মস্তিষ্ক
মস্তিষ্কের কোথায় থাকো, সৃজনশীলতা?
[আগের লেখা: ‘মগজ-ঘরে বসত করে কয়জনা?’] ফেব্রয়ারির বিকেলে একুশের বইমেলায় বাংলাএকাডেমি রাস্তার পাশে একদল আঁকিয়ে চেয়ার নিয়ে বসে থাকেন; তাদের সামনে গিয়ে বসলে আঁকিয়েরা আগ্রহীদের মুখায়ব চটপট এঁকে ফেলেন। আঁকিয়েদের মতোই যারা বাদ্যযন্ত্রে অচিন সুর তুলে ফেলেন কিংবা ঝরঝরে শব্দে নিটোল কবিতা লিখে ফেলেন – তাঁদের সৃজনের রহস্যময় ক্ষমতাকে মুগ্ধ আমজনতা সাধারণত খানিকটা সম্ভ্রমের দৃষ্টিতেই…
মস্তিষ্ক ও তার ধারণক্ষমতা
ধরুন আপনার বয়স ৪০ বছর। ঘটনাবহুল জীবনে আপনি নানা ধরণের অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। আর সবই সংরক্ষিত হয়ে আসছে আপনার ঘাড়ের উপরের যন্ত্রটিতে! কিন্তু ঠিক ৪০ বছর ১৩ দিন ২৫ মিনিট ১২ সেকেন্ডে আপনার মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে গেল। মানে এরপর থেকে আপনি কিছুই মনে রাখতে পারছেন না কারণ আপনার মস্তিষ্কের হার্ড ডিস্ক পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।…
সিদ্ধান্তের ইতিবৃত্তঃ মস্তিষ্কের গোলোকধাঁধায়
দুপুরে ভাত খেতে গিয়ে আপনি হঠাৎ খেয়াল করলেন একটা পোকা আপনার প্লেটের চারপাশে ভনভন করছে। পোকাটির গায়ের রঙ এবং গতি উভয়ই আপনার প্রতিক্রিয়া নির্ধারন করতে পারে, পোকাটিকে আপনি মারবেন নাকি প্লেট ছেড়ে লাফ দিয়ে উঠে পরবেন! এখন যদি পোকাটি কালো আর হলুদ রংয়ের হয় আপনি বুঝে নিবেন যে এটা একটা মৌমাছি হতে পারে। মৌমাছি যেহেতু…
“মগজ-ঘরে বসত করে কয়জনা?”
কুসংস্কার জিনিসটা থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করলেও চিন্তা-ভাবনায় আধুনিক, বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী অনেকের মাঝে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের ভুল ব্যাখ্যা কিংবা ধারণা সহজেই বাসা বাঁধে। ‘সহজেই’ বাসা বাঁধা সম্ভব হওয়ার কারণ হলো এই কুসংস্কারেরা বিজ্ঞানের ছদ্মবেশ ধরে সামনে আসে। এসব কুসংস্কার অনেক সময সত্যের অপলাপ; প্রকৃত-তথ্য বিকৃত করে তৈরি। অনেকক্ষেত্রে এরা গঠিত হয় বৈজ্ঞানিক গবেষণা-ফলাফলের অপব্যাখ্যা…
তিন মস্তিষ্কের টানাপোড়ন
তখন অনুসন্ধিৎসু চক্রের আজীবন সদস্য মোস্তাক ভাইয়ের বাসা ছিলো ঢাকার দক্ষিণ মুগদাপাড়ায়। সেসময় তিনি বিড়ালছানা আর একটি কালনাগিনী সাপ পুষতেন। সাপটি থাকতো একুইরিয়ামে। সাপ কখনো দুধ-কলা খায় না। ওকে মাঝে মাঝে টিকটিকি খাওয়ানো হতো। আমি স্কুলে পড়তাম। ঐ বিড়ালছানা-র সাথে খেলা ও সাপ ধরার আকর্ষণে কোন কোন বিকালে চলে যেতাম মোস্তাক ভাইয়ের বাসায়। সাপটা ধরতাম…