মহাকাশ
ডিএসএন: দূরের মহাকাশযান যেভাবে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করে
পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে সূর্য সহ সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহে উপগ্রহে পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার জন্য বিভিন্ন রকমের মহাকাশযান বিভিন্ন গ্রহের কক্ষপথে এবং গ্রহের পৃষ্ঠে অবস্থান করছে। এই নভোযানগুলি প্রতিনিয়ত প্রচুর ছবি তুলে চলছে এবং সেই সাথে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করছে। এই সব তথ্য এবং ছবি কি ভাবে পৃথিবীতে প্রেরণ করে? সবগুলো মহাকাশযান কি তথ্য আলাদা আলাদা ভাবে…
ধেয়ে আসছে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় ধুমকেতু
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সালে ভোর হবার কিছু আগে চিলির আটাকামা মরুভূমিতে অবস্থিত একটি টেলস্কোপ রাতের আকাশের একটি ছবি তুলেছিল। ছবি প্রসেস করার সেই ছবিতে দেখা যায় যে সূর্যের আলো বেশ বড় কোন কিছুর উপরে পরে প্রতিফলিত হচ্ছে এই প্রতিফলিত আলো কোথা থেকে এলো গবেষকরা তা বোঝার চেষ্টা করছিলো। আর প্রতিফলিত আলোর সেই অদ্ভুত বিন্দুটি…
দূরের নক্ষত্রে অতীতের খোঁজে
রাতের আকাশে তাকিয়ে আমরা কত সুন্দর সুন্দর অগণিত তারা দেখতে পাই। কোনোটি একটু স্পষ্ট দেখা যায় কোনোটি আবার ঝাপসা। তারাগুলো দেখে আমাদের সবারই মনে হয় আমাদের চোখের সামনে এগুলো যেন প্রাণবন্ত হয়ে আছে। যেন জীবন্ত প্রদীপ রয়েছে চোখের সামনে। তারাগুলো যেন আমাদের সাথেই বর্তমান রয়েছে। এই তারাগুলো কিন্তু আমরা যখন দেখি আসলে ঠিক সেই মুহূর্তের…
ইলেকট্রন গ্রাসে সৃষ্ট সুপারনোভা
ভারী নক্ষত্র তার জীবনকালের একদম শেষে মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে তার সকল পদার্থ মহাকাশে ছড়িয়ে দিয়ে মৃত্যুবরণ করে। আর এই বিস্ফোরণকেই আমরা বলি সুপারনোভা। গত ২০২১ এ ন্যাচার পত্রিকায় প্রকাশিত একটা প্রবন্ধে নতুন একধরনের সুপারনোভার সন্ধান দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এটার নাম দিয়েছেন “ইলেক্ট্রন-ক্যাপচার সুপারনোভা”। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গ্রাজুয়েট ছাত্র ডাইচি হিরামাটচু (Daichi Hiramatsu) গ্লোবাল সুপারনোভা প্রজেক্টের একজন…
ওয়াও! সিগন্যাল: এক মহাজাগতিক আহবান
শীতটা বোধহয় এবার একটু বেশিই জেঁকে বসেছে। বলা চলে, একবারে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। কুয়াশার ঘন চাদরে ঢেকে গিয়েছে পরিবেশ। যখনই নিশ্বাস ছাড়ছি, যেন ছোট ছোট কুয়াশার স্তুপগুলো পাঁক খেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে। চাদরটা ভাল ভাবে পেঁচিয়ে বারান্দার দিকে এগিয়ে গেলাম। ঠান্ডায় জমে যাবার ভয়ে চেয়ারে পা তুলে বসলাম৷ হাতে গরম কফি, এই তীব্র ঠান্ডায় কফির…
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সম্পর্কে বিস্তারিত
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এই নামটি মহাকাশপ্রেমীদের কাছে খুব পরিচিত একটি নাম। এটি সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে জটিল মহাকাশ দূরবীন, যা এর আগে কখনো নির্মান করা হয়নি। ৩০ বছর আগে এই টেলিস্কোপ তৈরীর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এবং প্রায় বিশ বছরে কাজ শেষে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এখন উৎক্ষেপণের জন্য মোটামুটি প্রস্তুত। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ বা…
তারকার জীবনচক্র
রাতের বেলায় পরিষ্কার নীল আকাশের দিকে তাকালে অসংখ্য আলোক বিন্দু মিট মিট করে জ্বলতে দেখা যায়। এদেরকে তারকা বলে। খালি চোখে হাজার হাজার তারকা দেখা যায়। তারকারা কোনো চিরস্থায়ী বস্তু নয়। এদের জন্ম, আয়ু এবং মৃত্যু আছে। আমাদের সূর্য একটি মধ্যবয়সী (Middle aged) তারকা। এর বয়স বর্তমানে প্রায় দশ হাজার মিলিয়ন বছর। হয়তো আরও দশ…
আকাশজোড়া গল্পগাথা: জ্যোতির্বিদ্যার হাতেখড়ি
জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে বাংলায় লেখালেখির পরিমাণ বেশ অল্প। যেগুলো আছে অনেকক্ষেত্রেই আপডেটেড না, পুরোনো তথ্যে ভরপুর। বইটা এবছর প্রকাশিত হয়েছে তারা, গ্রহাণু, উল্কা, ছায়াপথ ইত্যাদি নিয়ে আগ্রহ থাকলে বইটা অবশ্যই পড়া উচিত। প্রথম অধ্যায়টা শুরু হয়েছে “জ্যোতিবিহীন জ্যোতিষশাস্ত্র” শিরোনামে। জ্যোতির্বিজ্ঞান (astronomy) , জ্যোতিষশাস্ত্র (astrology) দুইটা খুবই কাছাকাছি শব্দ কিন্তু অর্থের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। • জ্যোতির্বিজ্ঞান…
মহাকাশে আবর্জনা: ঝুঁকি ও ভবিষ্যৎ
মহাকাশের প্রতি মানুষের কৌতুহল সেই প্রাচীনকাল থেকে। রাতের আকাশে উজ্জ্বল তারা দেখে দেখে পৃথিবী নামক গ্রহের অধিবাসীদের মহাকাশের প্রতি ভালবাসা, আবেগ ও অনুভূতি জন্মায়। মহাকাশের সৌন্দর্য মানুষের মনে জিজ্ঞাসার জন্ম দেয়। নানা সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে মানুষের মাথায় মহাকাশ ভ্রমণের ভূত মাথায় চেপে বসে। নানা চড়াই উৎড়াই পেড়িয়ে উনবিংশ শতকের পঞ্চাশের দশক থেকে মানুষের…