রক্ষক কোষ তৈরিতে ক্লোনিং
বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এই ক্লোনিং মানব ক্লোনিং না হলেও অনেকটা কাছাকাছি। এটি ক্লোনিং প্রাণী ডলি তৈরির সাথে সম্পরক্রিত। কোন দৈহিক কোষ গ্রহণ করে তার ডি.এন.এর পরিবর্তন ঘটিয়ে এটি সম্ভব হয়েছিল। আর এই পদ্ধতির নাম সোমাটিক সেল নিউক্লিয়ার ট্র্যান্সফার। এ বছর অক্টোবর মাসে নিউইয়র্ক স্তেম(stem) ফাউনডেশনের বিজ্ঞানীরা এমন একটি মানব ক্লোন মডেল উন্মোচন করেছেন। যা মূলত স্তেম(stem) সেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এটি দাতার সাথে সম্পর্ক না রেখেও স্কাইনকর্ড ও পেশির চিকিৎসায় সফলতা আনবে।
ম্যালেরিয়া রোগের টিকা
এডিস মশার কামড়ে সৃষ্ট ম্যালেরিয়া একটি মারাত্মক রোগ। প্রতি বছর এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। আশার বানী হচ্ছে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই রোগের টিকা আবিষ্কার করেছেন। এর ব্যবহার সুদূরপ্রসারী না হলেও সফলতা আশানুরূপ। সাহারান আফ্রিকাতে এই টিকা ব্যাবহারে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন আর. টি.এস.এস। এটি বিভিন্ন বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সফলতা এনেছে। তবে এখনও এটি পরীক্ষাধীন এবং চলবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত।
এইডস রোগের প্রতিষেধক
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ রোগ এইডস যার পরিণতি অবধারিত মৃত্যু। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোন ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। তবে বিজ্ঞানীরা এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা এইচ.আই.ভি ভাইরাসের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তারা আবিষ্কৃত এই ওষুধের নাম দিয়েছেন ট্রভাডা । এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে বিজ্ঞানীরা এই বছর দুইটি যুগান্তকারী পরীক্ষা করেছেন। তারা বহুগামি কিছু পুরুষ ও মহিলার উপর পরীক্ষা করেছেন। এতে দেখা গেছে ট্রভাডা সেবনকারী পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে এইডস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমে গেছে।
খাদ্য সেবনে প্লেট পিরামিড
আমেরিকান কৃষি ও স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর খাবার গ্রহণের নিয়মাবলী প্রকাশ করে থাকে। এই বছর তারা জনগণকে অতিরিক্ত মিষ্টি, লবণ ও চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। পাশাপাশি শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবারের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। সংস্থার তথ্য অনুযায়ী আমেরিকানরা প্রতিদিন ২৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করে। আর এটি দূর করতে তারা প্লেট পিরামিড পদ্ধতি বের করেছে যেখানে বিভিন্ন স্তরে নির্দেশিত খাবার সাজানো থাকবে।
গবেষণাগারে শরীরের অঙ্গ প্রস্তুত
মানুষের শরীরের অঙ্গ কি গবেষণাগারে প্রস্তুত করা সম্ভব? হ্যাঁ, আর তা সম্ভব করেছেন ওয়েক ফরেস্ট ইন্সিটিউট এর ড. অ্যান্থনি । আর এভাবে প্রস্তুতকৃত অঙ্গ মানব শরীরে বাবহ্রিত হবে। এই অঙ্গগুলো অবিকল মানুষের প্রকৃত অঙ্গের মত। ড. অ্যান্থনি একটি মুত্রথলি আবিষ্কার করেছেন। এটি একটি সরু নালিকা যার দ্বারা মুত্র দেহের বাইরে বের হয়ে যায়। প্রথমে তিনি একটি নালিকা তৈরি করেন এবং মুত্রথলিতে প্রতিস্থাপন করেন। এরপর এটি স্বাভাবিক মুত্রনালির মত কাজ করতে থাকে।
কোলন ক্যান্সারের কারণ ব্যাকটেরিয়া
কোলন ক্যান্সারের জন্য কি ব্যাকটেরিয়া দায়ি হতে পারে? হ্যাঁ এমনই সত্যতা মিলেছে। এই বছর অক্টোবর মাসে দুই দল বিজ্ঞানী ফিউসোব্যাকটেরিয়া নামক এক ধরণের ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন যা কোলন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এটি মানুষের অন্ত্রে বাস করে কিছু ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া। কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কোলন টিস্যু ও ক্যান্সারের গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর দেহে ফিউসোব্যাকটেরিয়া উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন।
ওজন কমানো সিলভার বুলেত
যদি আপনার ওজন ধ্রুব হারে বৃদ্ধি পায় তাহলে ওজন কমানোর ওষুধ কি? এতদিনে সফল কোন ওষুধ না থাকলেও বিজ্ঞানীরা নেক্সা নামক একটি ওষুধ আবিষ্কার করেছেন যা একজনের ওজন বছরে দশভাগ কমিয়ে দেবে। এই ওষুধের দুইটি কার্যকর দিক। একটি ক্ষুধা কমিয়ে দেবে ।আর অন্যটি মস্তিস্ক এবং স্নায়ুর মধ্যে তড়িৎ সংযোগের মাধ্যমে স্নায়ু চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও এটি হৃদরোগের মাত্রাকে অনেকটা কমিয়ে দেয়। তবে এফ. ডি. এ এই ওষুধ বাতিল করেছে। তারা মনে করেন এটি নিয়ে আরও অনেক বেশি গবেষণার প্রয়োজন। ফলে তারা ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির প্রতি আরও গবেষণার নির্দেশ দিয়েছেন।
ফুসফুস ক্যান্সার সনাক্ত করবে কুকুর
ডাক্তারি যন্ত্রপাতিই মূলত রোগ নির্ণয়ে ব্যাবহার করা হয়। তবে রোগ নির্ণয়ে কুকুর বাবহ্রিত হতে পারে তা প্রমাণ পাওয়া গেছে। সাধারণত শ্বাস প্রশ্বাসের প্রতি কুকুরের একটি বিশেষ অনুভূতি রয়েছে। সম্প্রতি এক বাক্তির শরীরের ক্যান্সার রোগ সনাক্ত করেছে কুকুর। জার্মানি গবেষকরা নয়মাস ধরে সুস্থ ও ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন । এভাবে তারা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুর রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার করছেন। দেখা গেছে কুকুর শতকরা ৭১ ভাগ রোগীর ক্যান্সার রোগ সনাক্ত করতে সক্ষম।
লালা নির্ধারণ করবে বয়স
বিজ্ঞানে বয়স সনাক্তকরণের অনেক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হলেও সঠিকভাবে নির্ণয় সম্ভব নয়। এমনকি ডি.এন.এ পরীক্ষা দ্বারা সঠিক নির্ধারণ সম্ভব নয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা দেখেছেণ মুখ থেকে নির্গত লালা বয়স সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা লালার ডি. এন.এ তে দেখেছেন খাদ্দভভাস, সূর্য রশ্মির প্রভাব এমনকি বিষাক্ত পদার্থের প্রভাবেও এর কোন পরিবর্তন হয় না। কিন্তু এটি এখনও সফলভাবে বাবহ্রিত হচ্ছে না। আরও কিছু গবেষণা চলছে এর সঠিক বাবহারের জন্য।
মৃত্যুঝুঁকি নির্ণায়ক
ক্যান্সার বা হৃদজনিত সমস্যায় মৃত্যুর মুহূর্ত নির্ণয়ে সক্ষম হয়েছেন সুইডেনের উপশালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা দীর্ঘ ১২ বছর ২০০০ বাক্তির উপর গবেষণা করে কাথেপসিন নামক এক ধরণের এনজাইম সনাক্ত করেছেন। এটিই মৃত্যুর সাথে সম্পরক্রিত। এটি মানুষের শরীরের প্রোটিনকে ভাঙ্গে যা হৃদরোগের কারণ হয়ে দ্বারায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই এনজাইমের মাত্রায় নির্ণয় করবে মৃত্যুঝুঁকি। তবে এটি নিশ্চিত নয় যে এটি ক্যান্সার নাকি হৃদরোগ সৃষ্টি করছে।
Leave a Reply