প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যানঃ কোনটা আগে এলো, প্রোটিন নাকি আরএনএ?

লেখাটি , বিভাগে প্রকাশিত

প্রতিটি জীব কোষ দিয়ে তৈরি। তাই কোষকে বলা হয় প্রাণের গাঠনিক একক। এই কোষের ভেতর প্রতিনিয়ত চলতে থাকে নানা রকম ক্রিয়া-বিক্রিয়া। তাই কোষকে বলা হয় রাসায়নিক থলি। কোষ জীবিত থাকে এইসব রাসায়নিক ক্রিয়ার সম্মিলিত কারণেই। আর প্রাণরসায়নের মূল আলোচ্য বিষয়ই হচ্ছে জীবদেহে ঘটে চলা এসব রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া। সুতরাং পৃথিবীতে যখন বেজে ওঠে প্রথম প্রাণের স্পন্দন তখনই প্রাণরসায়নের যাত্রা শুরু। প্রথম প্রাণের স্পন্দন মানে প্রথম সেই সরল আদিকোষ যেটি থেকে পৃথিবীর প্রাণবৈচিত্র্য শুরু। পৃথিবীতে কি করে প্রাণ সৃষ্টি হলো এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। প্রচলিত আছে নানা হাইপোথিসিস। আপনার চারপাশে যত বৈচিত্র্যের প্রাণ (গাছপালা, মানুষ, ব্যাকটেরিয়া এমনকি ভাইরাস) আছে সবার গাঠনিক মাল-মশলা কিন্তু একই। প্রোটিন, নিউক্লিক অ্যাসিড, শর্করা আর চর্বি। 

সকল প্রাণের প্রধান গাঠনিক উপাদান হচ্ছে প্রোটিন, নিউক্লিক অ্যাসিড, শর্করা আর চর্বি। ছবিসুত্রঃ এআই জেনারেটেড

তাই এগুলোকে বলা হয় প্রধান জৈব অণু। ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক এককোষী জীব থেকে শুরু করে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষ দিয়ে তৈরি বহুকোষী জীব সবার-ই গাঠনিক একক হচ্ছে কোষ। এই কোষ তৈরি হয় প্রধান জৈব অণুগুলো দিয়ে। আবার জৈব অণু সবকটারই প্রধান মৌলিক উপাদান হচ্ছে কার্বন। তাই পৃথিবীর প্রাণ হচ্ছে কার্বন ভিত্তিক প্রাণ বা কার্বন বেইজড লাইফ। সুতরাং প্রাণ সৃষ্টি হতে হলে প্রকৃতিতে এই জৈব অণুগুলোর উপস্থিতি থাকা চাই। ঠিক যেমন একটা ইমারত বানাতে হলে সিমেন্ট, ইট, বালি, রড লাগে। প্রশ্ন হচ্ছে প্রাণ সৃষ্টির এসব মাল-মশলা কি আগে থেকেই পৃথিবীতে ছিল? এ নিয়ে আছে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলছেন প্রাচীন পৃথিবীতে থাকা অজৈব উপাদান থেকেই প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয়েছিল জৈব অণুগুলো।  এই ধারণার পক্ষে শক্ত রসদ জোগান দেন আমেরিকান তরুণ গবেষক স্ট্যানলি মিলার এবং নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী হ্যারল্ড ইউরি। যদি তা-ই হয় তাহলে কোনটি আগে সৃষ্টি হয়েছে, প্রোটিন নাকি নিউক্লিক অ্যাসিড? এই প্রশ্নটা অনেকটা “ডিম আগে না মুরগী আগে” ধাঁধার মতন হয়ে যায়। কেননা কোষে নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ/আরএনএ) তৈরি সহ যাবতীয় ক্রিয়া-কলাপ প্রোটিনের সাহায্য ছাড়া হয় না। আবার প্রোটিন তৈরির নকশা থাকে নিউক্লিক এসিডের ভেতর। অর্থাৎ নিউক্লিক এসিডের নকশা ছাড়া প্রোটিন উৎপাদন সম্ভব না।

           এই লেখাটি কেবলমাত্র বিজ্ঞান ব্লগের নিয়মিত লেখক এবং ইনসাইডার সদস্যদের জন্য। অনুগ্রহ করে লগ ইন করুন।
           

ইনসাইডার হলো বিজ্ঞান ব্লগের একটি সদস্য প্রোগ্রাম। বিজ্ঞান ব্লগে প্রতি মাসে কিছু বিশেষ প্রবন্ধ প্রকাশিত হবে। এগুলো লিখছেন আরাফাত রহমান ও সুজয় কুমার দাশ। এই লেখাগুলো কেবল মাত্র লগইন করে পড়া যাবে। আপনি যদি বিজ্ঞান ব্লগের ইনসাইডার হতে চান, তাহলে এই পেজে গিয়ে এই পেজে গিয়ে আমাদের বার্তা দিন। বার্তা পাওয়ার পর আপনার সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করা হবে।

লেখাটি 112-বার পড়া হয়েছে।


নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? হোস্টিং ও ডোমেইন কেনার জন্য Hostinger ব্যবহার করুন ২০% ছাড়ে।

আলোচনা

Leave a Reply

ই-মেইল নিউজলেটার

নতুন লেখার খবরাখবর ছাড়াও বিজ্ঞানের বিভিন্ন খবর সম্পর্কে আপডেট পেতে চান?

আমরা প্রতি মাসে দুইটি ইমেইল নিউজলেটার পাঠাবো। পাক্ষিক ভিত্তিতে পাঠানো এই নিউজলেটারে নতুন লেখার পাশাপাশি বিজ্ঞানের বিভিন্ন খবরাখবর থাকবে।







Loading