
মো. মিজানুর রহমান
প্রকৃতিতে গণিতের সৌন্দর্য!
গণিত; প্রকৃতির রহস্য উদঘাটনের এক চমকপ্রদ উপহার। এর সাহচর্যে প্রসারিত হচ্ছে বিজ্ঞানের সীমানা। আবিষ্কৃত হচ্ছে নব-নব প্রযুক্তি, উন্মোচিত হচ্ছে দিগন্ত-বিস্তৃত সম্ভাবনা। তবে, সুনিপুণ এই বিজ্ঞানের জগৎকেও অনেকেই ভয় পান। ভাবেন- গণিত মানেই জটিল-কঠিন সমীকরণের সমাহার আর নিকষকালো, প্রাণহীন, দুর্ভেদ্য সব অন্ধকার বিষয়। কিন্তু, এর অতল গহ্বরে ডুব দিয়েও যে এর মগজ-ধাঁধানো সৌন্দর্য প্রাণভরে উপভোগ করা…
ওয়্যারউলফ সিনড্রোম: কল্প-বাস্তবতার অসুখ-বিসুখ
আষাঢ়ের রাত। বাইরে একনাগাড়ে বইছে তুমুল ঝড়ো হাওয়া। বাদল দিনের চিরায়ত রূপ, অঝোর বারিধারা। এসময় টানা বর্ষণে ভরা পূর্ণিমার গলগলে চাঁদটাও মাঝ আকাশে হেলে পড়েছে। পৃথিবীর পানে মেলে ধরেছে তার স্নিগ্ধ সৌন্দর্য। বৃষ্টির ঝাপটা আর ঝলমলে রূপোলী চাঁদের আলোয় রহস্যময় হয়ে উঠেছে এ জনপদের মেঠোপথ, রাস্তা-ঘাট আর ফসলের মাঠ। দূরের পূব আকাশে এখনো বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে,…
চাঁদের মাটিতে প্রাণ: বিজ্ঞানের এক আজগুবি গল্পের রহস্য সমাধান
“আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থানরত তরুণ বিজ্ঞানী জন হার্শেল এক বিস্ময়কর আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। অসাধারণ এক টেলিস্কোপের সাহায্যে চাঁদের বুকে খুঁজে পেয়েছেন নানান প্রাণী, সতেজ গাছপালা, নীল সমুদ্রের ম্লান ঢেউ। পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের প্রশ্ন, এরই মাধ্যমে চিরসমাপ্তি হলো।” ১৮৩৫ সাল। নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। আজ থেকে ১৮৮ বছর পূর্বে, দ্য নিউ ইয়র্ক…
ভ্যাম্পায়ার: রহস্যময়তার অন্তরালে বৈজ্ঞানিক ঘটনা
গভীর রাত। চারিধারে থমথমে পরিবেশ। বাতাসে বইছে রক্তচোষা বীভৎস লাশের গন্ধ। এমন ভয়ংকর পরিবেশে এই তল্লাটের সবাই নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে। এ সময় অশরীরী কেউ কেউ অতি সন্তর্পণে বেরিয়ে আসছে অন্ধকার শ্মশান, পরিত্যক্ত ভবন ও জামতলার গা ছমছমে ঘন ঝোপের আড়াল থেকে। পূর্ণিমার ঝলমলে রূপালী রাতে সতর্ক ভঙ্গিতে খাবারের খোঁজ করছে তারা। কী খাবার? তরতাজা ফুটন্ত রক্ত! কখনো…
ফার্মি প্যারাডক্স: মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান প্রাণের খোঁজে, এবং তারপর..
রাতের আকাশ, মাথার উপরে অনন্ত মহাকাশ, অগণিত নক্ষত্র, দিগ্বিদিক নিরন্তর ছুটে চলা ধুমকেতু, উল্কা ও নিহারীকাসমূহ– এমন রোমাঞ্চকর দৃশ্য প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানব মনে উন্মেষ ঘটিয়েছে নানাবিধ প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিস্ময়কর সুস্থ মস্তিষ্কও কখনো কখনো আশ্রিত হয়েছে কণ্টকাকীর্ণ কুসংস্কারের। আটকা পড়েছে বিশ্বাস অবিশ্বাসের বেড়াজালে। তবে, সময়ের পরিক্রমায় আধুনিক বিজ্ঞানের অপার মহিমায় মহাকাশের…
ওনডিন্স কার্স: রূপকথার নিঃশ্বাসহীন ঘুমন্ত মানবের বৈজ্ঞানিক আখ্যান
সে অনেককাল আগের কথা। ষোড়শী সৌন্দর্যের অধিষ্ঠাত্রী স্বর্গলোকের জলদেবী ওনডিন পৃথিবী ভ্রমণে এসেছেন। ঘুরে ফিরে দেখছেন এখানে-সেখানে। আচমকা একদিন তার দৃষ্টি যায় মর্ত্যলোকের এক সুদর্শন যুবকের পানে। পেলিমো নামের সেই যুবক সেসময় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সুশোভিত গাছের ছায়ায়। প্রথম দর্শনে দেবী তার প্রেমের ডোরে বাঁধা পড়েন। জলের অতলে থেকে তাকে চোখে চোখে রাখেন সর্বদা। সময়-সুযোগ বুঝে একদিন দেবী আবির্ভূত হন পেলিমোর…
মহাকাশচারী পোকামাকড় ও পশুপাখিদের গল্প | দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব
প্রথম পর্বের পর.. অপার রহস্যের হাতছানি অনন্ত মহাশূন্যে মানবজাতি ইতোমধ্যেই প্রেরণ করতে শুরু করেছে একের পর এক ছোট ছোট প্রাণী। যাদের কেউ কেউ আবার সফলতার সাথে ঘুরেও এসেছে। দেখে এসেছে অন্ধকার ও আলোকের রোমাঞ্চকর জগৎ। কুড়িয়ে এনেছে একগাদা চাঞ্চল্যকর নিদর্শন। এসব নিদর্শন বিশ্লেষণে গবেষকগণ শুরু করেছেন অন্বেষণ। প্রসারিত করছেন নিজেদের জ্ঞানের পরিসর। আর তাই মহাকাশ অভিযানের…
মহাকাশচারী পোকামাকড় ও পশুপাখিদের গল্প | প্রথম পর্ব
কল্পনাবিলাসী মানুষ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন পূরণের পর হাত বাড়ান অনন্ত মহাকাশের পানে। পৃথিবীর সীমানা পেরিয়ে নিঃসীম অন্ধকার মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করার ইচ্ছায় লিপ্ত হন কঠোর গবেষণায়। বিশেষ করে, উন্নত বিশ্বের নীল রক্তের মানুষেরা স্নায়ুযুদ্ধের অংশ হিসেবে সেসময় বেছে নেন মহাকাশ জয়ের প্রচেষ্টা। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগেন তারা। নামেন তুমুল প্রতিযোগিতায়। যদিও মহাকাশ অভিযানে মানুষের তখনও হাঁটি হাঁটি পা। কেননা, ইতিহাস সৃষ্টিকারী ইউরি…
জেনোর প্যারাডক্স: অ্যাকিলিস বনাম কচ্ছপের দৌড়, জয়ী হবে কে?
হোমারের ইলিয়ড আর প্রাচীন গ্রীক পুরাণের মহাবীর অ্যাকিলিস যুদ্ধবিগ্রহ থেকে ইস্তফা নিয়েছেন আজ। অনেক হয়েছে মরণপণ লড়াই! এবার কিছুদিন সুখে-শান্তিতে দিনাতিপাত করা যাক। আর তাই তো যুদ্ধের ময়দান থেকে ঢাল-তলোয়ারসমেত সোজা হেঁটে চললেন এক গহীন অরণ্যের পানে। সেখানে পৌঁছে রং-বেরঙের পাখিদের কলকাকলি আর পশুদের আতিথেয়তায় রীতিমতো মুগ্ধ তিনি। খোশগল্প-আড্ডায় বেশ চমৎকার কাটতে লাগলো সময়। কিছুদিন পরের…