অসম্ভব কে সম্ভব করাই নাকি অনন্ত জলিলের কাজ। কিন্তু এইবার সেই অসম্ভব কেই সম্ভব করে দিলেন দুই বিজ্ঞানি Tippett (astrophysicist) এবং Tsang (Theoretical physicist)। Doctor Who প্রোগ্রাম টি যারা দেখেছে তারা হয়্ত জানেন যে প্রোগ্রামটি তে একটা টাইম মেশিন তৈরি করে Doctor যিনি কিনা আসলে অন্য এক গ্রহ Gallifreyan এর বাসিন্দা, Gallifreyander কে সময়ের প্রভু বলা যায়. তাদের technology আমাদের চাইতে অনেক এগিয়ে থাকে। Doctor TARDIS নামের একটা টাইম মেশিনে করে সময়ের মাঝে ছুটে বেড়াতেন. কেউ যদি এখন Britain এ গিয়ে খোঁজ করে Doctorএর টাইম মেশিন দেখতে পাবেন যা কিনা একটা পুলিশ বক্স এর আদলে এখনো ঠাঁয় দাড়িয়ে আছে। Doctor Who এর টাইম মেশিন বা বাস্তবিক এ সমভব বলে ইংগিত দিলেন এই দুই বিজ্ঞানি তাদের সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষনা পত্রে। তাদের গবেষনা পত্রের শিরোনাম TARDIS (Travesable Achronal Retregrade Domains In Spacetime; ভাবানুবাদ অনেকটা এমন: সময় কালের মাঝে অতীত-ভবিষ্যতে ভ্রমন করার দ্বার).
তো চলুন ঘুরে আশি Gallifreyan দের রাজ্য থেকে, উন্মোচন করি সময় রহস্যের দ্বার। তার আগে আমাদের একটু Spacetime geometryএর দিকে তাকানো দরকার। Spacetime geometry দিয়ে খুব সহজেই আমাদের বাস্তবতার সময়ের বুনন কাঠামোকে ব্যাখ্যা করা যায়। আর একটু সহজ করে বললে অতিত,বর্তমান, ভবিষ্যৎ কে বিন্দু কল্পনা করে তার সাথে স্থানের জ্যামিতিক চিত্রই spacetime geometry,যার এক বিন্দু হতে অন্য বিন্দুতে অনায়াশেই যাওয়া সম্ভব।
আমাদের বিশ্বভ্রমান্ডের প্রকৃতি এই spacetime geometry তেই নিহিত। Tippett এবং Tsang তাদের গবেষনা পত্রে দেখিয়েছেন কিভাবে এই কল্পনার TARDIS কে বাস্তবে রুপ দেয়া সম্ভব, যদিও হয়ত এখন সম্ভব না- কে জানে অদূর ভবিষতে হয়ত সম্ভব হবে।
একটা TARDIS কে চালাতে হয় তাহলে সেটাকে এমন একটা ভ্রমান্ডে রাখতে হবে যেখানে CTCs গঠন করা সম্ভব (CTCs=closed timelike curb; সময়কে গাণিতিক ভাবে প্রকাশ করলে যেখানে closed timelike curb সৃষ্টি হবে ,মানে সময়ের মাত্রা নির্দেশকারী বক্র রেখা তার নিজের উপর পতিত হবে যার ফলশ্রুতিতে একটা লুপ সৃষ্টি হবে). এখন কেউ যদি এই লুপ এর ভেতর ঢুকে যেতে পারে কিংবা তার চারপাশে এমন একটি লুপ তৈরী করতে পারে তাহলে সে খুব সহজেই সময়ের সামনে-পিছে ভ্রমন করতে পারবে।
Tippet এবং Tsang এর প্রস্তাবিত TARDIS টা ঠিক এমনি এক CTCs তৈরী করে সময়ের সমুদ্রে ডুব দেয়ার জন্যে। তবে কিছু সমস্যা আর বিপদ থেকেই যায় এই টাইম মেশিনে এ। এমন একটি TARDIS bubble তৈরী করতে হলে ভ্রমণকারীদের প্রথমেই Exotic matter(Exotic matter পদার্থবিজ্ঞানে কাল্পনিক এক পদার্থ যাদের ঋনাতক ভর থাকে) ব্যাবহারের প্রয়োজন পরবে যা পদার্থবিজ্ঞানের সাধারন ক্রিয়াকৌশল কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করবে। এই প্রতিবন্ধকতাটা জয় করা গেলেই TARDIS মেশিন টি বৃত্তাকারে স্থান কালে ভ্রমনের উপযোগী হয়ে যাবে মানে অতিত থেকে ভবিষ্যৎ আবার ভবিষ্যৎ থেকে অতিতে।
এখন এই ভ্রমণকে আরো রোমাঞ্চকর করতে চাইলে এমন দুইটা TARDIS bubble এর প্রান্ত একসাথে জুড়ে দিলেই কেল্লা ফতে।
যখনই TARDIS,যার ভেতর আপনি বসে আছেন, তার দিক পরিবর্তন করবে, এটা নতুন একটা bubble এ প্রবেশ করবে। আরও খোলাসা করে বললে দুইটা পরপরযুক্ত TASDIS bubble এর এক প্রান্ত দিয়ে আপনি এই বিশ্ব ভ্রমান্ড থেকে প্রবেশ কর অপর প্রান্ত দিয়ে বের হলে হয়ত তা আপনাকে নিয়ে যাবে নতুন কোন বিশ্ব ভ্রমান্ড তে যা antimatterএ তৈরী !
রেফারেন্স – https://futurism.com/is-tardis-travel-possible-according-to-science-yes-maybe
Leave a Reply