বিজ্ঞানীদের কথা
গণিতবিদ ময়ভার কি সত্যিই নিজের মৃত্যুদিবস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন?
আচ্ছা, তোমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে, “বলো তো, তুমি কবে মৃত্যুবরণ করবে?” – উত্তরে তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো বলবে, “এটা আবার কি রকম বিচিত্র প্রশ্ন!” আবার, কেউ কেউ ধার্মিক হয়ে বলবে যে, “সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউই মৃত্যুর দিন বলতে পারেনা, এমনকি ধারণাও করতে পারে না”। কিন্তু, এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যার সম্পর্কে প্রচলিত আছে…
যেমন গুরু তেমন শিষ্য
ভালো করে বাঁচবার আছে যত দিকবিজ্ঞান অবদানে হল মৌলিকসভ্যতা বিকাশের ধারাগুলো জোড়াআগাগোড়া বিজ্ঞান দিয়ে তা মোড়া বিজ্ঞান নিয়ে এমনই এক বাস্তব কবিতা রচনা করেছিলেন সাহিত্যিক আলী ইমাম। আমি তারই কয়েক পঙক্তিই উল্লেখ করলাম। যুগে যুগে সভ্যতার বিকাশে ও মানুষের জীবনকে সুন্দর ও আনন্দময় করতে বিজ্ঞান যে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে তা কমবয়সী বালকমাত্রও জানে। কিন্তু…
যেভাবে পদার্থবিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ ঘটেছে
আজকের পদার্থবিজ্ঞান বহু বছরের পরিক্রমায় শক্তিশালী এবং তথ্যবহুল হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে পুরাতন ইতিহাস, জ্ঞান সাধনা ও বিজ্ঞানীদের অবদান। আজকের প্রবন্ধে আমরা কীভাবে পদার্থবিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ ঘটেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত একটা ধারণা লাভ করতে চলেছি। তো, চলুন, শুরু করা যাক! প্রাচীন যুগ পদার্থবিজ্ঞানের পরিসর অনেক বড়। প্রাচীনকাল থেকে এ পর্যন্ত বহু জ্ঞান যুক্ত হয়েছে বিজ্ঞানের অন্যতম…
ডিএনএ এর দ্বিসূত্রাকার গঠন আবিষ্কারের নেপথ্যে রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন
১৯৫৩ সালের এপ্রিলে, নেচার জার্নালে ডিএনএ এর গঠন সম্বন্ধে তিনটা বেক-টু-বেক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রথমটি লেখেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিম ওয়াটসন এবং ফ্রান্সিস ক্রিক, যেটি ছিল মূলত ডিএনএ এর গঠন নিয়ে তাত্ত্বিক বিষয়ের উপরে লেখা। বাকী দুইটি তথ্যবহুল নিবন্ধের একটি লিখেন লন্ডনের কিংস কলেজের মরিস উইলকিন্স এবং তাঁর দুইজন সহকারী, অন্যটি লেখেন রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন এবং পিএচডি…
চার্লস ডারউইন’কে নিয়ে স্যার অ্যাটেনবরো’র ডকুমেন্টারি
অনুসন্ধানী মানুষ বোধ-বুদ্ধিপ্রাপ্তির শুরু থেকেই তার চারপাশের বৈচিত্র্যময় জীবজগতকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। কেমন করে এলো আকারে-প্রকারে-স্বভাবে-বর্ণে এতসব বৈচিত্র্যময় প্রাণী? ইতিহাসের বেশিরভাগ সময় জুড়েই এই প্রশ্ন মানুষকে গোলকধাঁধায় আচ্ছন্ন করে রেখেছিলো। একটা সময় পর্যন্ত মানুষের ধারণা ছিলো এই সব প্রাণী সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র,এদের মধ্যে দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই,নিজেদের রূপেই এরা সকলে সৃষ্টির আদি থেকে রয়েছে,এবং সেই…
সংবেদনশীল চুলের কোষের প্রতিবিম্ব বিন্যাসকরণ কীভাবে অন্তকর্ণে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে?
জ্যাকসন ল্যাবরেটরির একদল গবেষক সংবেদনশীল চুলের ত্বকের কোষ কীভাবে অন্তকর্ণে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা নিয়ে গবেষণা করেন । মার্ক ওয়ানার একটা চমকপ্রদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন এ বিষয় নিয়ে। শব্দ সংবেদনশীল চুলের কোষগুলো বিশেষায়িত মাধ্যমিক সংবেদনশীল যা শ্রবণশক্তি, ভারসাম্য, রৈখিক ত্বরণ এবং কৌণিক ত্বরণ (মাথা ঘোরানো) আমাদের ইন্দ্রিয়ের ভারসম্য রক্ষা করে। শব্দ এক কথায় বলতে গেলে একটা…
করোনা ভাইরাস আবিষ্কারের নেপথ্যের রাণী জুন আলমেইডার গল্প
কোভিড-১৯ একবিংশ শতাব্দীর এক কালো থাবা। পুরো বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে একটা জীবাণুর কাছে আমরা কতোটা অসহায়। কিন্তু ২০১৯ এ চীনের হুবেই প্রদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগে করোনা ভাইরাস ছিলো কীনা এ নিয়ে বিজ্ঞান মহলে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। করোনা ভাইরাস আবিষ্কারের নেপথ্যে কে ছিলেন তা…
সিকল কোষের রোগ কী নিরাময়যোগ্য ?
শেকলের বেড়িকে কোন মানুষ কিংবা প্রাণী সজ্ঞানে সহজে মেনে নিতে পারেনা। মানসিক জ্ঞান হারিয়ে না ফেললে কোন মানুষকেই শিকল বন্দি করে বেঁধে রাখা যায়না। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কেন অপ্রাসংগিক কথা তুললাম? রক্ত সংবহনতন্ত্রের তিন রক্ত কণিকার অন্যতম সদস্য লোহিত কণিকাগুলো যখন কাস্তের মতো বেঁকে পরস্পর নকশা করে থাকে এবং রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে তখনই…
বস্তিতে বেড়ে উঠা শালিনি’র বিজ্ঞানী হয়ে উঠার গল্প
(অনুবাদক: সম্প্রতি সায়েন্স-এ প্রকাশিত বিজ্ঞানী ড: শালিনি আরিয়া’র লেখা “I grew up in slums of India. Now I am a scientist.” পড়েছি। লেখাটি তরুণ গবেষকদের জন্য খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। এমনিতেই একজন মানুষের জন্য বিজ্ঞানী হওয়া অনেক কষ্টের। অনেক সাধ-স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেও অনেকেই বলতে বাধ্য হন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি। সেখানে এই মানুষ কত কষ্ট…