(পোস্টের সাথে সংযুক্ত ভিডিও গুলো ছাড়া আমার লেখার কিছুই বোঝা যাবে না। যারা আগ্রহ নিয়ে পড়বেন, তাদেরকে অনুরোধ করবো ভিডিওগুলো দেখতে।)
৮ম সেমিস্টারের অটোমোবাইল (Automobile) ক্লাসের কথা মনে পড়ছে। আমরা সবাই বয়লার ল্যাবে বসে আছি আর সিরাজুল করিম চৌধুরী (SKC) ক্লাস নিচ্ছেন। ক্লাস রুমের তুলনায় ছোট খাট একটা ব্ল্যাক বোর্ডে প্রাণান্তক চেষ্টা করছেন একটা ছবি আঁকার। ছবিটা হল ডিফারেন্সিয়াল গিয়ারের (Differential gear)। অনেক সময় নিয়ে তিনি ছবিটা আঁকা শেষ করলেন। এরপর অনেক কষ্ট করে ডিফারেন্সিয়াল গিয়ারের কার্যপদ্ধতি বোঝানোর চেষ্টা করলেন। ক্লাসে আর কে কি বুঝেছিল জানি না, তবে আমি কিছুই বুঝিনি।
পরে রুমে ফিরে এটা নিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করলাম। পেলাম এই ভিডিওটা।
[youtube http://www.youtube.com/watch?v=K4JhruinbWc&w=420&h=315]চমৎকার ভাবে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ডিফারেন্সিয়াল গিয়ারের কার্যপদ্ধতি এখানে দেখানো হয়েছে।
ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক ভাবে সিরাজুল করিম চৌধুরী স্যারের অবস্থান যেটাই হোক না কেন, নিঃসন্দেহে সকলেই স্বীকার করবে যে তিনি শিক্ষক হিসেবে সফল। কিন্তু তবুও কেন ক্লাসে তার পড়ানো বিষয়গুলো বুঝলাম না আমি? একটা কারন হল আমার গোবর ভরা মাথা, যেখানে লেখাপড়া ঢোকার কোন জায়গা নেই। এছাড়া আমার আরও যেটা মনে হয়েছে যে অটোমোবিলের এই বিষয়টা শুধুমাত্র ব্লাক বোর্ডে ছবি এঁকে বোঝানোর মত জিনিস না। এমনকি গাড়ির বিভিন্ন পার্টস খুলে এনে দেখালেও বিষয়গুলো পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায় না। কারন ব্লাকবোর্ডে আঁকা ছবি দেখে প্রকৃত ছবি বিষয়ে কোন ধারনা পাওয়া যায় না। আবার বিচ্ছিন্ন ভাবে কোন পার্টস খুলে এনে দেখালে সেটা কিভাবে গাড়ির ভেতরে কাজ করে, ঠিক কোন অবস্থানে লাগানো থাকে তা জানা যায়না। সিরাজুল করিম চৌধুরী (SKC) স্যার তার গাড়ির কাভার খুলে আমাদেরকে বিভিন্ন পার্টস দেখানোর চেষ্টা করতেন। সেটা হত আরেক সার্কাসের মত ব্যাপার। ৫১ জন ছাত্র-ছাত্রী হুড়োহুড়ি করে ঝাঁপিয়ে পড়ত গাড়ির উপর। কিন্তু সেখানে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এমন করে লাগানো থাকে যে কোনটার হয়তো মাথার কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে, কোনটা পুরু মেটাল কাভারে মোড়া, আবার কোনটা ইলেকট্রিক তার আর কোনটা ফ্লেক্সিবল পাইপ তাও বোঝা যায়না।
তাহলে বোঝানো সম্ভব কি দিয়ে? পুরোটা গাড়ির যদি আড়াআড়ি ভাবে কেটে দেখানো যেত তাহলে সবচেয়ে ভাল বোঝানো যেত। কিন্তু সেটাতো সম্ভব না। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে কোন থ্রিডি সফটঅয়্যারে তৈরি ৩ডি মডেল। সেখানে এটাকে কেটে কুচিকুচি করলেও কোন সমস্যা নেই। যদি একটা এনিমেশনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিষয়গুলো সুন্দর করে দেখানো হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই।
ছাত্র পড়াবার মুরোদ আমার নেই। আমার “ইয়ে” একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী করেন। তাকে মাঝে মাঝে ক্লাসের জন্য প্রেজেন্টেশন বানিয়ে সাহায্য করি। তাকে সাহায্য করতে গিয়ে দেখলাম ইঞ্জিনিয়ারিং এর জটিল বিষয়গুলো নিয়ে ইন্টারনেটে একটু খুজলেই দারুন দারুন সব ভিডিও/ছবি ইত্যাদি ম্যাটেরিয়াল পাওয়া যায়। সেগুলো ক্লাসে ব্যবহার করলে বিষয়গুলো ছাত্রদের খুব সহজেই বোঝানো যাবে।
ইন্টারনেটে দূরশিক্ষণের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী কাজটি করেছে আমাদের সালমান খান। বলে রাখা প্রয়োজন যে সালমান খান হলো বাংলাদেশী বংশদ্ভূত এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী যুবক। তার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এখানে। উনি ক্লাস রুমের ধারনাটাই পাল্টে দিয়েছেন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ভালো শিক্ষক থাকবে এমন কোন কথা নেই। তাই বলে শিক্ষা তো আর থেমে থাকবে না। তার দেখানো পদ্ধতিতে একজন ভালো শিক্ষক একসাথে দুনিয়াজোড়া ক্লাস নিতে পারে। সালমান খান কে নিয়ে সচলায়তনে কয়েকটা লেখাও এসেছিল। সেগুলো হল— এইটা এবং এইটা।
ইউটিউবে ক্লাসরুম খুলে বসা এই যুবক একই সাথে বিলগেটসের বাড়ি থেকে শুরু করে দুনিয়ার আনাচে কানাচে নাম না জানা অসংখ্য মানুষকে পড়াচ্ছে। সে বিভিন্ন বিষয়ে লেকচার ইউটিউবে আপলোড করে এবং সেগুলো খান একাডেমি নামক ওয়েব সাইটে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে সাজিয়ে রেখেছে। সেখানে যে কেউ এসে ভিডিওগুলো দেখতে পাবে। পরবর্তিতে জানতে পারলাম সালমান তার ভিডিওগুলো বাংলায় অনুবাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক খুঁজছেন। এটা নিয়ে সাহায্য চাইতে সচলে একটা লেখাও আসলো। সেখানে অনেকেই উৎসাহ দেখালেন। আবার কেউ কেউ বললেন এটা হবে অযথা সময়ের অপচয়। সেখান থেকে রাগিব ভাইয়ের কমেন্টের একাংশ তুলে দিচ্ছি।
ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এই ব্যাপারে একটা প্রশ্ন আগেও করেছিলাম, সেটা হলো – সালমান খানের ভিডিওগুলো ইংরেজি থেকে বাংলায় সরাসরি অনুবাদ করলে সেগুলোর কার্যকারিতা কি একই থাকবে? সালমানের ভিডিওর সাফল্যের বড় কারণ হলো গল্পছলে ইংরেজিতে তার পড়ানোর ক্ষমতা। প্রশ্ন হলো, একই ভিডিও ব্যবহার করে কেবল ইংরেজি স্ক্রিপ্ট ধরে বাংলা অনুবাদ করলে এই ভিডিও একই রকম আকর্ষণীয় বা কার্যকর হবে কি?
তারপর অনেক দিন চলে গিয়েছে। হঠাৎ করেই জানতে পারলাম খান একাডেমির ভিডিওগুলো বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। খুব উৎসাহ নিয়ে ভিডিওগুলো দেখতে গেলাম। কিন্তু হতাশ হতে হল। রাগিব ভাইয়ের কমেন্টের কথা বারবার মনে আসছিলো। কাষ্ঠ কাষ্ঠ কন্ঠের আক্ষরিক অনুবাদ ভিডিওগুলোর বারটা বাজিয়ে দিয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবকেরা ইংরেজী স্ক্রিপ্ট বাংলায় অনুবাদ করেছেন। সেগুলো ভিডিও সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে রেকর্ড করেছেন। নিঃসন্দেহে অনেক কষ্ট করেছেন। তবে এতগুলো মানুষের এই পরিশ্রম আমার কাছে স্রেফ সময়ের অপচয় বলে মনে হয়েছে। উদাহরন হিসেবে একই ভিডিও বাংলা এবং ইংরেজীতে কেমন হয়েছে দেখতে পারেন।
ইংরেজী–
[youtube http://www.youtube.com/watch?v=8wZugqi_uCg&w=420&h=315]
খান একাডেমি’র সাইটে বাকি ভিডিওগুলো আছে।
বাংলা–
[youtube http://www.youtube.com/watch?v=z62CHh6E9n0&w=420&h=315]
‘খান একাডেমি বাংলা’ সাইটে বাকি ভিডিওগুলো আছে।
তাহলে কিভাবে আরও সহজবোধ্য ভাবে কাজটা করা যেত? আমার মনে হয় বাজারে একটা গ্রাফিক্স ট্যাবলেটের দাম খুব বেশি নয়। এটা দিয়ে এই সব স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেরাই খুব সহজে কিছু বাংলা ভিডিও তৈরি করতে পারতেন। সেটা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতো। এখন গ্রাম-গঞ্জেও স্কুল করতে চেয়ার টেবিলের সাথে যে জিনিসটা লাগে তা হল কম্পিউটার। অনেক স্কুলেই এখন কম্পিউটার পৌঁছে গেছে। এই সব সহজ ভিডিউগুলো যদি ঐসব স্কুলে পৌঁছানো যেত, তাহলে দারুন একটা ব্যাপার হত। আগে বিটিভিতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস প্রচারিত হত। সেখানে বেশ ভাল ভাবেই পড়াতে দেখেছি। এই বিষয়টা অনেকটা তেমনি হবে। তবে আরো বড় আকারে করতে পারলে গ্রামে-গঞ্জের স্কুলগুলোতে ভাল শিক্ষকের অভাব হয়তো খানিকটা প্রশমিত হত। কম্পিউটার থাকতেই হবে তেমনও নয়। সাধারন সিডি প্লেয়ার দিয়েও কাজ চালানো যেতে পারে।
ছাত্র জীবনে গণিত নিয়ে আতঙ্কে থাকেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে গত কয়েক বছরে মুহম্মদ জাফর ইকবাল আর কায়কোবাদ স্যার মিলে দেশব্যাপী গণিত অলিম্পিয়াড নামে যে দজ্ঞযজ্ঞ শুরু করেছেন, আর তাতে বাচ্চাকাচ্চারা দলে দলে যেভাবে অংশ নিচ্ছে, তা দেখে মনে হয়না গণিতে ভয়ের কিছু আছে। এই কাজটা জাফর স্যার আর কায়কোবাদ স্যার খুব কৌশলে শুরু করেছিলেন। প্রথম আলোতে ধাঁধাঁ টাইপ গাণিতিক সমস্যা দিয়ে ছোটদেরকে গণিতের মজাটা ধরিয়ে দিয়েছেন। তারপরেই ছোটরা এতে আকৃষ্ট হয়েছে। তাঁরা দুজন বিভিন্ন গণিতবিদের জীবনী আর তাদের আবিষ্কারের কথাগুলো খুব মজা করে লিখেছিলেন। এভাবেই পুরো ফিল্ডটা তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে থেকে চমক হাসান নামে একজন গণিত নিয়ে বেশকিছু মজার মজার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করছেন। গত ১৪ তারিখে পাই দিবস উপলক্ষে আপলোড করা ভিডিওটা এখানে দিয়ে দিচ্ছি।
[youtube http://www.youtube.com/watch?v=2zcuoEjuVCs&w=420&h=315]
বাকি ভিডিও গুলো এই প্লে-লিস্টে পাওয়া যাবে।
এমন মজার ভিডিওগুলোও বেশ কাজের। এগুলোও ছাত্রদের মনে জানার আগ্রহ তৈরি করে। আশা করি চমক হাসান এমন আরও অনেক ভিডিও তৈরি করে আমাদের চমক দিবেন এবং তার চমক দেখে আরও অনেকেই চমক দেবার জন্য এগিয়ে আসবেন। 🙂
সন্ধ্যার পরে ইউটিউবে ঘোরাঘুরি অনেকটা নেশার মত হয়ে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে “Eureka!” নামে একটা কার্টুন সিরিজ দেখতে পেলাম। সেখানে হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার বিষয়গুলো খুব সুন্দর করে বোঝানো হয়েছে। একটা ভিডিও দিচ্ছি—
[youtube http://www.youtube.com/watch?v=pG_kT565-XQ&w=420&h=315]
এই সিরিজটির ৩০ টি পর্ব পাওয়া যাবে এখানে।
এই ধরনের এনিমেশন বেশ কাজের। একটা এনিমেশন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তুলবে। তবে এই ক্ষেত্রে সরকারের সাহায্য ছাড়া আগানো সম্ভব হবে না। কারন হল কার্টুন তৈরির খরচ। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিক্ষা নির্ভর কমিক্স তৈরির একটা চিন্তা করা যেতে পারে।
বিজ্ঞান শিক্ষার্থী মাত্রই বিজ্ঞান মেলার মজাটা বোঝে। প্রোজেক্ট তৈরি করা, সেটা দেখানো বা মেলায় বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখতে যাওয়া কি যে মজার, তা বলে বোঝানো যাবেনা। আগে বিটিভিতে এধরনের বেশ কিছু ইংরেজী অনুষ্ঠান হত। ব্যাকটু দ্যা ফিউচার কার্টুন শেষে একটা করে সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট দেখানোর কথা মনে আছে। এখন তো অনেক চ্যানেল এসেছে। অনেক দিন টিভি দেখিনা, যতদূর জানি কেউ-ই এমন কোন অনুষ্ঠান প্রচার করেনা। সবাই সেই গৎবাঁধা স্টাইলে ঘন্টায় ঘন্টায় খবর, বিজ্ঞাপন, বিরক্তিকর টক-শো আর স্ক্রিপ্ট বিহীন নাটক নিয়েই ব্যস্ত। লেবু থেকে ব্যাটারী, এসিড আর তামা-দস্তার পাত দিয়ে ড্যানিয়েল সেল, সোডা-লেবু থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি, পানির তড়িৎ বিশ্লেষণ করে হাইড্রোজের অক্সিজেন তৈরি এই ধরনের সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে কোন অনুষ্ঠান তৈরি করলে সেটা কি ফ্লপ খাবে? হলফ করে বলতে পারি খাবে না। এটা বিজ্ঞান মনষ্ক একটা জেনারেশন তৈরি করে দিবে। ইউটিউব থেকে লেবু দিয়ে ব্যাটারী বানাবার একটা ভিডিও দিচ্ছি।
[youtube http://www.youtube.com/watch?v=AY9qcDCFeVI&w=420&h=315]
জাইরোস্কোপ নিয়ে এই ভিডিও টা-ও দারুন।
[youtube http://www.youtube.com/watch?v=cquvA_IpEsA&w=420&h=315]
এই ধরনের বাংলা ভিডিও কি বানানো যায়না? ৭ম/৮ম শ্রেণীর সহজ এক্সপেরিমেন্টগুলো ভিডিও আকারে খুব সহজেই ইউটিউবে দেয়া যেতে পারে। স্কুলে ১০ম শ্রেণীর আগে আমাদের ল্যাবের আশে পাশে যাওয়া আমাদের রীতিমত নিষেধ ছিল। আমরা নাকি সব ধ্বংশ করে ফেলব!! ঠিক আছে, আমাদের ভিডিও দেখান। এসিড পড়ে হাতও পুড়বে না, টেস্টটিউব ভেঙ্গে হাতও কাটবে না। মাঝে থেকে বিজ্ঞানকে আরও ভাল ভাবে জানা হয়ে যাবে। দেশে-বিদেশ আমাদের অনেকেই তো এমন ল্যাবে কাজ করছি। সেখানে কি ৫ মিনিটের এমন সহজ ভিডিও তৈরি করা যায় না? খুব যায়। প্রয়োজন শুধু চমক হাসানের মত একটু ইচ্ছার।
বহুত লেকচার দিয়েছি। হাতে কাজ ছিল না, তাই আবজাব লিখলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়টি দিয়ে লেখা শুরু করে শিশুতোষ বিজ্ঞান প্রজেক্টের কথা দিয়ে শেষ করলাম। আমার এই লেখার মূল উদ্দেশ্য হল এমন দূর শিক্ষণের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তোলা সম্ভব। আর শিক্ষার মূল বিষয়টাই তো হল আগ্রহ। এটা একবার জাগাতে পারলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন সবাই। 🙂
(বিঃ দ্রঃ লেখাটি প্রথমে সচলায়তন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল। লিংক)
Leave a Reply