ডিএনএ
অজানা জীববিজ্ঞানের যত ভুল ধারণা
মহাবিশ্বের সবচেয়ে জটিলতম বিষয়গুলোর একটি হলো জীববিজ্ঞান-এই ধারণাটা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে গেছে। এই ধারণার পেছনে একটা না, বহু কারণ রয়েছে। প্রথমত, জীববিজ্ঞানের কাজই জটিল সব কাঠামো নিয়ে কাজ করা, যেগুলোর অধিকাংশই অঙ্ক কষে সমাধান করে ফেলার মতো নয়। দ্বিতীয়ত, এর বিভিন্ন বিষয়ের (জিনোম, শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, আচরণ ইত্যাদি) ভেলকি এখনো পুরোপুরি উদঘাটন…
ওয়াটসন-ক্রিক কি রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের উপাত্ত চুরি করেছিলেন?
১৯৪০-র দশকে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল ডিএনএ-ই হলো জীবনের সংকেতবাহী রহস্যময় অণু। ডিএনএতেই কোন ভাবে লেখা থাকে বংশগতির নির্দেশনা। কিন্তু তখনো বিজ্ঞানীরা জানতেন না ডিএনএ-তে জীবনের রহস্য কিভাবে লেখা থাকে। হ্যাঁ, ডিএনএতে চারটি নিউক্লিওটাইড বেস রয়েছে। কিন্তু ডিএনএ-র গঠন কি রকম? আর ডিএনএ কিভাবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে বংশগতির তথ্য বহন করে? ১৯৪০-র দশক…
মানুষের সম্পূর্ণ জিনোমের সিকোয়েন্স
২০০৩ সালে গবেষকরা মানব জিনোমের সম্পূর্ণ সিকোয়েন্স আবিস্কারের ঘোষণা আসে। কিন্তু, ঐখানে প্রায় ৮% অসম্পূর্ণতা ছিল। এই ৮% এর মধ্যে আছে সেন্ট্রোমিয়ার, বার বার পুনরাবৃত্ত হওয়া ডিএনএ ও হেটারোক্রোমাটিন স্ট্রাকচার। ঐখানে অনেকগুলো ডিএনএ টুকরোর পুনরাবৃত্তির ফলে সেগুলোকে অন্যান্য অংশের সাথে মেলানো যাচ্ছিল না। কিন্তু, মার্চের শেষে এসে বিজ্ঞানীরা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে শতভাগ সম্পূর্ণ জিনোমের সিকোয়েন্স…
তথাকথিত “জাঙ্ক-ডিএনএ” অনুকল্প কি বাতিলের পথে?
মানব জিনোম সিকোয়েন্সিং এর পর, ২০০০’র দশকে, আমাদের ডিএনএ-র অর্ধেকেরও বেশিকে ধরে নেয়া হতো অপ্রয়োজনীয়। বলা হতো এগুলো বিবর্তনের “বাতিল মাল”, নষ্ট হয়ে যাওয়া “ভাঙা-জিন”, জিনোমের কারাগারে আটকে পড়া ভাইরাসের ডিএনএ-ফসিল যেগুলোর প্রকাশ “চুপ” করে দেয়া হয়েছে। ভাবা হতো, এসব বাতিল ডিএনএ জীবের কোন প্রয়োজনে আসে না, বিবর্তনের সাথে সম্পর্কহীন। তব গত দশকে অনেকগুলো গবেষণা…
রোজেটা স্টোন (গেম অব জিনোমস)
[আগের অধ্যায় | সূচীপত্র | পরের অধ্যায়] খন্ড-১, অধ্যায়-৪ ম্যাসাচুসেটেসের কেমব্রিজ শহর। ব্রড ইনস্টিটিউটের একটি প্রশস্ত জানালা দিয়ে রোদ চুঁইয়ে পড়ছিলো, আর বিপরীত দেয়ালে হোয়াইটবোর্ডে এলোমেলো লেখা সে রোদেলা আলোয় আলোকিত হয়েছিলো। কনরাড কার্কেজোস্কি, একজন তরুণ বায়োইনফরমেটিক্স বিশেষজ্ঞ, প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে সে হোয়াইটবোর্ডে বোঝাচ্ছিলেন আমার জিনোম উপাত্তের বিস্তারিত, যা এখন তার ল্যাপটপের স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে।…
ক্রিসপার ও জিনোম সম্পাদনা
১. এমন যদি হতো জীবন্ত-প্রাণকে কম্পিউটার সফটওয়্যাররের মতো সহজে বদলানো যেতো? তাহলে আমরা খামারের পশু থেকে থেকে পেতাম চর্বিহীন মাংশপিন্ড। প্রকৌশলের মাধ্যমে গাছগাছালি থেকে রসালো ফল অথবা তীব্র জলবায়ুতে টিকে থাকার ক্ষমতা চালু করা যেত। চিকিৎসা গবেষণা বদলে যেত। মানব রোগ বোঝার জন্য আমরা মিউট্যান্ট প্রাণী তৈরি করতাম। কিংবা নতুন ঔষুধ-অণুর উৎস হিসেবে উদ্ভিদ-প্রকৌশল করা…
জেনেটিকের আদ্যোপান্ত
কখনো ভেবে দেখেছো কি তোমার চেহারা কেনো তোমার বাবা মায়ের সাথে মিলে? যমজ বাচ্চা দেখতে কতো কিউট ই না লাগে; যমজ হওয়ার পেছনে রহস্য টা কি? মানুষের ক্যান্সার হয় কেনো? কিছু কিছু মানুষের চুল লাল হয় কেনো? এই সব কিছুর পেছনে আছে জিনের প্রভাব। না, কোন জিন-ভুত না। ‘GENE’ হলো জীবন্ত প্রাণের বংশগতির আণবিক একক। আমাদের…
ক্রিসপার-শিশুর জন্ম-বিতর্ক : পৃথিবী কি জিনোম-সম্পাদিত শিশুদের স্বাগত জানাবে?
তাদের নাম লুলু ও নানা। প্রকৃত নয়, ছদ্মনাম। ছদ্মনাম দেয়ার উদ্দেশ্য হলো এ দুই নবজাতকের প্রকৃত পরিচয় যাতে গোপন থাকে। কারণ তাদের জন্ম কোন সাধারণ জন্ম নয়, প্রকৃতির উপর বাড়াবাড়ি যেন, বিশ্ববাসীর কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত । লুলু ও নানা পৃথিবীতে জন্ম নেয়া প্রথম শিশু যাদের জিনোম প্রকৃতির হাত থেকে ছিনিয়ে গবেষণাগারে সম্পাদিত করা হয়েছে। হে…
ফ্রেডরিক স্যাঙ্গারঃ কাজে বিশ্বাসী মানুষটি
মেরী কুরি, জন বারডীন, লিনাস পলিং এবং ফ্রেডরিক স্যাঙ্গার। চারজন বিজ্ঞানী, নিজ নিজ ক্ষেত্রে অতুলনীয়। তবে তাদের মধ্যে একটা মিল হল, এই চারজনই দুই বার নোবেল পুরষ্কার অর্জনের বিরল সম্মানের অধিকারি। তবে এই লেখাটি শুধুই ফ্রেডরিক স্যাঙ্গারকে নিয়ে। সম্পুর্ন কর্মজীবন নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন এই বিজ্ঞানী। বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহনের সময় আসার আগ পর্যন্ত নিজের…