Monirul Hoque Shraban
থাকে শুধু অন্ধকার
সায়েন্স ফিকশন উপন্যাসগুলোতে প্রায়ই দেখা যায় মহাকাশযানে চেপে মানুষকে দূর নক্ষত্রে পারি দিতে। কিন্তু উপন্যাসিকের কল্পনায় আঁকা মহাকাশযানের ভেতরের সত্যিকার বাস্তবতা কেমন তা মনে হয় এ বিষয়ে আগ্রহীদের না জানলেই নয়। তারই কিছুটা আভাষ পাওয়া যেতে যাবে “থাকে শুধু অন্ধকার” নামের বইটিতে। মহাকাশযানে চেপে দূর নক্ষত্রে পাড়ি দিতে কত যে জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে, কত…
বৃষ্টির পেছনের বিজ্ঞান [৪] (শেষ পর্ব)
তৃতীয় পর্বের পর থেকে। শেষ গল্প: বিজ্ঞান কংগ্রেসের প্রস্তুতি কর্মশালা শুরু হয়েছে মে মাসে। সে উপলক্ষে বিজ্ঞান-প্রেমী স্বেচ্ছাসেবীদের দেশের বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে। স্কুলে স্কুলে প্রস্তুতি কর্মশালার একটিভেশনের কাজে আমাদের এলাকায় এসেছিলেন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ভাই [আমি উনাকে ভাই বলে ডাকি]। কাজ শেষে বিকেলে আমরা তিতাস নদীর পারে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আর যাওয়া মাত্রই আকাশ কালো…
বৃষ্টির পেছনের বিজ্ঞান [৩]
বৃষ্টি : মেঘ মাদলে ভরা বাদলে …দ্বিতীয় পর্বের পর থেকে। শিশির, কুয়াশা, তুষার: বায়ুমণ্ডলের উপরে সৃষ্টি হওয়া মেঘ আমাদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে হলেও আমাদের হাতের কাছেই আছে মেঘের ছোট ভাই! কুয়াশা। বৃষ্টি, তুষার, কুয়াশা, শিশির এদেরকে আমরা আলাদা হিসেবে চিনলেও এরা আসলে একই জিনিস। এদের যেকোনো একটার ব্যাপারে জেনে গেলে সবগুলো সম্পর্কে জানা হয়ে যায়। আবহবিদগণ এই জিনিসটাকে বলেন Precipitation বাংলায়…
বৃষ্টির পেছনের বিজ্ঞান [২]
…প্রথম পর্বের পর থেকে। বাতাসে ভাসমান পানির কণাগুলো যখন ঘনীভূত হবে তখন তার একটা আশ্রয় বা অবলম্বনের প্রয়োজন হয়। নিচের বায়ুমণ্ডলীয় স্তর থেকে পানির কণা সহজে ঘনীভূত হতে পারে কারণ সেখানে অবলম্বন হিসেবে সমুদ্র কিংবা অন্য কোনো আধার আছে। উপরের স্তরে সমুদ্র নেই, গাছপালা নেই, মাটি নেই, বাড়িঘরের পৃষ্ঠ নেই, কিছু নেই। সেখানে আধার হিসেবে…
বৃষ্টির পেছনের বিজ্ঞান [১]
“মেঘ মাদলে ভরা বাদলেবরষা বুঝি আসে ওই।জল বরণে তৃষিতমন ভিজিয়ে হাসে ওই।” বৃষ্টি : মেঘ মাদলে ভরা বাদলে বৃষ্টির সৌন্দর্যের দিক থেকে আমাদের বাংলাদেশের মানুষের মত ভাগ্যবান মানুষ মনে হয় পৃথিবীর আর কোথাও নেই। সব দেশে তেমন বৃষ্টি হয় না। প্রায় দেশেই তুষারপাত হয়। বরফে ঢাকা, কিংবা মাইলের পর মাইল মরুভূমি। আবার সব দেশে টিনের চাল নেই। বাংলাদেশের মানুষদের জন্য আশ্চর্য এক সমাবেশ ঘটেছে ফোটায় ফোটায় বৃষ্টি আর টিনের চাল। ঝমঝম…
নিউট্রিনো: মহাবিশ্বের ভূত
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কথা, তখনকার সময়ে নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকার সাপ্তাহিক বিজ্ঞান পাতার মাঝে ঘুরাঘুরি করে বেড়াতাম। সেই সময়ে এমন একটা খবর বেরিয়েছিল যার কারণে সারা দুনিয়ায় হুলস্থূল পড়ে গিয়েছিল। খবরটি ছিল এরকম- “নিউট্রিনো ছোটে আলোর চেয়ে বেশি গতিতে”। যারা বিজ্ঞানের হালচালের অল্প স্বল্প খোঁজখবর রাখে তাদের জন্য তো এটা অবাক করা ঘটনাই, পাশাপাশি যারা…
ভূমিকম্পের বিজ্ঞান [৩]
…দ্বিতীয় পর্বের পর থেকে। কিভাবে বোঝে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কোথায়: ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কোথায় সেটি বের করতে বিজ্ঞানীরা অংকের সাহায্য নেন। অত্যন্ত চমৎকার একটি উপায়ে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নির্ণয় করা হয়। সিসমোমিটারে প্রাইমারী তরঙ্গ ও সেকেন্ডারী তরঙ্গ রেকর্ড হবার সাথে সাথে সময়ও রেকর্ড হয়। এ থেকে বোঝা যায় কোন তরঙ্গ কতটুকো দেরিতে এসে পৌছেছে। প্রাইমারী তরঙ্গ ও সেকেন্ডারী…
ভূমিকম্পের বিজ্ঞান [২]
….প্রথম পর্বের পর থেকে। যে স্থানে ভূমিকম্প উৎপন্ন হয় সে স্থানটা ভূ-পৃষ্ঠের যত কাছাকাছি হবে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা তত বেশি হবে। প্রতিনিয়ত কত শত ভূমিকম্পই তো হয়, তার মাঝখানে অল্পপরিমাণই মানুষের জন্য অভিশাপ রূপে আবির্ভূত হয়। তার মানে বেশিরভাগ ভূমিকম্পই হয় ভূমির বেশ নিচে। একদম শতশত কিলোমিটার নিচে। ৭০ কিলোমিটার থেকে ৭০০ কিলোমিটারের মাঝে বেশিরভাগ ভূমিকম্পের…
ভূমিকম্পের বিজ্ঞান [১]
মাস কয়েক আগে আমি আমার খাটের উপর বসে কিছু একটা কিছু একটা করছিলাম এমন সময়ে হঠাৎ করে মনে হল যেন খাটটা নড়ে উঠেছে। আমি যেন স্পষ্ট অনুভব করলাম চলন্ত ট্রেনের সিটে বসে থাকলে যেমন একধরনের দুলুনি হয় তেমন একটা দুলুনি বয়ে গেছে সামান্য সময়ের জন্য। তখন তখনই মনে মনে ভেবে নিয়েছিলাম এটা একটা ভূমিকম্প। টর্নেডো…