সুজয় কুমার দাশ Avatar

সুজয় কুমার দাশ

  • বিজ্ঞানে নোবেল ২০২৪

    সারাবিশ্বের বিজ্ঞানের মানুষদের কাছে অক্টোবর মাস হল নোবেলের মাস। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অক্টোবরের ৭, ৮ ও ৯ তারিখে ঘোষিত হয়ে গেল বিজ্ঞানের তিন ক্ষেত্রে নোবেল বিজয়ীদের নাম। বিজয়ীরা কে, কোন বিষয়ে, কেন এ পুরস্কার পেলেন তা নিয়েই সাজানো হয়েছে এই পর্ব। চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন গবেষণায় বিপ্লব চলতি বছর চিকিৎসা ও শারীরতত্ত্বে নোবেল…

  • রাসায়নিক বিস্ফোরণঃ নাকি সবকিছুই একসঙ্গে এসেছে?

    অ্যালকালাইন ভেন্ট হাইপোথিসিস জোর দেয় জীবকোষ চালাবার শক্তির ওপর। তাই একে “মেটাবলিজম ফার্স্ট” হাইপোথিসিসও বলে। কিন্তু এই অনুকল্পে ভর দিয়ে প্রাণ সৃষ্টির দৃশ্যপট কল্পনা করতে গেলেও সবার শুরুতে একটা পর্দার কথা ভাবতে হয়। যদিও এটা বর্তমান কোষপর্দার মতন না। তাই এই হাইপোথসিসিসেও কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের প্রসঙ্গ চলে আসে।

  • হাইড্রোথার্মাল ভেন্টঃ প্রাণসৃষ্টির আঁতুড় ঘর   

    এই লেখাটা প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যানের তৃতীয় কিস্তি। গত দুই পর্বে প্রাণ সৃষ্টি নিয়ে বেশ ক’টা হাইপোথিসিস নিয়ে আলাপ করেছি। এই লেখায় আলাপ করব এ নিয়ে জগ্বিখ্যাত “হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট” অনুকল্প নিয়ে। অনেকেই মনে করেন, প্রথম সরল প্রাণের জার্নি শুরু হয়েছিল সমুদ্রতলের ক্ষারীয় ভেন্টে। ক্ষারীয় ভেন্ট কি? কি করেই সরল বুদবুদ সদৃশ প্রাণ শক্তির যোগান পেল সেখানে?…

  • কেমন ছিল সর্বশেষ আদি পূর্বসূরি কোষ?

    এই লেখাটা প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যান শিরোনামে লেখাটারই দ্বিতীয় কিস্তি। গত লেখায় আরএনএ বিশ্ব হাইপোথিসিস দিয়ে আলোচনা শেষ করেছিলাম। বলেছিলাম, প্রাণের স্পন্দন বাজতে হলে প্রোটিন আর আরএনএ’র একসঙ্গে যুগলবন্দী হতে হবে। কেননা একটা ছাড়া অন্যটা একা কাজ চালিয়ে যেতে পারে না। অনেকে আবার মনে করেন, প্রোটিন কিংবা নিউক্লিক এসিড কোনোটাই আগে আসে নি। বরং সবার আগে…

  • প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যানঃ কোনটা আগে এলো, প্রোটিন নাকি আরএনএ?

    প্রতিটি জীব কোষ দিয়ে তৈরি। তাই কোষকে বলা হয় প্রাণের গাঠনিক একক। এই কোষের ভেতর প্রতিনিয়ত চলতে থাকে নানা রকম ক্রিয়া-বিক্রিয়া। তাই কোষকে বলা হয় রাসায়নিক থলি। কোষ জীবিত থাকে এইসব রাসায়নিক ক্রিয়ার সম্মিলিত কারণেই। আর প্রাণরসায়নের মূল আলোচ্য বিষয়ই হচ্ছে জীবদেহে ঘটে চলা এসব রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া। সুতরাং পৃথিবীতে যখন বেজে ওঠে প্রথম প্রাণের স্পন্দন…

  • নারীর কেন রজোনিবৃত্তি হয়?

    মানবদেহের গড়ন অবিশ্বাস্যরকম জটিল। সাম্প্রতিক তথ্যমতে, আমাদের দেহ ষাট ধরনের টিস্যুর চার শ রকমের কোষ নিয়ে গঠিত। বিজ্ঞান আমাদের শরীর সম্বন্ধে বিশদে জানার দুয়ার খুলে দিয়েছে। বড় বড় রোগ থেকে সেরে উঠা এখন মামুলি ব্যাপার। এমনকি এই জটিল রহস্যময় শরীরের বিবর্তন বোঝাও সম্ভব হচ্ছে বিজ্ঞানের কল্যাণে। কিন্তু এখনও রহস্যের ডেরা এই শরীরের অনেক কিছুই অজানা…

  • ফ্ল্যাটল্যান্ডঃ এক দুর্ভাগা গণিতবিদের গল্প 

    তিন মাত্রার স্থান আর এক মাত্রার সময় নিয়ে চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্ব আমাদের। আমরা নিজেরা তিন মাত্রার জীব। তিন মাত্রা বলতে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ আর উচ্চতার কথা বলছি। কিন্তু ফ্ল্যাটল্যান্ড সমতল বিশ্বের গল্প। সেখানকার নাগরিক সবাই দ্বি-মাত্রিক। অর্থাৎ তাঁদের বড়জোর দুইটা মাত্রা- দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ আছে। রহস্য থ্রিলারও না, আবার বিজ্ঞান কল্পকাহিনীও বলা যায় না। তাই কেবল গল্পই…

  • যেভাবে কালাজ্বর শনাক্তের আধুনিক পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল 

    গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটি উপেক্ষিত প্রাণঘাতী রোগ হল কালাজ্বর বা ভিসেরাল লেশম্যানিয়াসিস (Visceral Leishmaniasis)। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে এই রোগের প্রকোপ আছে। বাংলাদেশে বিশেষ করে ময়মনসিংহ বেল্টে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। দেশের ৪৫টি জেলা কালাজ্বরের এন্ডেমিক পর্যায়ে আছে (এন্ডেমিক বলতে নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমিত সংক্রমণ বোঝায়)। গবেষণা বলছে, আমাদের দেশের দুই কোটি মানুষ কালাজ্বরে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে…

  • কীভাবে গ্রহাণু শনাক্ত করলেন ক্যাম-সাস্টের তরুণ গবেষকেরা

    সূর্যের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট কিছু পাথর। এদের ডাকা হয় গ্রহাণু বলে। ছ শ মাইল থেকে শুরু করে  ধূলিকণার সাইজের গ্রহাণুও আছে। সাধারণত এদের খুঁজে পাওয়া যায় মঙ্গল আর বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথের মাঝে এষ্টেরয়েড বেল্টে। তবে বৃহস্পতি গ্রহের দুই পাশেও আছে কিছু গ্রহাণু। এদের প্রধান গ্রহাণু বলে। কোত্থেকে আসল এসব গ্রহাণু? ধারণা করা হয়,…