বিজ্ঞান বিনোদন
মস্তিষ্কে পর্ণ আসক্তির প্রভাব
পর্ণ! শব্দটা দেখে একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাননি তো? যতই ভ্রু কুঁচকে যাক কিংবা দ্বিধায় আড়ষ্ট হোন না কেন, সমগ্র আলোচনা হবে পর্ণ আসক্তি নিয়ে। দ্বিধায় পড়ে গেলেন? পড়বেন নাকি পড়বেন না- এটা ভাবছেন? আরে, আমি জানি প্রথমে ভাবলেন পড়বেন না। পরক্ষণেই ভাবলেন, দেখি তো কি লিখেছে নিবন্ধে। হা হা! এই যে কৌতুহলী হয়ে লেখাটা পড়া…
ইকো’র বেঁচে থাকার গল্প (বিজ্ঞান-গল্প)
এলিয়েন সম্পর্কে কোন একটা তথ্য দেখলেই আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে তা জানতে চাই৷ “এলিয়েন কোন গ্রহে আছে?” কিংবা, “কোথায় তার বসবাস?” “কি তাদের জীবনপ্রণালী?” এসবে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের যেমন কমতি নেই, আমাদেরও। কিন্তু, এখন আমি যদি বলি আপনি নিজেই এলিয়েন ! কথা না বাড়িয়ে আসুন তবে জেনে আসা যাক সেই “জীবের” সম্পর্কে। হতে পারে কারো দৃষ্টিকোণে…
আগামীর চিকিৎসার অস্ত্র: স্টেম সেল
অনেক সময় সায়েন্স ফিকশনের মুভিগুলিতে দেখা যায়- কিছু মানুষেরা সুনির্দিষ্ট ক্ষমতার (স্পেশাল পাওয়ার) অধিকারী থাকে৷ বাচ্চাদের অতি প্রিয় Ben-10 কার্টুনের কথায় যদি ধরি সেখানে নায়ক বেনের হাতের ঘড়ির কারণে সে চাইলেই কোন অ্যালিয়েনে রূপান্তরিত হতে পারে৷ আবার, টিন টাইটানস কার্টুনে দেখা যায় বিস্ট বালক (Beast boy) চাইলেই যে কোন প্রাণীর আকার ধারণ করতে পারে। Marvel…
মস্তিষ্ক যখন প্রেমের নাটের গুরু
প্রেমে পড়লে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। ব্যক্তি অন্য জগতে বিচরণ করতে থাকে। প্রেমে পড়লে ব্যাপারটা যতখানি না হৃদয়কেন্দ্রিক তার চেয়ে বেশি নির্ভরশীল মস্তিষ্কের কারসাজির উপরে। খাঁটি বাংলায় বলতে গেলে, প্রেমের ক্ষেত্রে নাটের গুরু হচ্ছে মস্তিষ্ক। একজন প্রেমিকের (বা প্রেমিকার) মস্তিষ্ক যখন কেউ প্রেমে পড়ে তখন দেহে হরমোন বা ভালো রকমের রাসায়নিক নিঃসরণের প্লাবন ঘটে। তাইতো…
বাস্তুতন্ত্রে অণুজীবের মিথস্ক্রিয়ার সম্পর্ক
অবিবাহিত তরুণ-যুবক বয়সের ঘনিষ্ট কোন বন্ধু বা ভাইয়ের কাছে আমাদের একটা সহজাত প্রশ্ন থাকে- “আপনি কি প্রেম করেন?” কিংবা, প্রেম বিষয়টা জানা থাকলে তখন প্রশ্নটি হয়- “প্রেমিকার সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন চলছে?“। বাসায় বাবা-মা-ভাই-বোনের কুশল জিজ্ঞেস করি। আবার, বিবাহিত কেউ হলেও জিজ্ঞাসা করি- “সংসার কেমন চলছে?” অর্থাৎ, ঘুরেফিরে আমরা সম্পর্ক সম্পর্কেই জানতে চাই৷ ইংরেজীতে একটি…
করোনার মধ্য দিয়েই কি mRNA ভ্যাক্সিনের বিপ্লব ঘটবে?
ভাইরাস এবং ভ্যাক্সিন এখন বলা যায় “ভয় এবং ভরসা” শব্দ দুইটির সাথে বেশি যায়। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আমরা বুঝতে পেরেছি ভাইরাস যতটা না সহজলভ্য, ভ্যাক্সিন ততটাই মূল্যবান আর কষ্টসাধ্য৷ পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারীর কারণেই গত কয়েক মাসে জনসাধারণ অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছে। যেমন: কোয়ারেন্টাইন বা সঙ্গনিরোধ, লকডাউন, মাস্ক বা মুখোশ পরিধান, সামাজিক দূরত্ব ইত্যাদি।…
ভাইরাস কি আসলেই আমাদের ভবিষ্যৎ-সম্ভাবনার দ্বার?
ভাইরাস শব্দটি মূলত আক্রমনাত্মক এবং সংক্রামক স্বভাবেই বেশি পরিচিত। খালি চোখে দেখতে না পাওয়া এই জীবতত্ত্বিক রসায়ন অসংখ্য মৃত্যু এবং অসুস্থতার সাথে জড়িত। একটি ক্ষতিকর ভাইরাস মহামারীর মত প্রতিবেশি, শহর, এমনকি কোন ভৌগলিক এলাকাকে নিদারুণ উদ্ভট আতংকে ফেলতে পারে৷ যার প্রমাণ আমরা এই করোনার কারণে ভালোই উপলব্ধি করতে পারছি৷ আর এই খালি চোখে অদৃশ্য ভাইরাস…
বিভিন্ন ভ্যাক্সিন নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
শুরুতে ছোট বেলার একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মনে হলো, তখন গ্রামে থাকতাম। সম্পর্কে দাদী হতেন, উনি স্বাস্থ্যসেবাতে কাজ করতো। তো আম্মা বলেছিলো সেই দাদী সবাইকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। কথাটা শুনে লোভে মনটা আকুপাকু করতে লাগল। পরে আম্মুর হাঁটার আগে আমি দৌঁড়ে দৌঁড়ে সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখি সেখানে আমার মতো অনেক কমবয়সীরা কান্না করছে। উনি আদর করত…
দাবা আবিষ্কারক ও করোনা (অনুজীবের) মহামারী!
উপরোক্ত টাইটেল দেখেই ঘাবড়ে যাবার কিছুই নেই। স্বভাবতই প্রথমে অনেকেরই মনে হবে, কি উদ্ভট কথাবার্তা। একটা হচ্ছে গণিত (নন-বায়োলজি) সম্পর্কিত আরেকটি হচ্ছে বায়োলজি। আমি করোনা (কিংবা যে সকল অণুজীব) যা কিনা ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায় তার সঙ্গে একটু দাবা আবিষ্কারকের ঘটনার সম্পৃক্ত করতে চাই। এর জন্যে প্রথমে আমাদের “দাবা-আবিষ্কারের” মজার ঘটানাটি জানা দরকার। দাবা আবিষ্কারের গল্পটা…