২০২৫ এর জানুয়ারিতে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. সৈয়দ উদ্দিন একটি বিজ্ঞান বক্তৃতা দেবেন। রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন এই লিঙ্ক থেকে: https://cassa.site/event/colloquium-3/

ফিটাস ইন ফিটু: ভ্রূণের ভেতর ভ্রূণ

লেখাটি বিভাগে প্রকাশিত

প্রকৃতিতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাই যুগের পর যুগ কিংবা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষকে চমকে দিয়ে আসছে। মানুষের মাঝে ভয়ের উদ্রেকের জন্যও কিন্তু দায়ী প্রকৃতিতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন উদ্ভট, অস্বাভাবিক (কিংবা স্বাভাবিক) ঘটনা। আগের কালে মানুষে যেসব ঘটনাকে ব্যখ্যা করতে পারতো না, সেখান থেকে  বিভিন্ন অলৌকিক কল্প-কাহিনির জন্ম। সভ্যতার শুরু থেকে এই পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে চমকপ্রদ বেশ কিছু ঘটনাই ঘটে গেছে। এর ধারা হয়তো কখনো থামবার নয়। সেই ঘটনাগুলোর লেজ ধরে আদিকাল থেকে রটে এসেছে কুসংস্কার। কিংবা নানী দাদিরা তৈরি করেছেন রুপকথার গল্প। এমনই এক অবাস্তব ঘটনার সংক্ষেপিত আলোচনা আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়। আর আজকের লেখাটির বিষয়বস্তু হলো, “ফিটাস ইন ফিটু”, যার বাংলা করলে হয় ভ্রূণের ভেতর ভ্রূণ।

নাগপুরের সাঞ্জু ভগত

এক বাস্তব ঘটনা দিয়ে লেখাটির মূল পর্ব শুরু করি। সাঞ্জু ভগত, একজন চাষি। অনেকেই লোকটিকে চিনে থাকবেন; এবং তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কেও অবগত থাকবেন। ১৯৬৩ সালে জন্ম নেওয়া সাঞ্জু ভগতের বসবাস ছিল প্রতিবেশী দেশ ভারতে। যে সময়কার ঘটনা, সে সময়ে আমাদের সাঞ্জু ভগত একজন ৩৬ বছর বয়সের জোয়ান। খুব ছোটো বয়স থেকেই তার পেটের আকার শরীরের অন্য সকল অঙ্গ থেকে দীর্ঘকায় ছিল। বলাবাহুল্য তার এলাকার মানুষদের মধ্যে তাকে আলাদা করে চেনাই যেতো কেবল এই দীর্ঘ আকৃতির পেটের কারণে। উপহাস কিংবা মানুষের হাস্যরসের অন্যতম কারণ ছিল সাঞ্জু ভগতের পেট। যে কেউ দেখা মাত্র বলে উঠতো, “এ তো নয় মাসের গর্ভবতী”।

আশেপাশের মানুষের এই রকম উপহাস কীভাবে কীভাবে যেন মিলে যায় সাঞ্জু ভগতের সাথে। ১৯৯৯ সালের জুন মাসের গভীর রাতে তীব্র পেট ব্যাথা এবং ভয়াবহ শ্বাসকষ্টে বিছানায় কাতরাচ্ছিলেন সাঞ্জু ভগত। অবস্থা বেগতিক দেখা দিলে শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। গন্তব্য মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল। চিকিৎসা শুরু হওয়ার সময়ে চিকিৎসকরা একে সাধারণ টিউমার বা এ জাতীয় কিছু ভেবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ফলে সার্জারি করে দেখার প্রয়োজনীয়তা পড়ে। 

ছবিঃ নাগপুরের সাঞ্জু ভগত

সার্জারি করা শুরু হলে সাঞ্জু ভগতের পেট কাটা হলে সেখান থেকে বের হতে থাকে এক গাদা তরল। অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তার অজয় মেহতার চোখ কপালে উঠে যায়! এর কারন তিনি সাঞ্জু ভগতের শরীরের ভেতর যা দেখেছিলেন তা অন্তত এই পৃথিবীতে হওয়া অসম্ভব! তিনি নিজেকে কিছুটা ধাতস্থ করে সার্জারি সম্পন্ন করলেন। সাঞ্জু ভগতের পেট থেকে বেরিয়ে এলো এক আশ্চর্য অবয়ব। এর ছিল একটি হাত ও হাতের আঙুল, একটি পা ও পায়ের আঙুল, চুল আর যৌনাঙ্গের ন্যায় একটি গঠন। বলে রাখা ভালো, ওই অবয়বটির হাত পা যেমন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, শরীরের বাকি অঙ্গগুলো সেভাবে বোঝা যাচ্ছিল না। অর্থাৎ সম্পূর্ণ শরীরে হাত-পা যতটা বিকশিত হয়েছিল, বাকি অঙ্গগুলো সেরকম বিকশিত হয়নি। প্রথম দেখায় যে কারও মনে হতে পারতো সাঞ্জু ভগত তার পুত্রকে ভূমিষ্ঠ করেছে।

বাস্তবে ঘটে যাওয়া এই অস্বাভাবিক ঘটনাটি আপনার জ্ঞান দুয়ারে প্রশ্নের টোকা দিচ্ছে, ঠিক না? তবে কি আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মূলে গিয়ে দাঁড়ায় পুরুষের গর্ভধারণ? নারীদেহ ছাড়াও অন্য কোনো শরীর সন্তান জন্মদানের জন্য উপযুক্ত? এও কি সম্ভব? আমাদের সাঞ্জু ভগত সেদিন নিজের পুত্রকে জন্ম দিয়েছিলেন কি? একদম না!

সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে পাঠককে লেখাটির বাকি অংশ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

“ফিটাস ইন ফিটু” – উল্লেখিত এই মেডিকেল টার্মটির ভুক্তভোগী ছিলেন সাঞ্জু ভগত। এই মেডিকেল পরিভাষা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আগে জেনে নিতে হবে ফিটাস জিনিসটা কী। আসলে অনেক ভাবেই ফিটাসকে সংজ্ঞায়িত করা যায়। ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু মিলিত হলে সকলের জীবনের একদম প্রথম কোষ জাইগোট তৈরি হয়। এরপর এই কোষটিই ক্রমাগত বিভাজিত হতে হতে ভ্রূণের আকৃতি তৈরি করে। যে পদ্ধতিতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনে জাইগোট তৈরি হয় তাকে বলে নিষেক। এই নিষেকের নয় সপ্তাহ পর থেকে শিশুর জন্ম হওয়ার সময়কালটা হলো ফিটাল পিরিয়ড। তাহলে বলা যায়, ফিটাল পিরিয়ড চলাকালীন মাতৃগর্ভে যেই মানব (কিংবা যেকোনো প্রাণী) ভ্রূণটি থাকে তাকে বলে “ফিটাস”। ফিটাস ইন ফিটু নামটি এসেছে মূলত Fetus within Fetu থেকে। এর অর্থ দাঁড়ায় ফিটাসের ভেতর ফিটাস। পৃথিবীতে শিশুদের যত রকমের দূর্লভ সমস্যা দেখা যায় তার ভেতর ফিটাস ইন ফিটু অন্যতম। এক গবেষণা হতে জানা গিয়েছে এখন অব্দি ২০০ জনের কম বেশি শিশু ফিটাস ইন ফিটুর জনিত জটিলতার শিকার।

ফিটাস ইন ফিটু আসলে কী?

পূর্বেই বলেছি এটি শিশুদের এক অন্যতম জন্মগত সমস্যা যা বেশ দুর্লভ। ফিটাস ইন ফিটু হলে মাতৃগর্ভের একটি ভ্রূণের ভেতরেই বেড়ে উঠতে থাকে আরেকটি ভ্রূণ। এদিকে সমস্যাটি সম্পর্কে মা থাকেন অজ্ঞ৷ কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া মায়ের জানা সম্ভব হয় না যে তার গর্ভে দু’দুটো ভ্রূণের অস্তিত্ব আছে। কেননা একটি ভ্রুণ আরেকটি ভ্রুণের শরীরের ভেতর এক প্রকার ছদ্মবেশেই অবস্থান করে। পরবর্তীতে একটি ভ্রূণ সম্পূর্ণ মানব আকৃতি ধারণ করলেও অন্য ভ্রূণটি আটকা পড়ে যায় তারই যমজ ভাই কিংবা বোনের শরীর নামক জেলখানার ভেতর। ফিটাস ইন ফিটুর কারণেই কোনো পুরুষ কিংবা সন্তান জন্মদানে অপক্ক এমন (বালিকা) নারীকেও অন্ত:সত্তা মনে হয়। প্রকৃতপক্ষে তাদের জন্ম দেওয়া (দেহ হতে বের করা অর্থে জন্ম শব্দটি ব্যবহার করলাম) মানুষের শরীরের মতো অবয়বটি তাদেরই ভাই অথবা বোন হয়ে থাকে। তাই বলা যায়, সাঞ্জু ভগতের দেহ থেকে পৃথক করা আশ্চর্যজনক অবয়বটি তার নিজের অবিকশিত ভাই ছিল, কোনো পুত্র নয়। 

ছবিসুত্রঃ Journal of pediatric surgery.

ফিটাস ইন ফিটু হওয়ার কারণ কী?

দুটো মতবাদ পৃথিবী জুড়ে প্রচলিত আছে। প্রথমটি মনোজাইগোটিক টুইন থিওরি এবং দ্বিতীয়টি টেরাটোমা থিওরি। এর মধ্যে মনোজাইগোটিক থিওরি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা গ্রহণযোগ্যতার পাল্লায় মনোজাইগোটিক টুইন থিওরির মতবাদকে প্রাধান্য দেন বেশি।

একটি সাধারণ শিশু কীভাবে মাতৃগর্ভে নিজের স্থান করে নেয়? অবশ্যই সর্বপ্রথমে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিষেক ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া শেষে জাইগোট তৈরি হয়। এই জাইগোট প্রতিনিয়ত বিভাজিত হতে হতে একটা পর্যায়ে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ মানব শিশুতে রুপান্তর হয়ে জগতের আলো দেখে। কিন্তু যমজদের বেলায় প্রক্রিয়াটির শুরুতে একটু ব্যাতিক্রম দেখা যায়। এখানে সাধারণত দুই-রকমের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। হয় দুটো আলাদা আলাদা ডিম্বাণু ও শুক্রাণু আলাদা আলাদা নিষেক ক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং মাতৃগর্ভে স্থান করে নেয়, না-হয় একটি জাইগোট বিভাজিত হয়ে দুটি ভ্রুণ সৃষ্টি করে। প্রথমটিকে ডাইজাইগোটিক এবং দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটিকে মনোজাইগোটিক বলা হয়। (অর্থাৎ একটি জাইগোট হতে সৃষ্ট)। মনোজাইগোটিক যমজগুলোকে আবার আইডিন্টিক্যাল টুইনও বলা হয়। এদের চেহারা, দেহাবরণ একদম একই রকম হয়ে থাকে। ফিটাস ইন ফিটুর মনোজাইগোটিক টুইন থিওরিটি প্রকৃতপক্ষে এখানে খাটে। 

মনোজাইগোটিক যমজ হবার প্রক্রিয়া- একটা জাইগোট থেকে তৈরি হয় দুটি ভ্রূণ। ছবিসূত্র- www.gbu-presenskijj.ru

বিভিন্ন গবেষণা হতে জানা যায়, প্রায় ৬০-৭০% মনোজাইগোটিক টুইন একই অমরার মাধ্যমে মায়ের দেহের সাথে যুক্ত থাকে। একে মনোকোরিওনিক বা একই অমরা বিশিষ্ট বলা হয়ে থাকে। মনোকোরিওনিক মনোজাইগোটিক প্রক্রিয়ার শুরুর দিকে দুটি জাইগোট তৈরি হয়। তবে টটিপোটেন্ট স্টেম কোষের বিভিন্ন অসমতা বা অবিকশিত হওয়ার কারণে একটি কোষ ছোট এবং অন্য কোষটি তুলনামূলক বড় হয়ে যায়। আর আমরা জানি, জগতের নিয়ম অনুসারে সকল বড় বা ক্ষমতাধারীরা কীভাবে ছোটদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। এই জাইগোট দুইয়ের বেলায়ও তার ব্যাতিক্রম ঘটে না। তুলনামূলকভাবে বড় ভ্রূণটি মায়ের দেহ থেকে বেশি বেশি খাদ্য গ্রহন করে বিকশিত হতে থাকে। ফলে বঞ্চিত হতে থাকে ছোটো ভ্রূণটি। এভাবে একদিন সময়ের বিবর্তনে ছোটো ভ্রূণটি তারই সহোদর বড় ভ্রূণের ভেতর বিলীন হয়ে যায়।

কিন্তু ওই যে বলেছি না, প্রকৃতি বড়ই অস্বাভাবিক রকম বৈচিত্র্যময়! ছোট ভ্রূণটি সময়ের সাথে সাথে বড় ভ্রূনের ভেতর তলিয়ে যায় ফলে মায়ের সাথে সবরকমের যোগাযোগের সমাপ্তি ঘটে। এতে করে কী হওয়া উচিত ছিল? উচিত ছিল যে ছোট ভ্রূণটি বড় ভ্রূণেরই একটা অংশ হয়ে যাবে এবং দুই প্রাণ মিলে একটি প্রাণ শক্তির সৃষ্টি করবে। তবে সেটা আসলে হয় না। ছোট ভ্রুণটি মায়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করলেও যোগাযোগ বজায় রাখে বড়ো ভ্রূণের রক্ত সঞ্চালনের সাথে। এতেই হয়ে যায় বিপত্তি। বড় ভ্রূণটির স্বাভাবিক বিকাশ তো থেমে থাকার কথা নয়। সে নিজের গতিতেই বিকশিত হতে থাকে। তার সাথে আরও একজন অল্প অল্প করে বিকশিত হওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের সেই ছোট ভ্রূণটি। সে বড় ভ্রূণের দেহের ভেতর এক প্রকার জীবিত টিস্যুর ন্যায় নিজের জায়গা দখল করে নেয়। 

বেশ বেদনাদায়ক হলেও সত্য যে, একদিন বড়ো ভ্রূণটি পূর্ণাঙ্গ মানব শিশুতে রুপান্তর হয় ঠিকই। কিন্তু তার দেহের উদরগহ্বরে আশ্রয় নেওয়া সেই ভ্রূণটি বাড়তে থাকায় চাপ সৃষ্টি হয় পূর্ণাঙ্গ মানবটির মধ্যচ্ছদায়। যার শেষ পরিণতি শ্বাসকষ্ট। কেবল উদরগহ্বর নয়, বড় ভ্রূণের মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গ-তন্ত্রে স্থান করে নিতে সক্ষম ছোট ভ্রূণটি। তাদের দখল করে নেওয়া স্থানের উপর নির্ভর করে বড় ভ্রূণের শারীরিক জটিলতার পরিমাপ। যা অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা করেও সুস্থ করা যায় না। এটা গেল মনোক্যারিওনিক মনোজাইগোটিক টুইন থিওরি।

আর টেরাটোমা থিওরিটি সেভাবে প্রচলিত নয়। বরং এটি একটি ধারণা মাত্র। টেরাটোমা বলতে বুঝানো হয় এটি একটি টিউমার জাতীয় কিছু, যার অবিকশিত হাত-পা, চুল কিংবা দাঁত অথবা অস্থি আছে।

এই সমস্যার সমাধান আছে কি?

জ্বি, অবশ্যই আছে। একটি ভ্রূণের ভেতর ৫-৬টি ছোট ভ্রূণ মিলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন আছে, তেমনি আছে এর চিকিৎসা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে তার ওই ছোট দেহের ভেতর অন্য কোনো ভ্রূণের উপস্থিতি আছে কি-না। যদি থাকে তবে তা ছোট অবস্থাতেই অপারশন করে নিতে পারলে ভালো। উল্লেখ্য, ফিটাস ইন ফিটু দেহের অন্য কোনো টিস্যুর সাথে মিলিয়ে যায় না কিংবা অন্য টিস্যুকে আক্রান্ত করে না। ফলে ভ্রূণটি কেটে ফেলা খুবই সহজ। তাছাড়া গর্ভকালীন সময়েও (২২ সপ্তাহের পর) এই সমস্যাটি এম আর আই, সিটি স্ক্যান এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে সন্তানের শরীরে এক বা একাধিক ভ্রূণ আছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়।

আজকে এ পর্যন্তই। ভালো থাকবেন। সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্রঃ

লেখাটি 138-বার পড়া হয়েছে।


নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? হোস্টিং ও ডোমেইন কেনার জন্য Hostinger ব্যবহার করুন ৭৫% পর্যন্ত ছাড়ে।

আলোচনা

Response

Leave a Reply

ই-মেইল নিউজলেটার

বিজ্ঞানের বিভিন্ন খবর সম্পর্কে আপডেট পেতে চান?

আমরা প্রতি মাসে ইমেইল নিউজলেটার পাঠাবো। পাক্ষিক ভিত্তিতে পাঠানো এই নিউজলেটারে বিজ্ঞানের বিভিন্ন খবরাখবর থাকবে। এছাড়া বিজ্ঞান ব্লগে কি কি লেখা আসলো, কি কি কর্মযজ্ঞ চলছে, সেটার খবরও থাকবে।







Loading