(এই শিরোনামে জীববিজ্ঞানের কিছু সহজ পরীক্ষা যেগুলো আমাদের দেশের সাধারন পরীক্ষাগারেই করতে পারি তার প্রক্রিয়াগুলি তুলে ধরছি।)
খুবই সহজ। নিজের বাসায় বসেই করতে পারেন বা ছোটখাটো স্কুল গবেষণাগার হলে তো কথাই নাই। দেখা যাক কিভাবে।
যা যা লাগবে:
১। আপনার থুথু
২। গ্লাস বা যেকোন কাঁচের পাত্র
৩। খাবার লবণ
৪। বাসন ধোয়ার তরল ডিটারজেন্ট
৫। জাম্বুরার রস
৬। এলকোহল (এথানল বা এন্টিসেপ্টিক এলকোহল দিয়ে কাজ হবে)
কিভাবে করবেন:
১। গ্লাসে থুথু নিন। ৩/৪ বার থুথু দিলেই হবে।
২। এক চিমটি লবণ দিয়ে দিন আর অল্প নাড়াচাড়া করুন যেন লবন মিশে থুথু তে।
৩। এরপর তার মধ্যে একটা ছোট ড্রপ ডিটারজেন্ট দিন এবং আলতো করে মেশান কিছু দিয়ে।
৪। এরপর গ্লাসটিতে এক ড্রপ জাম্বুরা রস দিন এবং আবার নাড়ান।
৫। শেষটাতে এক ড্রপ এলকোহল দিয়ে নাড়িয়ে নিন।
৬। উপরে যেই ভাসমান সাদা আঠালো জিনিসটা দেখতে পাবেন সেটাই আপনার ডিএনএ।
হয়ে গেল ডিএনএ পিউরিফিকেশান।
বাড়তি তথ্যঃ
-এইটা আরও ভাল হয় যদি একটু লবনের দ্রবণ তৈরি করে সেটা মুখে নিয়ে ভাল করে কুলি করে একটা গ্লাস এ নেয়া যায়।
-মুখের মধ্যে অনেক ব্যাকটেরিয়াও থাকে। সেজন্য যেই ডিএনএ টা দেখবেন সেখানে আসলে কিছু ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএও থাকে।
কিভাবে কাজ করে:
এখন এই জিনিসটা কিভাবে কাজ করে সেটা একটু ব্যাখ্যা করি। আমরা জানি আমাদের থুথুতে গালের কোষ থাকে। কোষের ভেতরে নিউক্লিয়াসে থাকে ডিএনএ। এখন ডিএনএ কে বের করতে হলে কোষটাকে ভেঙে ফেলতে হবে। সেই কাজটি করে ডিটারজেন্ট।
এবার ডিএনএ যখন কোষ থেকে বের হয়ে আসে তখন অনেকগুলো প্রোটিনও বের হয়ে আসে যা ডিএনএ কে ভেঙে ফেলতে পারে। কোষের ভিতর প্রোটিনগুলো থেকে ডিএনএ অণুগুলি পৃথক থাকে বলে ডিএনএ’র কোন ক্ষতি হয়না। কিন্তু কোষ ভেঙে ফেলার পরে সবকিছু এখন একটা দ্রবণে চলে এসেছে। সেইজন্য জাম্বুরার রস দেয়া হয়। জাম্বুরা রসে আছে এমন কিছু উপাদান যা ‘ডিএনএর সাথে বন্ধন তৈরি করে বা তাকে ভেঙে ফেলে’ এমন প্রোটিন কে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
সবশেষে, লবণ এবং এলকোহল দ্রবণ থেকে ডিএনএ কে পৃথক করে ফেলে।
এই ডিএনএ দিয়ে কেউ অন্য পরীক্ষা করতে চাইলে একটা কাঠি দিয়ে সাদা আঁঠালো অংশটুকু তুলে সেটা দিয়ে কাজ করতে পারেন।
Leave a Reply