পদার্থবিজ্ঞান

  • লেজার ফিজিক্সে হাতেখড়ি

    সাধারণ টর্চলাইট এবং লেজার। একটি জায়গায় এদের দুইজনের মিল বেশ লক্ষণীয়। এরা উভয়েই উৎপন্ন করে আলো। কিন্তু সেই আলোর প্রকৃতিতে রয়েছে যোজন যোজন পার্থক্য। বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য লেজার থেকে উৎপন্ন আলোকে সাধারণ আলো থেকে আলাদা করেছে। যেমনঃ সাধারণ আলো পথ চলতে চলতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু লেজার রশ্মি একই সরলরেখা বরাবর সোজা চলতে থাকে। অর্থাৎ,…

  • ওলবার প্যারাডক্স এবং কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন

    ওলবার প্যারাডক্সের সূত্রপাত জার্মান বিজ্ঞানী হেনরিক উইলহেম ওলবারের হাত ধরে ১৮২৩ সালে। এটি আসলে খুব সাধারণ নিরীহ একটি প্রশ্ন। আর সেটি হল যে, ‘রাতের আকাশ অন্ধকার কেন?’ অত্যন্ত সরল এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানীদের অনেক আগে থেকেই জানা ছিল। ঘূর্ণনশীল পৃথিবীর যে পৃষ্ঠ দিনের বেলায় সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, সেটাই রাতের বেলাতে বিপরীত দিকে চলে…

  • কার্ল সাগান : বর্হিজাগতিক প্রাণের সন্ধানে ছুটে চলা এক পথিক

    “The surface of the earth is the shore of cosmic ocean.” মানে, এই পৃথিবী হল এক মহাজাগতিক সমুদ্রের বেলাভূমি।  কথাটা বেশ কাব্যিক, তাই না? কিন্তু এই বাক্যটির ভেতরে এই মহাজগতের এক চরম সত্য নিহিত রয়েছে। সেই আদিকাল থেকেই বর্হিজাগতিক প্রাণ নিয়ে মানুষের আগ্রহের কোন কমতি নেই। অনেক নামকরা বিজ্ঞানীরাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিলেন না। আজ যে…

  • স্টিফেন হকিং এর ভবিষ্যদ্বাণী: কৃষ্ণগহ্বর কি অনন্ত বন্দিশালা?

    কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল হলো মহাবিশ্বের এমন একটি এলাকা, যেখানে প্রবল মাধ্যাকর্ষণ বল বিরাজমান। এ বল এতটাই শক্তিশালী যে ওই এলাকা থেকে আলোকরশ্মিও বের হতে পারে না। বিজ্ঞানীদের মতে, বিপুল ভরের কোনো নক্ষত্রের মৃত্যুর পর তা কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হয়। সময়ের সঙ্গে ক্রমেই বৃদ্ধি পায় কৃষ্ণ গহ্বরের (Black Hole) চেহারা। ১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে নিজের গবেষণায়…

  • মহাবিস্ফোরণ থেকে নীল গ্রহ

    বিগব্যাং থেকে পরমাণু   আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব এর একটি সমাধান থেকে বেরিয়ে আসে মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত প্রসারণশীল। এই কথা আইনস্টাইন নিজেই বিশ্বাস করতে পারলেন না। তিনি ভাবলেন মহাবিশ্ব নিজে নিজে কি করে প্রসারিত হতে পারে! তাই সেই সমাধান সংশোধন করার জন্যে তিনি তাঁর আপেক্ষিকতার সূত্রে একটা মহাজাগতিক ধ্রুবক বসিয়ে দিলেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞানী হাবল বিখ্যাত ডপলার ইফেক্ট…

  • গতির সমীকরণ ক্যালকুলেটর

    নিউটনের তিনটা গতিসূত্র (Laws of motion) চিরায়ত বলবিদ্যার ভিত্তি স্বরূপ। এই সূত্রগুলো কোন বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং তার দ্বারা সৃষ্ট গতির মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা করে। এই সূত্রগুলো ব্যবহার করে পাওয়া যায় সমত্বরণে চলমান বস্তটির গতির সমীকরণ (Equations of motion)। বিজ্ঞান ব্লগ থেকে আমরা সেই নিউটনিয়ান গতির সমীকরণগুলো সমাধানের জন্য একটি ক্যালকুলেটর তৈরি করেছি। ক্যালকুলেটরের…

  • মহাবিশ্বের চতুর্থ মাত্রা

    আমাদের মহাবিশ্বে কোনো বস্তুর অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করার জন্য চারটি মাত্রা বা রাশির প্রয়োজন।কোনো বস্তুর অবস্থান বোঝার জন্য অন্তত সেগুলোর মান জানা থাকা দরকার। এই চারটি মাত্রা স্থান ও কালের সমন্বয়ে গঠিত। আমাদের পরিচিত স্থানের রয়েছে তিনটি মাত্রা। যথা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা। স্থানের এই তিনটি মাত্রাকে আমরা স্থানাঙ্কের সাহায্যে চিন্তা করতে পারি। কোনো বস্তুর…

  • বিশেষ আপেক্ষিকতার বিশেষ ভর: আপেক্ষিক ভর কি সত্যি?

    বস্তুর বেগ কখনোই আলোর বেগের সমান হতে পারে না – এ কথাটা আমরা সবাই কম বেশি জানি। স্পেশাল রিলেটিভিটির (বিশেষ আপেক্ষিকতা) জ্ঞান না থাকলেও জনপ্রিয়ধারার বিজ্ঞান কন্টেন্টের প্রভাবে কৌতূহলী পাঠকদের কাছে এটা আর অজানা নয়। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে কেন বস্তুর বেগ আলোর বেগের সমান হতে পারে না? আর একটু ঘাটতেই তারা…

  • ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স পর্ব-২: গ্যালিলিয়ান ট্রান্সফর্মেশন ও স্পেসটাইম ডায়াগ্রাম

    আগের পর্বে আমরা নিউটনের গতিসূত্র কীভাবে আসলো, সূত্রগুলো কখন খাটে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা এটা দেখেছি যে নিউটনের সূত্রগুলো একটা বিশেষ ফ্রেমে খাটে, যাদের ইনারশিয়াল ফ্রেম বা গ্যালিলিয়ান ফ্রেম বলা হয়। আজকে আমরা এই বিশেষ ফ্রেম নিয়ে সবিস্তর আলোচনা করবো। আর এর সাথে আমরা আজকে স্পেসটাইম ডায়াগ্রামের সাথে পরিচিত হবো। ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স সিরিজের শেষের…