কুষ্ঠরোগ কী পাপেরই শাস্তি?

কুষ্ঠরোগ কি?

কুষ্ঠরোগ, যা কিনা হ্যানসেনের রোগ নামেও পরিচিত। কুষ্ঠ একটি সংক্রামক রোগ। মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি (Mycobacterium leprae) বা মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রোমাটোসিস (Mycobacterium lepromatosis) নামক দুইটি ব্যাকটেরিয়ার দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের কারনে কুষ্ঠরোগ হয়। সংক্রমণটি স্নায়ু, শ্বাসনালী, ত্বক এবং চোখের ক্ষতি করতে পারে।

কুষ্ঠরোগের ইতিহাস

প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ সাল থেকেই কুষ্ঠরোগ বিদ্যমান ছিল। এর উৎপত্তি প্রাচীন পূর্ব আফ্রিকা নাকি ভারতে হয়েছিলো তা নিয়ে যথেষ্ট পরিমান বিতর্ক রয়েছে। প্রাচীনকালে এটিকে দেবতাদের অভিশাপ, পাপের শাস্তি বা বংশগত রোগ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হতো। 

ভারতে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কুষ্ঠ রোগের উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়। প্রায় ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের চীনা নথি অনুযায়ী প্রথমে চীনে এবং পরে জাপানে এই রোগ ছড়িয়ে পরে। রোগটি মধ্যপ্রাচ্য এবং গ্রীসে সৈন্যবাহিনী এবং বণিকদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। ৩২৭-৩২৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারত অভিযান থেকে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনীর প্রত্যাবর্তন এর ফলে ভারত থেকে ইউরোপে কুষ্ঠ রোগের প্রচলন হয়েছিল। রোগটি রোমানদের দ্বারা পশ্চিম ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল।

মধ্যযুগে ইউরোপের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে এই রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। ধারণা করা হয় ল্যাটিন আমেরিকায় ঔপনিবেশিকতার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফরাসি জনগণ দ্বারা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় স্প্যানিশ ও পর্তুগিজদের দ্বারা কুষ্ঠ রোগের প্রচলন হয়েছিল। আফ্রিকান দাসরা আমেরিকায় কুষ্ঠ রোগ ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ ছিল।

কুষ্ঠের কারণে দেহে ফুসকুড়ি। ছবি উইকিপিডিয়া।

কুষ্ঠরোগের কারণ

১৮৭৩ সালে, নরওয়ের চিকিৎসক গেরহার্ড হ্যানসেন মাইক্রোস্কোপের নীচে কুষ্ঠ রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দেখেছিলেন এবং প্রমাণ করেছিলেন যে কুষ্ঠ একটি সংক্রামক রোগ এবং অভিশাপ নয়। এই মহান গবেষকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, এই রোগের নামকরণ করা হয়েছে  তাঁরই নামে।

কুষ্ঠরোগ বা হ্যানসেনের রোগ এর কারন হলো মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি বা মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রোমাটোসিস নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি একটি অন্তঃকোষীয়, রড আকৃতির, অ্যাসিড-ফাস্ট, অ্যারোবিক (এমন একটি জীব যা অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকতে এবং বৃদ্ধি পেতে পারে) ব্যাকটেরিয়া। সংক্রমণটি স্নায়ু, শ্বাসনালী, ত্বক এবং চোখের ক্ষতি করতে পারে।

কুষ্ঠ অত্যন্ত ছোঁয়াচে কোনো রোগ নয়।  রোগটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড দীর্ঘ – গড়ে পাঁচ বছর। এক থেকে বিশ বছর পর্যন্ত লাগতে পারে লক্ষনগুলো প্রকাশ পেতে। ইনকিউবেশন পিরিয়ডের সময়, একজন সংক্রামিত ব্যক্তির কোন দৃশ্যমান লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে না। কুষ্ঠ রোগের প্যাথোজেনিসিটি কম থাকে এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত ৯৫ % লোকেরই এই রোগ হয় না। কুষ্ঠ রোগ গর্ভাবস্থায় মা থেকে শিশুর মধ্যে কিংবা যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে ছড়ায় না।

কুষ্ঠ রোগীর পায়ে ক্ষত। ছবি উইকিপিডিয়া।

কুষ্ঠ রোগ কিভাবে ছড়ায়?

কুষ্ঠরোগ মানুষের মধ্যে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে  বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে এই রোগ সুস্থ ব্যাক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কুষ্ঠ রোগের সংক্রমণ শ্বাস নালীর মাধ্যমে হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস এর সময় এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের দেহে প্রবেশ করে। যদিও মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি এর সংস্পর্শে আসা অধিকাংশ লোকেরই (৯৫%) কুষ্ঠ রোগ হয় না।

কুষ্ঠ আক্রান্ত কোনো ব্যাক্তির যদি কোনোরুপ চিকিৎসা করা না হয় এবং এমন ব্যাক্তির সাথে দীর্ঘসময় ধরে দীর্ঘস্থায়ী এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এর ফলে এই রোগ সুস্থ ব্যাক্তির মধ্যে হতে পারে বলে ধারনা করা হয়। রোগী চিকিৎসা শুরু করলে তখন আর তার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় না। তবে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে স্বাভাবিক  হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা, খাবার ভাগাভাগি করা বা একে অপরের পাশে বসার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় না। হ্যানসেনের রোগটি গর্ভাবস্থায় মায়ের থেকে তার অনাগত শিশুর কাছেও ছড়ায় না এবং এটি যৌন সঙ্গমের মাধ্যমেও ছড়ায় না।মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি- এর সংক্রমণ খুবই ধীরে হয়। এজন্য রোগের লক্ষন প্রকাশ পেতে দীর্ঘসময় লাগে। যার ফলে সংক্রমণের উৎস খুজে পাওয়া প্রায়শই কঠিন হয়ে পরে।

দক্ষিণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কিছু আরমাডিলো প্রাকৃতিকভাবেই এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয় যা মানুষের মধ্যে হ্যানসেনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং তারা এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়েও দিতে পারে।  তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্য ঝুঁকি খুবই কম এবং বেশিরভাগ লোক যারা আরমাডিলোসের সংস্পর্শে আসে তাদের হ্যানসেনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

মাইকোব্যক্টেরিয়াম লেপরি নামক একটি ব্যক্টেরিয়া এ রোগের মূল কারণ। ছবি উইকিপিডিয়া।

লক্ষণ এবং উপসর্গ

লক্ষণগুলি প্রধানত ত্বক, স্নায়ু এবং মিউকাস মেমব্রেনকে প্রভাবিত করে। কুষ্ঠরোগ এর ফলে ত্বকে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে:

  • ১. কুষ্ঠরোগের প্রথম লক্ষণীয় উপসর্গ হল প্রায়শই ত্বকের মধ্যে ফ্যাকাশে বা গোলাপী রঙের ছোপ যা সাধারণত ব্যাথাবিহীন হয়ে থাকে।
  • ২. ত্বকে ক্ষত। 
  • ৩. হাত ও পায়ে ব্যথাহীন ক্ষত বা পোড়া।
  • ৪. পুরু, শক্ত এবং শুষ্ক ত্বক।
  • ৫. পায়ের তলায় ব্যাথাহীন ক্ষত।
  • ৬. মুখ বা কানের লতিতে ব্যাথাহীন ফোলা অংশ সৃষ্টি হওয়া।
  • ৭. ক্ষতস্থানের চুল এবং চোখের ভ্রু ঝরে যাওয়া।
  • ৮. সেকেন্ডারি ইনফেকশন এর ফলে টিস্যু ক্ষয় হতে পারে, যার ফলে হাতের আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুল ছোট হয়ে যায় এবং বিকৃত হয়ে যাওয়া। 

স্নায়ুর ক্ষতিজনিত যেসকল লক্ষণ দেখা দিতে পারে:

  • ১. কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত প্রায় 30% লোক স্নায়ু ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
  • ২. পেশীর দূর্বলতা।
  • ৩. হাত, পা, ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে অসাড়তা।
  • ৪. দৃষ্টিশক্তির প্রতিবন্ধকতা। 
  • ৫. নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত ঝরা ও নাকের বিকৃতি ঘটা।
  • ৬. স্নায়ুর ক্ষতির ফলে পেশীর কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে, যার ফলে প্যারালাইসিস হতে পারে।
  • ৭.  গুরুতর কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত পুরুষদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশন থাকতে পারে এবং তারা বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে।

   

রোগ নির্ণয়

কুষ্ঠরোগ ত্বকের ক্ষতস্থান দেখে চিহ্নিত করা যায়। ক্ষতগুলো স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে  হালকা বা গাঢ় দেখায়। মাঝে মাঝে আক্রান্ত ত্বক অনেক বেশী লালচে বর্ণ ধারন করে। ত্বকের ক্ষতস্থানগুলো সাধারণ অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে। ক্ষতস্থানে সূচ ফোটালেও তা অনুভূত হয় না। রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করার জন্য, ডাক্তার ত্বক বা স্নায়ুর বায়োপসির মাধ্যমে ত্বক বা স্নায়ুর একটি নমুনা নিয়ে মাইক্রোস্কোপের নীচে পর্যবেক্ষণ করেন। উপরোক্ত পর্যবেক্ষণ এর উপর ভিত্তি করে, কেসগুলিকে দুটি প্রকারে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে:

১. পাউসিব্যাসিলারি : ১-৫টি ত্বকের ক্ষতযুক্ত রোগী। ত্বকের দাগ বা স্নায়ুর স্মিয়ারে ব্যাসিলির উপস্থিতি দেখা যায় না।

২. মাল্টিব্যাসিলারি: ৫ টির বেশি ক্ষত সহ রোগী। ত্বকের ক্ষতের মধ্যে ব্যাসিলির উপস্থিতি দেখা যায়।

চিকিৎসা 

কুষ্ঠ একটি নিরাময়যোগ্য রোগ। কুষ্ঠরোগের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। সাধারনত একই সময়ে ২/৩ টি এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করা হয়। বর্তমানে ব্যাবহৃত তিনটি ওষুধ হচ্ছে: ড্যাপসোন, রিফাম্পিসিন এবং ক্লোফাজিমিন। একে মাল্টিড্রাগ থেরাপিও বলা হয়। এই পদ্ধতিটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিকাশ রোধ করতে সাহায্য করে। চিকিৎসার সময়কাল পাউসিব্যাসিলারি-এর জন্য ছয় মাস এবং মাল্টিব্যাসিলারি-এর ক্ষেত্রে ১২ মাস। মাল্টিড্রাগ থেরাপি অত্যন্ত কার্যকর এবং প্রথম মাসিক ডোজ পরে মানুষ আর সংক্রামক হয় না।

বিভিন্ন দেশে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধের খবর পাওয়া গেছে, যদিও এর সংখ্যা কম। রিফাম্পিসিন-প্রতিরোধী কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফ্লুরোকুইনোলোনস, মিনোসাইক্লিন বা ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসার সময়কাল ২৪ মাস। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি স্নায়ুর চিকিৎসা করতে পারে না। এন্টিবায়োটিকগুলো সাধারণত রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং রোগ নিরাময় করে। তবে স্নায়ুর ক্ষতি এবং শারীরিক বিকৃতিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারে না। সুতরাং যত দ্রুত সম্ভব রোগ নির্নয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জটিলতা

কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারাতে পারে। মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি স্নায়ুতে আক্রমণ করে এবং শরীরের ব্যথা ও আঘাত অনুভব করার ক্ষমতা নষ্ট করে। ব্যথা অনুভব না করার কারনে লোকেরা আগুন, কাঁটা, পাথর এবং এমনকি গরম কফির কাপে নিজেদের আহত করে। আঘাতগুলি সংক্রামিত হয় এবং এর ফলে টিস্যু ক্ষতি হয়।  হাতের আঙ্গুল, পায়ের আঙ্গুল এবং অঙ্গগুলি ছোট হয়ে যায় এবং শারীরিক বিকৃতি ঘটে।

প্রতিরোধ 

শারীরিক এবং স্নায়বিক ক্ষতি নিরাময় করা গেলেও শারীরিক এবং মানসিক বিকৃতি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। এজন্য রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যাক্তিদের আশেপাশে থাকলে তাদের হাঁচি কাশি থেকে যথেষ্ট সাবধান হতে হবে। কুষ্ঠরোগের চিকিৎসায় ব্যাবহৃত ওষুধ, সুস্থ ব্যাক্তির রোগ হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর পরামর্শ মতে, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের প্রতিরোধমূলক ওষুধ দেওয়া উচিত। প্রাপ্তবয়স্ক এবং ২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের (যাদের ইতিমধ্যে কুষ্ঠ বা যক্ষ্মা নেই) রিফাম্পিসিন (এসডিআর) এর একক ডোজ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৮ সালে এই স্বিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, জন্মের সময় বিসিজি ভ্যাকসিন কুষ্ঠরোগের ঝুঁকি কমায়। কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে বসবাসকারী ব্যক্তিদের বিসিজি বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যা তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ৫৬% বৃদ্ধি করতে পারে।

কুষ্ঠরোগ নিয়ে পৌরাণিক কল্পকাহিনী এবং তাদের সত্যতা

. কুষ্ঠ একটি অভিশাপ,পাপের ফল বা ঈশ্বরের শাস্তি: অতীতে ধারণা করা হতো কুষ্ঠরোগ কোনো পাপের শাস্তি অথবা কোনো অভিশাপ। তবে সত্য হলো কুষ্ঠ রোগ একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ। যা পরিবেশ বা ব্যক্তি থেকে সংক্রামিত হয়।অভিশাপ বা পাপের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।

. কুষ্ঠ শুধু দরিদ্র মানুষের রোগ: সাধারণত দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাক্তিরাই কুষ্ঠরোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে অপুষ্টি এবং দূর্বল স্যানিটেশন ব্যাবস্থার কারনে দরিদ্র অঞ্চলে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে  পড়তে পারে। তবে রোগটি হওয়া বা না হওয়া নির্ভর করে ব্যাক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর। ধরী দরিদ্র এক্ষেত্রে কোনো প্রভাব রাখতে পারে না।

. কুষ্ঠ অনিরামেয় রোগ: কুষ্ঠ অনিরামেয় কোনো রোগ নয়। মাল্টি-ড্রাগ থেরাপি নামে পরিচিত চিকিৎসার মাধ্যমে কুষ্ঠ রোগ নিরাময় করা যায়।

. কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যাক্তিকে স্পর্শ করলে সুস্থ ব্যাক্তির কুষ্ঠ হয়: কুষ্ঠ একটি মৃদু সংক্রামক রোগ। বিশ্বের জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশ ইতিমধ্যেই  কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধী। কুষ্ঠরোগ সহজে ছড়ায় না এবং যারা এতে আক্রান্ত হয় তাদের স্পর্শ করা যাবে না এমন ধারণা ভিত্তিহীন।

তথ্যসূত্র:

লেখাটি 244-বার পড়া হয়েছে।

ই-মেইলে গ্রাহক হয়ে যান

আপনার ই-মেইলে চলে যাবে নতুন প্রকাশিত লেখার খবর। দৈনিকের বদলে সাপ্তাহিক বা মাসিক ডাইজেস্ট হিসেবেও পরিবর্তন করতে পারেন সাবস্ক্রাইবের পর ।

Join 897 other subscribers