জীবাশ্ম বিজ্ঞান
নীল তিমি: অতিকায় স্থলজ প্রাণীটির জলজ অভিযাত্রা!
১৯৭৮ সাল। পাকিস্তানের সুলেমান মাউন্টেন। শুভ্র শীতের স্নিগ্ধ এক সকালে একদল তরুণ জীবাশ্ম বিজ্ঞানী এগিয়ে চলেছেন পর্বতটির পানে। হৃদয়ে অদম্য বিশ্বাস ও অজানাকে জানার সীমাহীন আগ্রহ নিয়ে তাদের এই দলবদ্ধ পদযাত্রা। জানা যায়, প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীতে সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত ছিল পাকিস্তানের এই আদিম পর্বতটি। আর তাই অতীতের নানান ফসিলের জরাজীর্ণ চিহ্ন ও দুর্লভ নিদর্শন থাকার বিপুল সম্ভাবনা…
খোঁজ মিলেছে মানুষের নতুন প্রজাতির!
বর্তমানে পৃথিবীর সব মানুষ একই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের এক কোণায় থাকা একজন মানুষ কিংবা আমেরিকার একজন বিলিয়নিয়ার, দুজনেই একই প্রজাতি তথা হোমো সেপিয়েন্স প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। আর গত প্রায় তিন লক্ষ বছর ধরে পৃথিবী নামক গ্রহটিকে শাসন করছে মানুষের এই প্রজাতি। তবে কয়েক লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে শুধু হোমো সেপিয়েন্সই ছিলো না। বরং মানুষের অনেকগুলো প্রজাতি…
অপবিজ্ঞানের ব্যবচ্ছেদ-নব্যপৃথিবী সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের যত কাণ্ড! (পর্ব-২)
বিবর্তন তত্ত্বকে মিথ্যা প্রমাণ করতে অনেকেরই তো অনেক প্রয়াস দেখলেন, আজকে আমরা জানব ‘ইয়ং আর্থ ক্রিয়েশানিজম’ নামে এক অদ্ভুত প্রস্তাবনা নিয়ে। বাংলায় বলা যায়, ‘নব্য পৃথিবী সৃষ্টিতত্ত্ববাদ’। পুরো লেখায় ইয়ং আর্থ ক্রিয়েশানিজম-ই ব্যবহৃত হবে। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের আশীর্বাদে আমরা জানতে পেরেছি যে আমাদের মহাবিশ্ব প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে মহা বিস্ফোরণের ফলে আবির্ভূত হয়েছে। আর এই…
মেগালোডন: এক সমুদ্র দৈত্যের গল্প
লক্ষ লক্ষ বছর আগে আমাদের এই প্রাচীন পৃথিবীকে শাসন করেছে এমন দানবের কথা বলতে গেলে প্রথমেই মনে আসে ডায়নোসরের কথা। কিন্তু তার চেয়েও ভয়ংকর এক মহাদানব দাপিয়ে বেড়িয়েছিলো সারা পৃথিবীর সাগর মহাসাগর। হ্যাঁ, আমাদের বঙ্গোপসাগরও বাদ রাখে নি। যার নাম মেগালোডোন। যার আকার বর্তমান গ্রেট হোয়াইট শার্কের প্রায় তিন গুণ। এরা সর্বোচ্চ ৭০ ফুটের মত …
খোঁজ মিলল সাগর দানব প্লিওসরের ফসিলের
২০২২ সালের বসন্তের একটি দিন। শিল্পী ও জীবাশ্ম শিকারী ফিলিপ জ্যাকবস দক্ষিণ ইংল্যান্ডের জুরাসিক উপকূল ধরে হাঁটছিলেন। এমন সময় তিনি এক কোণে কোনো এক অজানা প্রাণীর একটি স্নোট (প্রাণীদের প্রসারিত নাক বা মুখ) পড়ে থাকতে দেখেন। এটি প্রায় দুই ফুট (২৪ ইঞ্চি) লম্বা ছিল। আপনি কি বুঝতে পারছেন এটা কতটা লম্বা? মানুষের স্নোটের সাইজ বড়জোর…