তখন অনুসন্ধিৎসু চক্রের আজীবন সদস্য মোস্তাক ভাইয়ের বাসা ছিলো ঢাকার দক্ষিণ মুগদাপাড়ায়। সেসময় তিনি বিড়ালছানা আর একটি কালনাগিনী সাপ পুষতেন। সাপটি থাকতো একুইরিয়ামে। সাপ কখনো দুধ-কলা খায় না। ওকে মাঝে মাঝে টিকটিকি খাওয়ানো হতো। আমি স্কুলে পড়তাম। ঐ বিড়ালছানা-র সাথে খেলা ও সাপ ধরার আকর্ষণে কোন কোন বিকালে চলে যেতাম মোস্তাক ভাইয়ের বাসায়। সাপটা ধরতাম লেজের দিক দিয়ে। ছোট সাপটি ধরলেই সে হাতকে পেঁচিয়ে ফেলতো। ওর সামনে আরেকটি হাত দিলে সে ছোবল মারার চেষ্টা করতো। বেশিরভাগ সাপের মতোই এটি ছিলো নির্বিষ। নির্বিষ হলেও ছোবল দেয়াটা ছিলো তার বিপদ-সময়ে প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থার অংশ। মোস্তাক ভাই বলতেন, বিড়াল পোষ মানলেও সাপ কখনো পোষ মানে না। কারণ সাপের পোষ মানানোর মতো কোন উন্নত মস্তিষ্ক নেই। সাপের মস্তিষ্ক আদিম, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও টিকটিকি-সরবরাহকারী প্রতিপালক চেনার কোন ক্ষমতা ছিলোনা তার।
মস্তিষ্ক আমাদের সবচেয়ে প্রিয় অঙ্গ। এই মগজেই আমরা আবেগময় প্রেম, স্নিগ্ধ ভালোবাসা ও কোমল সৌন্দর্য অনুভব করি। মস্তিষ্ক হলো সেই জায়গা যেখানে আমরা দোষবোধে আক্রান্ত হই, হয়ে পড়ি বিষণ্ণ কিংবা ফেটে পড়ি ক্রোধে। অজস্র স্নায়ুকোষের সংযোগে তৈরি মস্তিষ্কের কার্যপ্রক্রিয়া বেশ জটিল। অবশ্য গোটা মহাবিশ্বের একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জটিলতা। গ্যালাক্সি, ব্ল্যাকহোল কিংবা জীবকোষের মতো সব অসাধারণ জিনিসই এখানে অত্যন্ত জটিল, সুক্ষ্ণ ভাবে কাজ করবার জন্যে তৈরি। মস্তিষ্ক কিভাবে এসব চমৎকার সব সুক্ষ্ণ সুক্ষ্ণ কাজ সুনিপুনভাবে করে চলছে তা বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যময়। কিন্তু রহস্যময়ী রূপসী প্রকৃতির ঘোমটা উন্মোচন না করা পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বিরাম নেন না। মস্তিষ্কের রহস্য ভেদ করা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। তবে একটা জিনিস আমরা সন্দেহাতীত ভাবে জানি – আমাদের খুলির ভেতর তিনটি মস্তিষ্ক রয়েছে। গোড়ারটি সরীসৃপীয় মস্তিষ্ক, মাঝেরটি স্তন্যপায়ীদের। আর বাইরেরটি প্রইমেট-মস্তিষ্ক – যে প্রাইমেট মস্তিষ্কের পূর্ণ বিকাশ ঘটেছে মানুষের মধ্যে।
মস্তিষ্ক বেশ দীর্ঘসময় ধরে এই পৃথিবীতে বিবর্তিত হয়ে চলছে। সরীসৃপরা কয়েকশ মিলিয়ন বছর আগে মস্তিষ্কযন্ত্রটি আয়ত্ত করেছে। একসময় ডাঙায় কোন বুকে-হাঁটা প্রাণী ছিলো না। সরীসৃপ-মস্তিষ্ক আগমনের সময় থেকে কিছু নতুন অনুভূতি দেখা দিলো পৃথিবীতে: লালসা, ক্রোধ ও উগ্রতা। হঠাৎ বিপদের মুখে ‘যুদ্ধ কিংবা পলায়ন’ – এই রণকৌশলের আবির্ভাবও হয়েছে সরীসৃপদের হাত ধরে। সরীসৃপের মস্তিষ্ক বেশ ছোট, কাজের দিক দিয়ে সরলও বটে। এই মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা, দৃষ্টি ও দেহের নড়াচড়ার মতো প্রাথমিক দায়িত্ব। এর পাশাপাশি সরীসৃপদের মধ্যে এই আদিম মস্তিষ্কটি আরোপ করে ডাঙার হিংস্র লড়াই, কামনাদৃপ্ত মিলন ও ক্রুঢ় ক্রোধের প্রদর্শনী।
বলা বাহুল্য, এই আবেগ-অনুভূতিগুলো তেমন জটিল নয়। সরীসৃপ মস্তিস্ক তার মালিকদের আনুগত্য কিংবা বিশ্বস্ততার মতো তুলনামূলক সুক্ষ্ণ অনুভূতি নিয়ে কাজ করতে দেয় না। মা-কুমির ডাঙায় ডিম পাড়ার পর অন্য কোন দায়িত্ব অনুভব করে না – ডিম ফেলে চলে আসে সে। ডিম থেকে বাচ্চা কুমিররা নিজে থেকেই বড় হয়। জীবনের শুরু থেকেই তাদের আচরণ হয় পুর্ণাঙ্গ-কুমিরের মতো চন্ডাল স্বভাবের । নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব তাদের একান্তই নিজেদের। কারণ তাদের পিতা-মাতা কিংবা অন্যান্য কুমিররা দুপুরের খাবার হিসেবে ওদের সাবাড় করতে কোন আপত্তি করবে না।
মোটামুটি একশ মিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথিবীতে আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার উদ্ভব হয়। কারণ স্তন্যপায়ীদের আবির্ভাব ঘটে এই সময়ে। সরীসৃপদের চাইতে স্তন্যপায়ীদের মস্তিষ্ক যথেষ্ট জটিল। বেড়াল-কুকুরের দুইটি মস্তিষ্ক রয়েছে। আদিম মস্তিষ্কটা হলো সরীসৃপদের মতোই দেখতে — সুষুম্না কান্ডের উপর দুম করে বসে গেছে এটি। এই আদিম মস্তিষ্কটি শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ সহ দেহ পরিচালনার যাবতীয় মৌলিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করা। যন্ত্রটাকে ঝালাই করা হয়েছে যাতে স্তন্যপায়ীরা যৌন-ইশারায় উত্তেজিত হয়ে উঠে, বাতাসে বিপদের গন্ধ পেলেই সেখান থেকে দূরে সরে যায়। সরীসৃপীয় মস্তিষ্কের আরেকটি কাজ হলো নিজেস্ব এলাকা অন্যদের কাছ থেকে রক্ষা করা। কুকুররা দেখবেন নিজেদের এলাকায় প্রতিবেশী কুকুর এলে খুব বিরক্ত হয়, ঘেউ ঘেউ শুরু করে। এই মস্তিষ্ক থাকার মানে দাঁড়ায় সব স্তন্যপায়ীই আসলে একটা নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত বুকে-হাঁটা সরীসৃপদের মতোই আদিম, অমার্জিত, স্থুল।
সরীসৃপীয় মস্তিষ্কের উপরে স্তন্যপায়ীদের আরেকটি বড় মস্তিষ্ক গড়ে উঠেছে। এটাকে বলা হয় লিম্বিক মস্তিষ্ক।
লিম্বিক মস্তিষ্ক – স্তন্যপায়ীদের নতুন মগজের স্তর সরীসৃপীয় মস্তিষ্কের উপরে। লিম্বিক মস্তিষ্ক এর সরীসৃপীয় পূর্বসূরীর চেয়ে বেশি জটিল। এখানে স্নায়ুগুলো ঘন সন্নিবিষ্টভাবে সংযুক্ত থাকে। এই মস্তিষ্কের ফলে সরীসৃপদের তুলনায় সমৃদ্ধশালী অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পারে স্তন্যপায়ীরা। আমরা সবাই জানি, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের পোষ মানানো যায়। এমনকি বাঘ-ভাল্লুকদেরকেও সার্কাসের জন্য খেলা খেলা শেখানো যায়। সরীসৃপরা কখনো পোষ মানে না। সার্কাসে কোন কুমিরকে দেখবেন না খেলা দেখাতে। এজন্যে যতই দুধকলা(!) দিন, সাপ সুযোগ পেলেই আপনাকে ছোবল মারবে। যারা কুকুর পোষেন, জানেন যে এরা খুব প্রভুভক্ত প্রাণী। মনিবদের প্রতি এদের আনুগত্য, বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রচুর গল্প আছে।
লিম্বিক মস্তিষ্ক ব্যবস্থার নির্মাণকৌশল সরীসৃপ-মস্তিষ্ক থেকে আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য। বিবর্তন একটি রক্ষণশীল প্রক্রিয়া। যেসব দেহ-নকশা নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারে, পুরনো হয়ে গেলেও বিবর্তন তাদের রেখে দেবে। দেহের খুব প্রাথমিক কিন্তু মৌলিক কাজগুলো অবিরত করার জন্যে সরীসৃপীয় মস্তিস্ক চমৎকার জিনিস। তাই চাকা নতুন করে আবিষ্কারের দরকার কি? এজন্যে স্তন্যপায়ীর উদ্ভবের সময়ে পুরনো সরীসৃপীয় মস্তিষ্কটা রেখে দিয়ে তার উপর নতুন মগজের স্তর সংযোজন করে আরেকটু জটিল মস্তিষ্ক নির্মাণ করেছে অন্ধ-ঘড়িনির্মাতা প্রকৃতি।
কাব্য, চিত্রকলা, ভাষা ও যুক্তি পৃথিবীতে এসেছে মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে, আমাদের পূর্বপুরুষের আবির্ভাবের সাথে সাথে। নরবানর ও মানুষের গোষ্টীর নাম এপ। এই এপদের রয়েছে তিনটি মস্তিষ্ক। মানুষের ক্ষেত্রে এই তিন-নাম্বার মস্তিষ্কটি বিশাল বড়। এই তৃতীয় মস্তিষ্কের ভেতরে থাকে মানুষের যাবতীয় বৌদ্ধিক সম্পদ — গণিত ও সংগীত, প্রতারণা ও রাজনীতি, ধর্ম ও বর্ণবাদ। এই তৃতীয় মস্তিষ্কের বিভিন্ন ব্যবহারের ফলে কেউ হয়ে ওঠে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কিংবা হুমায়ুন আহমেদ, তাজউদ্দীন কিংবা খন্দকার মোশতাক আহমেদ, সত্যেন বসু কিংবা গোলাম আজম। একে বলা হয় নিওকর্টেক্স – বাংলায় নতুন মস্তিষ্ক নামে ডাকা যেতে পারে।
নতুন মস্তিষ্ক কাজের দিক দিয়ে পুরোপুরি স্বাধীন নয়। তাকে সরীসৃপীয়-মস্তিষ্ক ও স্তন্যপায়ীর-মস্তিষ্কের উপর অনেকখানি নির্ভর করতে হয়। যে কারণে আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো প্রায়শই অদ্ভূতুড়ে হয়ে পড়ে। যেমন ধরুন, ভাষার বাড়ি মানবিক নতুন-মস্তিষ্কে। কিন্তু আবেগ তো থাকে সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ীর মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে। তাই আবেগের জগতটা ভাষার অট্টালিকা থেকে আলাদা, ভিনদেশি।
আমাদের যুক্তি ও কার্যকারণ খোঁজার বৌদ্ধিক ক্ষমতা থাকে নতুন মস্তিষ্কে। আর আবেগ-অনুভূতি থাকে পুরনো দুইটি মস্তিষ্কে। নতুন মস্তিষ্ক যুক্তি দিয়ে যখন কোন ঘটনা বোঝার চেষ্টা করছে, সমান্তরালে তখন স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপীয় মস্তিস্ক আবেগ-কেন্দ্রীক কার্যক্রম চালু রাখছে। মস্তিষ্কের পুরনো ও নতুন ভাগের কাজের ভিন্নতা আমাদের মানব-জীবনে নানা রকম অযাচিত পরিস্থিতি তৈরি করে। যেমন আপনি হয়তো ওজন কমানোর জন্যে খাবার-নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দুপুরে বাইরে খেতে গিয়ে তেল-চর্বিযুক্ত খাবার দেখে লোভ-সংবরণ করতে পারছেন না কিছুতেই। এর কারণ হলো আমাদের তিনটি মস্তিষ্কের মধ্যে পুরাতনগুলোর উদ্ভব হয়েছিলো এমন সময়ে যখন খাবার ততোটা সুলভ ছিলোনা। শিকার করার জন্যে বনে-জঙ্গলে চরে বেড়ালেও খাবার পাওয়া যাবে কি না তার কোন নিশ্চয়তা ছিলো না। তাই বাঁচার তাগিদে ‘যখন যাই পাওয়া যাচ্ছে তাই খেয়ে নাও’ এই কৌশল গ্রহণ করেছিলো পুরনো মস্তিষ্ক। এই পুরনো মস্তিষ্ককে বই-পড়ুয়া নতুন-মস্তিষ্ক দিয়ে শাসন করা সহজ নয়। ফলস্বরূপ আমরা ক্রমশ স্থুল হতে থাকি। (এখানে আমি বলছিনা যে বাড়তি খাবারের লোভ সংবরণ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। প্রকৃতপক্ষে নিজেকে শৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। এই শৃঙ্খলা অবশ্যই আরোপ করবে নতুন মস্তিষ্ক।)
পুরনো মস্তিষ্কদ্বয় কথা বলতে পারে না। ভাষা ও কথা বলার ক্ষমতা রয়েছে কেবল নতুন-মস্তিষ্কের। পুরাতন মস্তিষ্কদ্বয় কেবল আবেগ-অনুভব করে অনুরূপ কাজ করতে পারে। এ কারণে মানুষ জীবনে অনেক স্ববিরোধী কাজ-কারবার করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে কেউ কেউ ভালোবাসার মানুষের সাথে প্রতারণা করে ভিন্ন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। তিনটি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ তিনটি ভিন্ন লেন্স দিয়ে দেখলে ব্যাখ্যা দেয়া যায় কেন মানুষ এইধরনের টানাপোড়নে পড়ে। আদিম সরীসৃপীয় মস্তিষ্ক কাম-লালসা উস্কে দেয়। অন্যদিকে স্তন্যপায়ী মস্তিষ্ক ভালোবাসা ও আনুগত্যের হিসাব-নিকাশ করে। আর নতুন-মস্তিষ্ক রোমান্টিক সম্পর্ক ও নৈতিকতার ধ্বজধারী হয়ে চলার চেষ্টা করে।
যেমন ধরা যাক পরকীয়ায় লিপ্ত কোন ভদ্রলোকের কথা। তিনি বিবাহিত, নিজের স্ত্রীকে ভালোওবাসেন। কিন্তু অন্য নারীর প্রতি অদিম আসক্তি এড়াতে পারছেন ন। তাই নিজের স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করেন অন্য রমণীর সাথে সম্পর্ক গড়ার জন্যে। তিনি নতুন সম্পর্কের পরিতৃপ্তি উপভোগ করছেন। একই সাথে নিজ স্ত্রীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতার কারণে মনে মনে অপ্রসন্ন হয়ে আছেন। আবার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যৌক্তিক কারণও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
উপরের প্রত্যেকটি ঘটনা ঘটছে ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন অংশে। তার সরীসৃপীয়-মস্তিষ্ক লালসা অনুযায়ী কাজ করে তা উপভোগ করছে। ওদিকে স্তন্যপায়ীর মস্তিষ্ক দেখছে যে তিনি স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার পারস্পারিক বিশ্বাস ভেঙে ফেলেছেন। এজন্য মনে একটা দুঃখভাব, অপ্রসন্নতা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে মানবীয় নতুন-মস্তিস্ক অজুহাত খুঁজে চলছে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্যে।
জীবনের অনেক রোমান্টিক ঝুটঝামেলা, হৃদয়ের পিছুটান ও যুক্তির দ্বন্দ্বের পেছনে দায়ী আসলে আবেগ ও বিবেচনাশক্তির মাথার ভেতর ভিন্ন ভিন্ন মস্তিষ্কে কাজ করার কর্ম-বিভাজন। আমাদের বৌদ্ধিকসত্তা সহজে বুঝতে পারে গোটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও দারিদ্র্য। কিন্তু বৌদ্ধিকসত্তার বাড়ি নতুন মস্তিষ্কে। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক নেতারা সন্ত্রাসের-ভয়-দেখিয়ে জাতীয়তাবাদের-বুলি-আউড়িয়ে ভোগবাদের-মূলা-ঝুলিয়ে আমাদের সরীসৃপীয় আর স্তন্যপায়ীর মস্তিষ্ককে খুব সহজেই চালিত করতে পারেন। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রপাগান্ডা, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন ও বড় অর্থনৈতিক শক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রচার মাধ্যম তাই সহজেই পারছে আবেগের ঢেউয়ে যুক্তি-বুদ্ধিকে উড়িয়ে দিতে। যে কারণে পৃথিবীতে ক্রমাগত বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তির বর্জ্য, বনগুলো ক্রমাগত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, জীববৈচিত্র্য পড়ছে হুমকির মুখে।
Humans have three brains By James Thornton অনুসরণে লেখা।
পরবর্তী লেখা: ”মগজ-ঘরে বসত করে কয়জনা?”
Leave a Reply