নিউক্লিয়ার বোমার ভয়াবহতা যখন মানুষ প্রথমেই বুঝতে পেল, বায়ুমণ্ডলের জন্য, বায়ুমণ্ডলে বসবাসকারী মানুষের জন্য কত ক্ষতিকর সেটা তখন তখনই পরিবেশবিদ প্রকৃতিবিদদের নাড়া দিয়ে গেল। তারা সোচ্চার হয়ে ওঠলেন এর বিরুদ্ধে। কিন্তু যারা প্রকৃতি পৃথিবীকে ভালবাসে তাদের কথায় কি দুনিয়া চলে? নিউক্লিয়ার বোমা কোনো দেশের রিজার্ভে থাকলে অন্য সব দেশ তাকে এমনিতেই ভয় করে। এমন সব কূটনৈতিক কারণে নিউক্লিয়ার বোমাকে নিষিদ্ধ করা যায় নি। যাবেও না। তবে আশার কথা হল নিউক্লিয়ার বোমা একেবারে বাতিল করা না গেলেও যখন তখন যেখানে সেখানে যেন তার পরীক্ষা করা না যায় সেটা নিয়ে আইন তৈরি হয়েছে এবং সে আইন প্রয়োগও করা হয়। যেমন এই আইনের একটা হল কোনোভাবেই বায়ুমণ্ডলে নিউক্লিয়ার বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো যাবে না।
সেজন্য প্রায় নিউক্লিয়ার বোমা মাটির নিচে ঘটানো হয়। এতে করে মাটির উপর দিয়ে ভূমিকম্প বয়ে যায়। আমার জানা মতে এখন পানির নিচেও নিউক্লিয়ার বোমার পরীক্ষা নিরীক্ষা নিষেধ। জলের নীচটাও হাজারো রকমের প্রাণবৈচিত্রে পরিপূর্ণ। সমুদ্রের প্রাণ নস্ট করা মানে মানুষের নিজের জিনিস নস্ট করা। সমুদ্রের বাস্তুসংস্থানে আঘাত করা মানে মানুষের বাস্তুসংস্থানে আঘাত করা। কারণ সমুদ্রের ইকোলজি আর স্থলের ইকোলজি পরস্পর একের সাথে আরেকটা আঙ্গাআঙ্গি ভাবে যুক্ত। একটা সময় ছিল যখন সমুদ্রে পানির নিচে নিউক্লিয়ার বোমার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হত। কি ঘটে যখন একটি ভীষণ শক্তিশালী বোমা পানির নিচে বিস্ফোরিত হয়? আগ্নেয়গিরির উদগিরণের মত অবস্থা দিয়ে শুরু করে প্রথমে। কী ভয়ঙ্কর রকমের আর ভয়ঙ্কর সুন্দরের অবতারণা করে তা না দেখে শুধু বলে পরিষ্কার করা যাবে না।
উপরের ভিডিওটিতে সমুদ্রের জলের তলে একটি পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের কিছু অংশ দেখানো হয়েছে। আশা করি সকলে দেখবেন। কাজে লাগলে সবসময়ের জন্য সংগ্রহ করে (সেইভ/ডাউনলোড) রাখতে পারেন।
সমুদ্রের নিচে নিউক্লিয়ার বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ
ভিডিওটি ১৯৫০ সালের আমেরিকার একটি পরীক্ষা। ভিডিওটি তুলেছেন আড়াই মাইল দূরে থেকে [চার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে থেকে]
Leave a Reply