রতিযোগী ভাইরাসের আক্রমণ হতে পোষককে রক্ষা করে৷ পরবর্তীতে এ ধরণের ভাইরাসকে ব্যবহার করে ক্যান্সারের চিকিৎসাতে ব্যবহার করা হয়৷
আবার, Pegivirus C কিংবা GBV-C ভাইরাস মানুষের রোগের উপসর্গ তৈরী করে না৷ বরং অনেকগুলি গবেষণায় দেখা যায়, এইডস রোগীর দেহে এ ধরনের ভাইরাস থাকলে সে রোগী তূলনামূলক ভাবে বেশি দিন বাঁচে৷ এরা পোষক কোষের রিসেপ্টরের সাথে নিজে সংযুক্ত হয়ে (এতে HIV ভাইরাস সংযুক্ত হতে পারে না) এইডস রোগের অগ্রগতিকে ধীর করে দেয়৷ একই সাথে রোগ প্রতিরোধী ইন্টারফেরন ও সাইটোকাইন তৈরীতে সহায়তা করে৷ ভাইরাস শুধুই যে মানুষের উপকার করে এমন নয়৷ একটি পরীক্ষায় দেখা যায়, ইদুরের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করানো হলে ইদুরের অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলি মারা যায়৷ একই সাথে ইদুরের অন্ত্রের সংক্রামনেরও একটি শংকা তৈরী হয়৷ কিন্তু, উপকারী ব্যাকটেরিয়ার অনুপস্থিতে নরোভাইরাস  ইদুরকে সংক্রামনের হাত থেকে রক্ষা করে৷

এছাড়া, ‘ব্যাকটেরিওফায’ নামক  ভাইরাস যা পরিপাক, শ্বাসযন্ত্র এবং প্রজনন তন্ত্রের মিউকাস ঝিল্লির আস্তরণের মধ্যে পাওয়া যায়। এটি কিছু ব্যাকটেরিয়াকে আক্রামন ও ধ্বংস করে৷ মিউকাস অনেকটা পুরু জেলীর মত পদার্থ যাতে এই ফায ভাইরাস থাকায় এটি এর নিচের কোষকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন থেকে রক্ষা করে৷ বর্তমানের গবেষণাতে দেখা যায়, এই ফায ভাইরাস আমাদের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থারই একটি অংশ। এ ফায ভাইরাসকে জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্টভাবে কোন ব্যাকটেরিয়ার  বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়। এজন্য চিকিৎসার পূর্বে রোগীর আক্রান্ত স্থান থেকে নমুনা নিয়ে বংশবিস্তারের মাধ্যমে সে ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেইনকে ল্যাবে শনাক্ত এবং থেরাপিউটিক ফাযের বিরুদ্ধে পরীক্ষা করে ব্যবহার করা হয়। 

পরবর্তী প্রজন্মের ড্রাগ হিসাবে ভাইরাস

ভাইরাস সম্পর্কে একটি মজার তথ্য হলো, অপটোজেনেটিক্স (নিউরনকে আলো দ্বারা নিয়ন্ত্রণ) পদ্ধতিতে মানুষের মন কিভাবে কাজ করে ভাইরাসের মাধ্যমে সেটাও জানা যায়। বিষয়টা চাঞ্চল্যকর বটেই৷ সবুজ শৈবাল (অ্যালজি) থেকে প্রাপ্ত “আলোক-সংবেদী কোষ-রিসেপ্টার” দ্বারা ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন করা হয়৷ এরপর এ ভাইরাস ব্রেইনে অনুপ্রবেশ করানো হলে এরা নির্দিষ্ট কিছু নিউরনের DNA-এর পরিবর্তন ঘটায়, যার ফলে নিউরনের কোষ গুলোতে নীল আলো জ্বলা কিংবা নেভার ঝলকানি দেখা যায়। এই ঝলকানি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে স্নায়ুবিজ্ঞানীরা কীভাবে মানুষের হতাশা এবং আসক্তির মতো জিনিসগুলি মস্তিষ্কে আবদ্ধ হয়ে যায় সে সম্পর্কে নতুন তত্ত্ব তৈরি করেছেন। তবে কি আসলেই পরবর্তী প্রজন্মের ড্রাগ হচ্ছে এই ভাইরাস?
কিছু বিজ্ঞানী অনকোলাইটিক ভাইরাস দ্বারা ক্যানসার নিরাময়েও চেষ্ঠা করেন। দেখা যায়, ভাইরাস দ্বারা খুব সহজেই টিউমারকে বিনাশ করা যায়। তবে এটা সত্য যে, ল্যাবের পরীক্ষায় সফলতা লাভ করলেও একে ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা অনেকটা বাঘকে প্রশিক্ষণ দেবার মত।

গবেষক টার্নার এটাকে তামাশা করে ব্যাখ্যা করেছিলেন এভাবে যে, “তুমি একটি ভাইরাসকে বুফের টেবিলে বসিয়ে বলছো তোমাকে শুধু সালাদই খেতে হবে৷ যার পাশেই লোভনীয় স্টেক (মাংসের ফালি) সাজানো রয়েছে। এখানে স্টেক হলো – সুস্থ কোষ গুলো আর সালাদ হলো- টিউমার কোষ গুলো৷

আর, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রোসম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের মাইক্রোবায়োলজিস্ট  কেন-ক্যাডওয়েল ভাইরাস সম্পর্কে একটি সুন্দর উক্তি দিয়েছিলেন। তার মতে- “ভাইরাসেরা মূলত অতি ক্ষুদ্র রোবট, যারা শুধু তাদের বংশবিস্তার (অনুলিপি) করতে চেষ্ঠা করে। এতে পোষক অসুস্থ হোক কিংবা না হোক তাদের চেয়ে সেটা আমাদেরই মাথা ব্যথার বিষয়।”

বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় ভাইরাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে৷ ভাইরাসের মাধ্যমে কোষে DNA অনুপ্রবেশ করানো যায়, যা কিছু জিনগত রোগ সাড়াতে অবদান রাখে। যেমন: কিছু ভাইরাস হিমোফিলিয়ার (যা রক্ত জমাটে বাঁধার সৃষ্টি করে)  মত রোগ সাড়াতে সাহায্য করে৷

ভাইরাস সম্পর্কে অবাক করা কিছু তথ্য:

১. প্রাচীন রেট্রোভাইরাসগুলি সম্ভবত আমাদের ডিম না দেবার কারণ!
বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি ভাবে স্পষ্ট  না হলেও, ধারণা করা হয় “এন্ডোজেনাস রেট্রোভাইরাস” স্তন্যপায়ী প্রানীর প্ল্যাসেন্টার বিবর্তনে সহায়তা করে ৷ অতি সাধারণভাবে বলতে গেলে, কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে কোনও আদিম মানব পূর্বপুরুষে রেট্রোভাইরাসের সংযুক্তি থাকায় জিনগত সংকেতের পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে স্তন্যপায়ী প্রাণীরা জীবন্ত জন্মাতে সক্ষম হয়। প্লাসেন্টার গঠনের বিবর্তন বেশ জটিল একটি বিষয়। কিন্তু “মা এবং ভ্রূণের” সম্পর্কের মধ্যে গভীরভাবে নজর দিলে দেখা যায় এর সাথে “পোষক এবং পরজীবীর” বৈশিষ্ট্যের কিছুটা মিল রয়েছে৷ একারনেই বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন, মহিলারা ডিম দেওয়ার পরিবর্তে জীবিত বাচ্চাদের জন্ম দেওয়াতে প্রাচীন ভাইরাসের অবদান থাকতে পারে ৷

২.

আবার, আর্ক জিন (ARC Gene) মানুষের শেখার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ৷ এটি এক নিউরন থেকে জিনগত উপাদান অপর নিউরনে প্রেরণ করতে পারে। অদ্ভুতভাবে এ ধরণের বৈশিষ্ট্য ভাইরাসের মধ্যেও দেখা যায় ৷ তাই, গবেষকেরা মনে করেন- আমাদের সচেতন চিন্তা ভাবনা হয়ত প্রাচীন মতিষ্ক-ভাইরাসের জিনগত উপাদান থেকে অর্জন করছি৷


৩.

এছাড়া গবেষকেরা আরো দেখেন, কিছু নির্দিষ্ট ভাইরাস গাছপালাকে খরা সহনশীল করে তুলতে পারে এবং ভাইরাসের মাধ্যমে শীতল তাপমাত্রা সহনীয় উদ্ভিদও আবিষ্কৃত হয়েছে৷ এমন আবিষ্কারগুলি নিত্য প্রয়োজনীয় ফসলের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা তৈরী করবে সত্যি৷

গবেষক রুসিংক এর ভাষায় বলতে গেলে – “ভাইরাস সন্দেহাতীতভাবেই তার দেখা দুর্দান্ত জিনিস। তারা খুব অল্প জেনেটিক তথ্য দিয়ে আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে৷ সর্বদাই ভাইরাসের খারাপ গুণে বিরক্ত হয়ে এর ভাল দিক বের করতে পারাটা ছিলো তার কাছে উত্তেজনাপূর্ণ।”

হয়তো ভবিষ্যতে রুপান্তরিত বিভিন্ন ধরণের ভাইরাসই হবে আমাদের অস্ত্র ৷ কেননা, ভাইরাস মানব জিনোম, জিনগত রোগ এবং জিন থেরাপির উন্নতি নানা  বিষয়েও আমাদের আলো দেখাতে পারে৷ এটি লক্ষণীয় এবং একই সাথে মর্মান্তিক যে, এত ক্ষুদ্র কিছু আমাদের সমাজে এত বিষ্ময়কর পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে ভাইরাসগুলি যা কিছু করে সব অন্তর্নিহিত ক্ষতিকারক নয়। আসলেই ভাইরাস আমাদের কাছে এক নতুন সম্ভাবনাময়ী দ্বার।
হ্যাঁ, মহাবিশ্ব অবশ্যই একটি অদ্ভুত এবং রহস্যময় জায়গা।

তথ্যসূত্রঃ
——————–
১. https://www.discovermagazine.com/health/sometimes-viruses-can-be-good-for-your-health
২. https://www.sciencedaily.com/releases/2015/04/150430170750.htm
৩. https://www.sciencealert.com/not-all-viruses-are-bad-for-you-here-are-some-that-can-have-a-protective-effect
৪. https://listverse.com/2018/08/13/10-viruses-that-actually-help-humankind
৫.
https://www.vecteezy.com/vector-art/455915-human-body-and-bacteria

লেখাটি 220-বার পড়া হয়েছে।

ই-মেইলে গ্রাহক হয়ে যান

আপনার ই-মেইলে চলে যাবে নতুন প্রকাশিত লেখার খবর। দৈনিকের বদলে সাপ্তাহিক বা মাসিক ডাইজেস্ট হিসেবেও পরিবর্তন করতে পারেন সাবস্ক্রাইবের পর ।

Join 905 other subscribers