পরিবেশ ও প্রকৃতি
সুন্দরবন বাঁচাও
সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। বাংলাদেশের একটি অমূল্য সম্পদ যার কোন কিছুর বিনিময়েই কোন ক্ষতি করা যায় না। অথচ আজ সামান্য বিদ্যুতের কি অন্ধ মোহে আমরা ভুলতে বসেছি এর অবদানকে। বছরের পর বছর এটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঢাল হিসেবে কাজ করেছে। দেশের জন্য বারবার এনে দিয়েছে গৌরব ও সম্মান। ১৯৯২ সালের ২১ শে মে সুন্দরবন…
জাহাজভাঙা শিল্পঃ বিপন্ন পরিবেশ
জাহাজভাঙা শিল্প এমন একটি বিধ্বংসী শিল্প যা পরিবেশ ও মানুষের মারাত্নক ক্ষতিসাধন করে। বাংলাদেশে জাহাজভাঙা শিল্পের যাত্রা শুরু হয় মূলত ১৯৬০ সালে। সেই সময় ঝড়ের কবলে পড়ে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ‘এম ভি আলপাইন’ নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের উপকূলবর্তী এলাকায় আটকে পড়ে। কোনভাবেই এটিকে আবার সমুদ্রে ভাসানো সম্ভব হচ্ছিল না। মূলত ওই জাহাজটিকে সৈকতে টেনে…
এশিয়ান লেডিবার্ড পোকার বায়োটেররিজম
লেডিবার্ড বিটল কে তো আমরা সবাই চিনি। বাসার সামনের সবজী ক্ষেত বা কোন চাষাবাদের জমিতে গেলেই এসব উজ্জ্বল সুন্দর পোকাগুলির নড়াচড়া দেখতে পাবেন। ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকাদের খেয়ে লেডিবার্ড -রা আমাদের আসলে উপকারই করে বলা চলে। সেজন্যই, ৫০ থেকে ৬০ বছর আগে, এশিয়ান লেডিবার্ড বিটল (চীন এবং জাপান থেকে) নিয়ে আসা হয়েছিল ইউরোপে। কিন্তু…
‘দক্ষিণ এশিয়ার পানি সম্পদ: বিরোধ থেকে সহযোগিতা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অনুসন্ধিৎসু চক্র
সম্প্রতি (৪ ও ৫ জানুয়ারি, ২০১৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘দক্ষিণ এশিয়ার পানি সম্পদ: বিরোধ থেকে সহযোগিতা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এর মূল আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (বেন)। এই সম্মেলনের লক্ষ্য ছিলো- গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকার দেশ সমূহের পানি সম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রম, তার পেছনে কার্যকর মূল নীতি দর্শন…
অতিথি পোস্ট : আমেরিকা+এশিয়া=অ্যামাশিয়া
[লেখক পরিচিতি: তৌহিদ এলাহী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীববিজ্ঞানে পড়াশুনা করেছেন। কালের কন্ঠের বিজ্ঞান পাতা সন্ধানীতে লিখছেন। তার এই লেখাটি সন্ধানীতে প্রকাশিত হয়েছে গত ফেব্রুয়ারীর ২৮ তারিখ, ২০১২] আমাদের চেনা পৃথিবীর চেহারা সব সময় এক রকম ছিল না। ২০০ মিলিয়ন বছর আগে সব মহাদেশ একসঙ্গে লেগে ছিল, ভূতাত্তি্বকরা এর নাম দিয়েছেন প্যানাজিয়া। এই সুপার কন্টিনেন্ট টুকরো টুকরো…
গ্রীন হাউস ইফেক্ট: অজানা তথ্য
গ্রীনহাউজ ইফেক্ট সম্বন্ধে আমরা সবাই মোটামুটি জানি। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইড এর উপস্থিতি এর জন্য দায়ী সেটাও আমরা সবাই জানি। তবে যে বিষয়গুলো সবাই জানে না সেগুলো অবগত করাই আজকের লেখাটির উদ্দেশ্য। কার্বন-ডাইঅক্সাইড ছাড়াও গ্রীনহাউস ইফেক্টের জন্য দায়ী বেশ কিছু গ্যাস রয়েছে। এগুলো হচ্ছে মিথেন(১৯%), ক্লোরো-ফ্লোরো-কার্বন(১৭%), ওজোন(৮%), নাইট্রাস…