
সুজয় কুমার দাশ
দ্য মাঙ্গা গাইড টু মলিকিউলার বায়োলজি
বিজ্ঞানের কাজ হচ্ছে সবকিছুর গভীরে যাওয়া। এরই ধারাবাহিকতায় জন্ম নিয়েছে ‘মলিকিউলার বায়োলজি’ তথা আণবিক জীববিজ্ঞান নামের এই শাখাটি। বিজ্ঞানের এই শাখা জীবনকে ব্যাখ্যা করে একেবারে আণবিক পর্যায়ে। এখানে জীবনকে ভাবা হয় নান রাসায়নিক অণুর মিথস্ক্রিয়ার ফল হিসেবে। শাখাটি এখনও বিকাশমান পর্যায়ে আছে। তার ওপর এর কারবার এমনকিছু নিয়ে যা খালি চোখে দেখা যায় না। তাই…
বইমেলা ২০২৫ এ বিজ্ঞানের যত বই
বি.দ্র. বইমেলায় যে বইগুলো ইতোমধ্যে চলে এসেছে সেগুলোই এখানে রাখা হয়েছে।
গাঁজন এবং এনজাইম
আজকের দিনে মদ আর বিয়ার (যবসুরা) শিল্প শয়ে শয়ে বিলিয়ন মূল্যের। কি করে এই শিল্প এ পর্যায়ে এলো তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রাণরসায়নের এক দারুণ প্রক্রিয়ার আবিষ্কার। এর নাম গাঁজন (ইংরেজিতে ফারমেন্টেশন)। কিন্তু ইতিহাসে বহু আগে থেকেই মানুষ এ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আসছে। তবে কেবল মদ তৈরিতেই নয় খাবার সংরক্ষণ, স্বাদ বর্ধন আর পুষ্টির চাহিদা…
বিজ্ঞানে নোবেল ২০২৪
সারাবিশ্বের বিজ্ঞানের মানুষদের কাছে অক্টোবর মাস হল নোবেলের মাস। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অক্টোবরের ৭, ৮ ও ৯ তারিখে ঘোষিত হয়ে গেল বিজ্ঞানের তিন ক্ষেত্রে নোবেল বিজয়ীদের নাম। বিজয়ীরা কে, কোন বিষয়ে, কেন এ পুরস্কার পেলেন তা নিয়েই সাজানো হয়েছে এই পর্ব। চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন গবেষণায় বিপ্লব চলতি বছর চিকিৎসা ও শারীরতত্ত্বে নোবেল…
রাসায়নিক বিস্ফোরণঃ নাকি সবকিছুই একসঙ্গে এসেছে?
অ্যালকালাইন ভেন্ট হাইপোথিসিস জোর দেয় জীবকোষ চালাবার শক্তির ওপর। তাই একে “মেটাবলিজম ফার্স্ট” হাইপোথিসিসও বলে। কিন্তু এই অনুকল্পে ভর দিয়ে প্রাণ সৃষ্টির দৃশ্যপট কল্পনা করতে গেলেও সবার শুরুতে একটা পর্দার কথা ভাবতে হয়। যদিও এটা বর্তমান কোষপর্দার মতন না। তাই এই হাইপোথসিসিসেও কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের প্রসঙ্গ চলে আসে।
হাইড্রোথার্মাল ভেন্টঃ প্রাণসৃষ্টির আঁতুড় ঘর
এই লেখাটা প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যানের তৃতীয় কিস্তি। গত দুই পর্বে প্রাণ সৃষ্টি নিয়ে বেশ ক’টা হাইপোথিসিস নিয়ে আলাপ করেছি। এই লেখায় আলাপ করব এ নিয়ে জগ্বিখ্যাত “হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট” অনুকল্প নিয়ে। অনেকেই মনে করেন, প্রথম সরল প্রাণের জার্নি শুরু হয়েছিল সমুদ্রতলের ক্ষারীয় ভেন্টে। ক্ষারীয় ভেন্ট কি? কি করেই সরল বুদবুদ সদৃশ প্রাণ শক্তির যোগান পেল সেখানে?…
কেমন ছিল সর্বশেষ আদি পূর্বসূরি কোষ?
এই লেখাটা প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যান শিরোনামে লেখাটারই দ্বিতীয় কিস্তি। গত লেখায় আরএনএ বিশ্ব হাইপোথিসিস দিয়ে আলোচনা শেষ করেছিলাম। বলেছিলাম, প্রাণের স্পন্দন বাজতে হলে প্রোটিন আর আরএনএ’র একসঙ্গে যুগলবন্দী হতে হবে। কেননা একটা ছাড়া অন্যটা একা কাজ চালিয়ে যেতে পারে না। অনেকে আবার মনে করেন, প্রোটিন কিংবা নিউক্লিক এসিড কোনোটাই আগে আসে নি। বরং সবার আগে…
প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যানঃ কোনটা আগে এলো, প্রোটিন নাকি আরএনএ?
প্রতিটি জীব কোষ দিয়ে তৈরি। তাই কোষকে বলা হয় প্রাণের গাঠনিক একক। এই কোষের ভেতর প্রতিনিয়ত চলতে থাকে নানা রকম ক্রিয়া-বিক্রিয়া। তাই কোষকে বলা হয় রাসায়নিক থলি। কোষ জীবিত থাকে এইসব রাসায়নিক ক্রিয়ার সম্মিলিত কারণেই। আর প্রাণরসায়নের মূল আলোচ্য বিষয়ই হচ্ছে জীবদেহে ঘটে চলা এসব রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া। সুতরাং পৃথিবীতে যখন বেজে ওঠে প্রথম প্রাণের স্পন্দন…
নারীর কেন রজোনিবৃত্তি হয়?
মানবদেহের গড়ন অবিশ্বাস্যরকম জটিল। সাম্প্রতিক তথ্যমতে, আমাদের দেহ ষাট ধরনের টিস্যুর চার শ রকমের কোষ নিয়ে গঠিত। বিজ্ঞান আমাদের শরীর সম্বন্ধে বিশদে জানার দুয়ার খুলে দিয়েছে। বড় বড় রোগ থেকে সেরে উঠা এখন মামুলি ব্যাপার। এমনকি এই জটিল রহস্যময় শরীরের বিবর্তন বোঝাও সম্ভব হচ্ছে বিজ্ঞানের কল্যাণে। কিন্তু এখনও রহস্যের ডেরা এই শরীরের অনেক কিছুই অজানা…