এই সিরিজের অন্যান্য পোষ্টগুলো (২ , ৩ , ৪)
মূল : মিশিও কাকু
ড্যান ব্রাউন আমার একজন প্রিয় লেখক , তাঁর The Da Vinci Code বইটির জন্য অনেকের কাছেই তিনি আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন । Angels And Demons তাঁর আরেকটি বিখ্যাত বই ,এই বইয়ের গল্পের একটি পর্যায়ে লেখক এন্টি-ম্যাটার বোম এর কথা উল্লেখ করেন যা কিনা Illuminati নামক চরমপন্থি একটি দল জেনেভার নিউক্লিয়ার পরীক্ষাগার CERN হতে চুরি করে । এই চক্রান্তকারী দল কোনভাবে জানতে পারে যে ম্যাটার এবং এন্টি-ম্যাটার যখন একে অন্যের সংস্পর্শে আসে তখন ভয়াবহ রকমের বিস্ফোরণ হয় , যা হাইড্রোজেন বোম হতে কয়েক গুণ শক্তিশালী । যদিও এক সময় এন্টি-ম্যাটার ছিল বিজ্ঞানের কল্প কাহিনীতে কিন্তু বর্তমানে বাস্তবে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায় ।
পারমাণবিক বোমার শক্তি সম্পর্কে কম বেশি সবারই জানা । আর এই শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার কর্মদক্ষতা মাত্র ১% , আরো ভালভাবে বলতে গেলে আমরা যে পরিমাণ পদার্থ বোমার জন্য ব্যবহার করি তার মোট ভরের মাত্র ১% ভর শক্তিতে রূপান্তর হয় । জাপানের হিরোশিমা ও নাগাশিকার দিকে তাকালেই আমরা পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা করতে পারি । ১% কর্মদক্ষতায় যদি এমন হয় , আর যদি আমরা যে পদার্থ দিচ্ছি তার ভরের পুরোটাই অর্থাৎ ১০০% যদি শক্তিতে রূপান্তর হয় তাহলে ? অনেকেই ভাবতে পারেন ১০০% শক্তিতে রূপান্তর সম্ভব না । কিন্তু এন্টি-ম্যাটারের ক্ষেত্রে এই কথা চিন্তা করার কোন কারণ নেই , কারণ এন্টি-ম্যাটারের ভরের পুরোটাই শক্তিতে রূপান্তর হয় । আর তাই আমরা বলতে পারি বোম্ব বা যান্ত্রিক কাজে এন্টি-ম্যাটার , ম্যাটার হতে ১০০ গুণ কর্মদক্ষতা সম্পন্ন ।
এন্টি-ম্যাটার এর ব্যাপারে পদার্থবিদরা সব সময়ই অনেক আগ্রহী ছিলেন । যদিও বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অল্প কিছু পরিমাণ এন্টি-ম্যাটার পরীক্ষাগারে তৈরি করেছেন কিন্তু ভয় পাবার কিছু নাই এন্টি-ম্যাটার বোমার ব্যাপারে , কারণ এর অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি এবং আমরা চাইনা ভবিষ্যতে কোন ব্যক্তি বা জাতি এন্টি-ম্যাটার কে বোমা হিসেবে বা মানব জাতির ধ্বংসের জন্য ব্যবহার করুক।
চলবে…………
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
মিশিও কাকুর Physics of the impossible বইয়ের ১০ম অধ্যায়টি নিজের ভাষায় লিখার চেষ্টা করেছি ।
Leave a Reply