ইনসাইডার

  • স্লাইম-মোল্ডের মস্তিষ্ক-বিহীন বুদ্ধিমত্তা

    কখনো কি পুরনো মৃত গাছের পড়ে থাকা গুড়ি বা কান্ডে হয়তো হলুদ রঙের ছোপ চোখে পড়েছে আপনার? কাছে গিয়ে দেখলে মনে হবে ছত্রাক পড়েছে। এদের অনেকেই স্লাইম মোল্ড পরিবারের সদস্য। দেখতে অপ্রয়োজনীয় ছত্রাক মনে হলেও এরা বুদ্ধিমত্তার প্রচলিত সংজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে। স্লাইম মোল্ড পরিবারের সবচেয়ে আলোচিত সদস্য বোধ হয় ফাইসারাম পলিসেফালাম (Physarum polycephalum)। আলোচিত হবেই…

  • মস্তিষ্কের কাজ চিন্তা করা নয়

    এক সময়ে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াতো এমন সব প্রাণীরা, যাদের কোন মস্তিষ্ক ছিলো না। এমন একটি প্রাণী ছিলো অ্যাম্ফিওক্সাস। এদেরকে হঠাৎ দেখলে মনে হবে ক্ষুদ্র কোন কীট মনে হবে। তবে ভালোভাবে খেয়াল করলে এর দেহের দুই পাশে মাছের গিলের মতো চিড় দেখা যাবে। ৫৫০ মিলিয়ন বছর আগে অ্যাম্ফিওক্সাস সমুদ্রে ঘুরে বেড়াতো। নিজেদেরকে সামনে ঠেলে দিয়ে এরা…

  • রাসায়নিক বিস্ফোরণঃ নাকি সবকিছুই একসঙ্গে এসেছে?

    অ্যালকালাইন ভেন্ট হাইপোথিসিস জোর দেয় জীবকোষ চালাবার শক্তির ওপর। তাই একে “মেটাবলিজম ফার্স্ট” হাইপোথিসিসও বলে। কিন্তু এই অনুকল্পে ভর দিয়ে প্রাণ সৃষ্টির দৃশ্যপট কল্পনা করতে গেলেও সবার শুরুতে একটা পর্দার কথা ভাবতে হয়। যদিও এটা বর্তমান কোষপর্দার মতন না। তাই এই হাইপোথসিসিসেও কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের প্রসঙ্গ চলে আসে।

  • হাইড্রোথার্মাল ভেন্টঃ প্রাণসৃষ্টির আঁতুড় ঘর   

    এই লেখাটা প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যানের তৃতীয় কিস্তি। গত দুই পর্বে প্রাণ সৃষ্টি নিয়ে বেশ ক’টা হাইপোথিসিস নিয়ে আলাপ করেছি। এই লেখায় আলাপ করব এ নিয়ে জগ্বিখ্যাত “হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট” অনুকল্প নিয়ে। অনেকেই মনে করেন, প্রথম সরল প্রাণের জার্নি শুরু হয়েছিল সমুদ্রতলের ক্ষারীয় ভেন্টে। ক্ষারীয় ভেন্ট কি? কি করেই সরল বুদবুদ সদৃশ প্রাণ শক্তির যোগান পেল সেখানে?…

  • ব্রেন-অরগানয়েডকে পং-খেলতে শেখানো

    মস্তিষ্ক গবেষণায় প্রায়শই বিভিন্ন প্রাণীকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর মাধ্যমে মানব মস্তিষ্কের জটিলতা ঠিক বোঝা যায় না। সে কারণে স্নায়ুবিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কে আঘাতপ্রাপ্ত বিভিন্ন রোগীদের কেস নিয়ে চিকিৎসা করার সময় তাদের মস্তিষ্কে আঘাতের ফলে যেসব জটিলতা তৈরি হয় তা বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করে রাখেন। গত দশকে মস্তিষ্ক গবেষণায় অভিনব ধরনের পরীক্ষা-পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়েছে।…

  • কেমন ছিল সর্বশেষ আদি পূর্বসূরি কোষ?

    এই লেখাটা প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যান শিরোনামে লেখাটারই দ্বিতীয় কিস্তি। গত লেখায় আরএনএ বিশ্ব হাইপোথিসিস দিয়ে আলোচনা শেষ করেছিলাম। বলেছিলাম, প্রাণের স্পন্দন বাজতে হলে প্রোটিন আর আরএনএ’র একসঙ্গে যুগলবন্দী হতে হবে। কেননা একটা ছাড়া অন্যটা একা কাজ চালিয়ে যেতে পারে না। অনেকে আবার মনে করেন, প্রোটিন কিংবা নিউক্লিক এসিড কোনোটাই আগে আসে নি। বরং সবার আগে…

  • স্নায়ু কেন আনাড়ি

    মস্তিষ্ক কি স্নায়ু নিয়ে জুয়া খেলে? স্নায়ুকে কি বিদ্যুৎ পরিবাহী তামার তারের সাথে তুলনা করা যায়?

  • প্রাণ সৃষ্টির উপাখ্যানঃ কোনটা আগে এলো, প্রোটিন নাকি আরএনএ?

    প্রতিটি জীব কোষ দিয়ে তৈরি। তাই কোষকে বলা হয় প্রাণের গাঠনিক একক। এই কোষের ভেতর প্রতিনিয়ত চলতে থাকে নানা রকম ক্রিয়া-বিক্রিয়া। তাই কোষকে বলা হয় রাসায়নিক থলি। কোষ জীবিত থাকে এইসব রাসায়নিক ক্রিয়ার সম্মিলিত কারণেই। আর প্রাণরসায়নের মূল আলোচ্য বিষয়ই হচ্ছে জীবদেহে ঘটে চলা এসব রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া। সুতরাং পৃথিবীতে যখন বেজে ওঠে প্রথম প্রাণের স্পন্দন…

  • স্নায়ু আসলে কীভাবে কাজ করে?

    আমরা সবাই স্কুলে জীববিজ্ঞানের বইয়ে স্নায়ুকোষের গঠন জেনেছি। যদিও একেক স্নায়ুর আকার-আকৃতি একেক রকম, কিন্তু কিছু বৈশিষ্ট্য সব স্নায়ুতেই দেখা যায়। সব স্নায়ুকোষের বাইরে একটা কোষঝিল্লী থাকে। এদের একটা মূল কোষদেহ থাকে, যেখানে নিউক্লিয়াস বাস করে। স্নায়ু কোষদেহ থেকে ডেনড্রাইট নামে শাখা-প্রশাখা বের হয়, এরাপ্রতিবেশী স্নায়ুকোষ থেকে রাসায়নিক সংকেত বহন করে নিয়ে আসে। সচরাচর স্নায়ুকোষের…