নিচের লেখাটিকে cryptic note হিসেবে ধরা যেতে পারে। সময়ের সাথে সাথে এর পরিমার্জনা ও পরিবর্ধন হবে।
[১] ১৯২৩ সনে, ফরাসী পদার্থবিদ দ্যব্রগলি আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ও প্লাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্ব মিলিয়ে আলো কোয়ান্টার একটা নতুন পরীক্ষামূলক বা সাময়িক তত্ত্ব দিলেন। দ্য ব্রগলির নাম ইংরেজীতে লেখা হয় Luis de Broglie। এর ইংরেজী উচ্চারণ লুই দ্যব্রলি’র মতন আর ফরাসী হচ্ছে লুই দ্যব্রইয়ে’র মতন, আমরা বাংলায় এত দিন যেমন প্রচলিত সেটাই রাখছি, দ্যব্রলি বা দ্যব্রইয়ে বলে বলে পাঠককে ঘাবড়ে দিচ্ছি না।
আলো-কোয়ান্টামের শক্তিকে প্লাঙ্ক বর্ণনা করেছিলেন
দ্যব্রগলি আরো বললেন এই সম্পর্ক যে কোন রৈখিক ভরবেগ

[২] সহজ কথায় অপবর্তন হচ্ছে কোন তরঙ্গ বাধাগ্রস্থ হলে সেই তরঙ্গ বেঁকে যাবে। দ্যব্রগলি বললেন আলোর মত ইলেকট্রনকে একটি সরু ফাটলের মধ্য দিয়ে পাঠালে তার বিচ্ছুরণ হবে। ১৯২৫ সনে ডাভিসন ও গেরমার বড় নিকেলের কেলাসের মাঝে ইলেকট্রনের অপবর্তন অবলোকন করলেন। সেই বছরই টমসন ও রিড ইলেকট্রন রশ্মিকে পাতলা সোনার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করিয়ে তার অপবর্তন দেখলেন। কণারও যে তরঙ্গ বৈশি আছে সেটা প্রমাণ হল।
১৯২৫ সালের নভেমবর মাসেই অস্ট্রিয়ান বিজ্ঞানী আরউইন শ্রোডিঞ্জার জুরিখে দ্যব্রগলির অনুকল্পের ওপর একটি সেমিনার দেন, সেই সেমিনারে ওলন্দাজ বিজ্ঞানী পিটার দিবাই (হয়তো উচ্চারণ হবে দিবে) উপস্থিত ছিলেন। দিবাই নাকি সেখানে মন্তব্য করেছিলেন, ইলেকট্রন যদি তরঙ্গই হয় তবে তার জন্য একটা তরঙ্গ সমীকরণ সৃষ্টি করতে হবে।

[৩] ডিসেম্বর মাসে, বড়দিনের ছুটিতে শ্রোডিঞ্জার গেলেন আলপস পাহাড়ে। সাথে নিলেন না তাঁর স্ত্রীকে, নিলেন তাঁর পুরাতন বান্ধবীকে। বিরাট স্ক্যান্ডাল। ইতিহাসে সেই বান্ধবীর পরিচয় জানা যায় না, কিন্তু শ্রোডিঞ্জারকে তরঙ্গ সমীকরণ উদ্ভাবন করাতে তাঁর অবদান আছে এটা সবাই বলেন। আলপসের ছুটি শেষে শ্রোডিঞ্জার তাঁর সমীকরণটি নিয়ে জুরিখ ফিরলেন।
[৪] এই সমীকরণটিকে আহরণ করার একটা সহজ পদ্ধতি শ্রোডিঞ্জার দিয়ে গেছেন। তিনি শুরু করেছিলেন ধ্রুপদী তরঙ্গ সমীকরণ দিয়ে যা কিনা স্থান (দেশ) ও সময়ের সাথে যে কোন তরঙ্গের পরিবর্তনকে বর্ণনা করে। তাই ধ্রুপদী সমীকরণকে আবার দুটো ভাগে ভাগ করা যাবে। একটি ভাগ হচ্ছে শুধুমাত্র স্থান বা দেশ নির্ভর। অন্যটি সময় নির্ভর। শুধুমাত্র স্থান-নির্ভর ধ্রুপদী তরঙ্গ সমীকরণকে এই ভাবে লেখা যেতে পারে –
আমরা আগেই দেখেছি দ্যব্রগলির ধারণা অনুযায়ী
Leave a Reply to আরাফাত রহমানCancel reply