অনেকেই প্রশ্ন করেন, কুকুর, বিড়াল ইত্যাদির লালা থেকে মানুষের ক্ষতি হতে পারে কিনা?
এর উত্তর হচ্ছে, জ্বী, ক্ষতি হতে পারে। এমনকি, আপনার পোষা সে প্রাণিটি ভ্যাকসিনেটেড হলেও ইনফেকশান হতে পারে।
আজকে তা নিয়েই আমাদের ছোট্ট আলোচনা। আজকাল অনেকেই দাবি করেন, বিড়ালের লালায় কোনো জীবাণু নেই। এ দাবিটুকু সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কোনো প্রাণির লালা-ই জীবাণুমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। কুকুর, বিড়ালের লালায় থাকা জীবাণুদের সাধারণত বলা হয় Capnocytophaga germs । এ জীবাণুরা সাধারণত কুকুর এবং বিড়ালের লালা থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে মানব শরীরেও। এতে করে শরীরের বিভিন্ন অংশ বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষত, যাদের ইমিউন সিস্টেম দূর্বল।
সাধারণত মুখ এবং গলার টিস্যু সমূহে এ ব্যাক্টেরিয়া জনিত ইনফেকশন ধরা পড়ে বেশি। আমেরিকার Centers for Disease Control and Prevention অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি রিপোর্টেড ইনফেকশনগুলি হচ্ছে:
- প্যারিডোলিয়াল ডিজিজ
- Respiratory tract infections (মুখ, নাখ, গলা এবং ফুসফুসের ইনফেকশন)
- চোখের ইনফেকশন
তারা বলছে, লালা থেকে আগত এ ধরণের জীবাণু থেকে পরোক্ষভাবে মানবশরীরের বিভিন্ন অংশে ঘটতে পারে আরও বেশ কিছু ইনফেকশন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
- Septicemia
- Endocarditis (inflammation of the lining of the heart)
- বিভিন্ন ব্লাড টিস্যুতে Abscesses
- চোখ, মুখমন্ডল, লিম্ফ নোড ও ব্রেইন মেমব্রেন এর প্রদাহ [1]
তাছাড়া, বিড়ালদের নিজেদের থাবা জিহবা দিয়ে পরিষ্কার করার যে অভ্যাস, সেখান থেকেও এমন সব ব্যাক্টেরিয়া ছড়াতে পারে, যেসব মানব শরীরের জন্য একদমই অপরিচিত। তার মধ্যে বিশেষ এক প্রকার ব্যাক্টেরিয়া হচ্ছে bartonella পরিবারের। শরীরে পূর্বের কোনো ক্ষতস্থান থাকা অবস্থায় রক্তে কোনোভাবে এ ধরণের ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করলে সে ক্ষতস্থানের চারপাশ ফুলে যায়। এমনকি এটা পরবর্তীতে লিভার, চোখ ও সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকেও এফেক্ট করতে পারে।
এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত পড়তে Harvard Medical School এর এই পেইজটা ঘুরে আসতে পারেন। [2]
তথ্যসূত্র:
[1] https://www.cdc.gov/capnocytophaga/transmission/index.html[2] https://www.health.harvard.edu/blog/simple-steps-for-avoiding-infections-from-dogs-and-cats-201204064577
Leave a Reply