অনুবাদ
প্রকৃতির দুঃস্বপ্ন – মন-চোষক
একটা গুবরেপোকাকে জিন্দালাশ হতে দেখা বিস্ময়ের, বেদনারও। গুবরেপোকা সুক্ষ্ম জীব, স্বভাবটাও খাইখাই ধরনের। গুবরেপোকা তার জীবনে কয়েক হাজার এফিডপোকা সাবাড় করে ফেলে। শিকার খোঁজার জন্য গুবরেপোকা ওর এন্টেনা নাড়াচাড়া করে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ সনাক্ত করার জন্য। গাছেরা এফিডের মতো তৃণভোজি পতঙ্গ দিয়ে আক্রান্ত হলে এই রাসায়নিকগুলো নিঃসৃত করে। একবার এই রাসায়নিকের সন্ধান পেলে গুবরেপোকা এমন…
মস্তিষ্কে প্রাচীন ভাইরাসের নতুন কাজের সন্ধান
মানব জেনোমের মধ্যে থাকা ‘জিনেটিক জঞ্জাল’ ভাবা হয়েছিল যেসব রেট্রোভাইরাসের জেনোম, তারা আসলে গ্রাহক জেনোমে এসে নতুন নতুন কাজের দায়িত্ব পেয়েছে; যেমন, একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে একধরনের রেট্রেভাইরাসের জেনোম মস্তিষ্ক গঠনে কাজ করে। মানবশরীরে বাস করা কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়ার কথা শুনে হয়তো শিহরিত হয়েছেন, কিন্তু এটা জেনে কী অবাক হবেন যে আমরা আসলে বহু বহু ভাইরাস দিয়েও তৈরি…
মাইটোকন্ড্রিয়ার একাল সেকাল
মাইটোকন্ড্রিয়া… জীবিত কোষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি অংগানু। মাইটোকন্ড্রিয়া কিভাবে এলো? এই বিষয়ে চমৎকার একটি তত্ব আছে, যাকে বলা হয় ‘এন্ডোসিম্বায়োটিক থিওরী’। কিভাবে এককালের স্বাধীন ব্যাক্টেরিয়া বহুকোষীর পরাধীন হলো সেইসব ব্যাপার নিয়ে এই থিওরী। ছোটবেলা থেকেই আমরা জেনে এসেছি- মাইটোকন্ড্রিয়া হচ্ছে কোষের পাওয়ারহাউস। কথাটি ভূল নয়, তবে আরো কিছু আনুষঙ্গীক ঘটনা-চক্রে এর গুরুত্বপূর্ন অংশগ্রহন আগ্রহীদের…
পরমাণুর আভ্যন্তরীন মহাবিশ্বে ভ্রমণ-১৯
অধ্যায়-৪ : নিউক্লিয়াস অনুচ্ছেদ-২: ধনাত্মক চার্জযুক্ত কণিকা নিউক্লিয়াস একটি পরমাণুর মোট ভরের শতকরা ৯৯.৯৪৫ ভাগ থেকে ৯৯.৯৭৫ ভাগ ধারন করে। এই কারনে নিউক্লিয়াস নিয়ে গবেষণা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, আপনি বলতে পারেন নিউক্লিয়াসই হলো আসলে পরমাণু। ঊনিশ শতকে পরমাণু সম্বন্ধে ভাবা হতো যে এর প্রায় সম্পূর্ণই ফাঁকা; কিংবা এর অভ্যন্তরভাব অত্যন্ত অকিঞ্চিৎকর ইলেক্ট্রন কণা/তরঙ্গ দিয়ে…
পরমাণুর আভ্যন্তরীন মহাবিশ্বে ভ্রমণ-১৮
অধ্যায়-৪ : নিউক্লিয়াসঅনুচ্ছেদ-১: পরমাণু অনুসন্ধান (২য় খন্ড) তিনি সহসাই উপলব্ধি করলেন যে, পটাশিয়াম ইউরেনাইল সালফেট হতে যে বিকিরণ উৎপন্ন হয় তার উৎস হচ্ছে এর মধ্যস্থিত ইউরেনিয়াম। কেননা ইউরেনিয়ামযুক্ত অন্যান্য যৌগসমূহও একই ধরনের বিকিরন দেয় এমনকি যারা ফ্লোরোসেন্স প্রদর্শন করে না তারাও। ১৮৯৮ সালে পোলিশ-ফরাসি পদার্থবিদ মেরি কুরি (Marie Curie, ১৮৬৭-১৯৩৪) দেখালেন যে অন্য আরেকটি ধাতু…
পরমাণুর আভ্যন্তরীন মহাবিশ্বে ভ্রমণ-১৭
অধ্যায়-৪ : নিউক্লিয়াসঅনুচ্ছেদ-১: পরমাণু অনুসন্ধান (১ম খন্ড) বিজ্ঞানীরা যখন সন্দেহ করতে শুরু করেছিলেন যে ইলেক্ট্রন পরমাণুর মধ্যেই অন্তুর্ভুক্ত থাকে তখন একটি সমস্যা দেখা দিল; ইলেক্ট্রন ঋনাত্মক চার্জ বহন করে কিন্তু পরমাণু মোটের উপর বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ। তার মানে ইলেক্ট্রনের ঋনাত্মক চার্জের সমপরিমাণ ধনাত্মক চার্জ পরমাণুর মধ্যে থাকতে হবে যা ইলেক্ট্রনের চার্জের সাথে মিলে মোটের উপর পরমাণুকে…
পরমাণুর আভ্যন্তরীন মহাবিশ্বে ভ্রমণ-১৬
অধ্যায়-৩ : ইলেক্ট্রনঅনুচ্ছেদ-৬: তরঙ্গ ও কণা যদি আলো কোয়ান্টাম হিসেবে বিরাজিত থাকে এবং যদি প্রতিটি কোয়ান্টাম স্থানের মধ্য দিয়ে পৃথকভাবে গতিপ্রাপ্ত হয় তাহলে কোয়ান্টাম একটি কণার মতোই আচরণ করে। সেই কারণে কোয়ান্টামকে কণাধর্মী একটি নামও প্রদান করা হয়। ইলেক্ট্রনের নামের সাথে মিল রেখে অধিকাংশ কণাই নামের শেষে ‘অন’ প্রাপ্ত হয় এবং এই বিবেচনায় ১৯২৮ সালে…
পরমাণুর আভ্যন্তরীন মহাবিশ্বে ভ্রমণ-১৫
অধ্যায়-৩ : ইলেক্ট্রনঅনুচ্ছেদ-৫: ইলেক্ট্রন এবং কোয়ান্টাম ১৯০২ সালে ফিলিপ লেনার্ড আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া নিয়ে গবেষনা করেন। তিনি দেখাতে সক্ষম হলেন যে বিভিন্ন ধাতু থেকে উৎসরিত ইলেক্ট্রনের ধর্ম সর্বদাই মিলে যায়। অন্য ভাবে বলা যায়, যদিও প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধরনের পরমাণু বিদ্যমান আছে কিন্তু তারা প্রত্যেকেই এক ধরনের ইলেক্ট্রনই ধারন করে। বিজ্ঞানীরা সর্বদা সরলতা পছন্দ করেন এটি বিবেচনা…
পরমাণুর আভ্যন্তরীন মহাবিশ্বে ভ্রমণ-১৪
অধ্যায়-৩ : ইলেক্ট্রনঅনুচ্ছেদ-৪: ইলেক্ট্রন এবং পরমাণু এটি পরিস্কার যে প্রাপ্ত তথ্য থেকে ইলেক্ট্রনকে ভরযুক্ত পদার্থ হিসেবে কল্পনা করা যায়। মনে করি, আমরা বিদ্যুতের প্রাথমিক অবস্থার গবেষনা নিয়ে চিন্তা করছি যখন আমরা দেখেছিলাম কাচদন্ডের সাথে অ্যাম্বারের ঘর্ষনের মাধ্যমে কিছুটা তড়িৎচার্জ উৎপন্ন হয়। এটি কি এই কারনে নয় যে ইলেক্ট্রন যে বস্তুকে ঘষা হয় সে বস্তু থেকে…