জীববিজ্ঞান

  • a person using a laptop

    রাতে জাগা খারাপ নাকি?

    ইউটিউবে “মর্নিং রুটিন” ঘরানার ভিডিওগুলো অনেক জনপ্রিয় যেখানে ক্রিয়েটররা দেখান যে সকালে উঠে তারা ব্যায়াম করেন, ধ্যান করেন, নাস্তা করে পড়তে বসেন, কাজে যান – অর্থাৎ তারা সকালটা কতো প্রোডাক্টিভভাবে কাটান – এ কারণেই তারা জীবনে (ইউটিউবে) এতো সফল। আমাদের সমাজে কম ঘুমিয়ে বেশি পরিশ্রম করাকে প্রশংসা করা হয়, হাসল কালচার (huscle culture) এর অংশ…

  • নব্যপৃথিবী সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের যত কাণ্ড!

    বিবর্তন তত্ত্বকে মিথ্যা প্রমাণ করতে অনেকেরই তো অনেক প্রয়াস দেখলেন, আজকে আমরা জানব ‘ইয়ং আর্থ ক্রিয়েশানিজম’ নামে এক অদ্ভুত প্রস্তাবনা নিয়ে। বাংলায় বলা যায়, ‘নব্য পৃথিবী সৃষ্টিতত্ত্ববাদ’। পুরো লেখায় ইয়ং আর্থ ক্রিয়েশানিজম-ই ব্যবহৃত হবে। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের আশীর্বাদে আমরা জানতে পেরেছি যে আমাদের মহাবিশ্ব প্রায় ১৩.৮  বিলিয়ন বছর আগে মহা বিস্ফোরণের ফলে আবির্ভূত হয়েছে। আর এই…

  • ডাইনোকথন

    এখন থেকে প্রায় ৫০ বছর পরের কথা। বাংলাদেশী কিছু বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে পৃথিবীর প্রথম টাইম মেশিন আবিষ্কার হয়েছে। কিছু পশু পাখির ওপর পরীক্ষা করে সফল হয়েছে এই প্রজেক্ট। তাই এখন তারা ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ এর চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিশাল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে হিউম্যান সাবজেক্ট এর জন্য। অফারটি লোভনীয়! তাই আপনি আবেদন করে ফেললেন। এর কিছুদিন পর…

  • স্টেম সেলঃ দেহের ম্যাজিক কোষ 

    আমি নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন আমাদের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক অলিপ স্যারের মুখ থেকে প্রথম ‘স্টেম সেল’ নামটা শুনি। তখন একে সাদাসিধে কোষই মনে করেছিলাম। পরে বুঝতে পারি যে এটা মোটেও অতটা সহজ-সরল নয়ঃ আর এই প্যাঁচাইলে মার্কা কোষের উপর ভিত্তি করেই আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি। স্টেম সেল নিয়ে ইতিমধ্যে বহু গবেষণাপত্র আর বই লেখা হয়ে গিয়েছে। সামনের…

  • ডোলোর সূত্র: হারানো বৈশিষ্ট্য কি বিবর্তনে ফেরত আসে?

    ডোলোর সূত্র বিবর্তন তত্ত্বের জৈবিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই নীতিটি ১৯৮০ সালে বেলজিয়ান জীববিজ্ঞানী লুই ডোলো কর্তৃক প্রস্তাবিত হয়েছিল। এর মূল বক্তব্য হলো, একবার কোনো জৈবিক প্রক্রিয়া বা বৈশিষ্ট্য বিবর্তনের মাধ্যমে হারিয়ে গেলে সেটি পুনরুদ্ধার বা পুনর্বিবর্তন সম্ভব হয় না। সহজভাবে বলতে গেলে, যখন কোনো জৈবিক বৈশিষ্ট্য একবার হারিয়ে যায়, তখন সেই একই বৈশিষ্ট্যের…

  • ​​মস্তিষ্কে ওষুধ পৌঁছে দিবে বিড়ালের মলে থাকা পরজীবী

    আমাদের রক্ত সংবহনতন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যে একটি বাঁধ আছে। একে ব্লাড-ব্রেইন ব্যারিয়ার (Blood-Brain Barrier) বলা হয়। এটি রক্ত থেকে অবাঞ্চিত কোনো কিছু মস্তিষ্কে প্রবেশ করা থেকে বাধা দেয়। যেমন রক্তে যদি কোন জীবাণু, বড় অণু কিংবা পানিআকর্ষী অণু ইত্যাদি থাকে, তাদেরকে আটকে দেয় এই ব্লাড-ব্রেইন ব্যারিযারটি। মস্তিষ্ক আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ হওয়ায় তার সুরক্ষার জন্যই…

  • সমুদ্রপাড়ের বিচিত্র প্রাণ

    বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর বেশিরভাগ রহস্য হয়তো সমুদ্রেই লুকিয়ে আছে। রহস্যের ডেরা সমুদ্রের প্রানিকুলও যেন বিচিত্র সম্ভার। সমুদ্রের গভীরে ঠিক কত প্রজাতির প্রাণী আছে তার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। ভবিষ্যতেও জানা যাবে কিনে সন্দেহ। যতদূর জানা গেছে সে সংখ্যাটাও নগণ্য। মনে করা হয়, সমুদ্রের এক শতাংশ প্রাণী সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। সমুদ্রের জীববৈচিত্র‍্য রক্ষাকারী…

  • স্লাইম-মোল্ডের মস্তিষ্ক-বিহীন বুদ্ধিমত্তা

    কখনো কি পুরনো মৃত গাছের পড়ে থাকা গুড়ি বা কান্ডে হয়তো হলুদ রঙের ছোপ চোখে পড়েছে আপনার? কাছে গিয়ে দেখলে মনে হবে ছত্রাক পড়েছে। এদের অনেকেই স্লাইম মোল্ড পরিবারের সদস্য। দেখতে অপ্রয়োজনীয় ছত্রাক মনে হলেও এরা বুদ্ধিমত্তার প্রচলিত সংজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে। স্লাইম মোল্ড পরিবারের সবচেয়ে আলোচিত সদস্য বোধ হয় ফাইসারাম পলিসেফালাম (Physarum polycephalum)। আলোচিত হবেই…

  • মস্তিষ্কের কাজ চিন্তা করা নয়

    এক সময়ে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াতো এমন সব প্রাণীরা, যাদের কোন মস্তিষ্ক ছিলো না। এমন একটি প্রাণী ছিলো অ্যাম্ফিওক্সাস। এদেরকে হঠাৎ দেখলে মনে হবে ক্ষুদ্র কোন কীট মনে হবে। তবে ভালোভাবে খেয়াল করলে এর দেহের দুই পাশে মাছের গিলের মতো চিড় দেখা যাবে। ৫৫০ মিলিয়ন বছর আগে অ্যাম্ফিওক্সাস সমুদ্রে ঘুরে বেড়াতো। নিজেদেরকে সামনে ঠেলে দিয়ে এরা…