ধ্যান আমাদের মস্তিষ্ককে বদলে দেয়
মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনের শুরু হয় বৌদ্ধ ধর্মে। এই ধ্যানে সবকিছুকেই খেয়াল করতে হয়। সম্প্রতি এই ধ্যানটি পাশ্চাত্যে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। না, ধর্মীয় কারণে নয়, বরং টেনশন কমানো ও চাপ সামলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন থেরাপি-চিকিৎসাতে এই জনপ্রিয়তা লক্ষ্যনীয়। সম্প্রতি স্নায়ুবিজ্ঞানের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে এই ধ্যানের ফলে মস্তিষ্ক বদলে যায়। মস্তিষ্কের আদিম অ্যামিগডালার ধূসর পদার্থ কমে যায়, বেড়ে যায় আধুনিক ফ্রন্টাল কর্টেক্স। মস্তিষ্কের আদিম অংশ নিয়ন্ত্রণ করে বিপদ ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে আমরা পালাবো নাকি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাবো। আধুনিক ফ্রন্টাল কর্টেক্স নিয়ন্ত্রণ করে উন্নত বিশ্লেষণ-ক্ষমতা, পরিকল্পনা ইত্যাদি গুণ। [মস্তিষ্কের আধুনিক-আদিম বিষয় নিয়ে জানতে পড়ুন তিন মস্তিষ্কের টানাপোড়ন লেখাটি] সূত্র: সায়েন্টিফিক আমেরিকান।
প্রথম মেরুদন্ডীদের খোঁজে
মানুষ থেকে শুরু করে টিকটিকি হয়ে মাছ — সব মেরুদন্ডী প্রাণীদের উদ্ভব হয়েছিলো এক সাধারণ পূর্বপুরুষের মাধ্যমে। সে পূর্বপুরুষের খোঁজ আগে কখনো পাওযা যায় নি। সম্প্রতি কানাডায় সেই আদি-পূর্বপুরুষের খোঁজ পাওয়া গেছে। এরা হলো নিউইয়র্ক টাইমস।
, এক ধরনের সমুদ্রচর যাদের কোন মেরুদন্ড নেই, কিন্তু নটোকর্ড আছে। মজার কথা একই রকম নটোকর্ড ভ্রুণাবস্থায় আপনার-আমারো ছিলো। এই ফসিলগুলো এতোটাই সুসংরক্ষিত ছিলো যে মেটাস্প্রিগ্গিনাদের দেহ কাঠামোর বেশ নিখুঁত একটি ছবি তৈরি করা গেছে। সূত্রল্যাপটপে নোট নেবেন নাকি হাতে লিখবেন?
আমাদের দেশে এখনো মনে হয় ক্লাসে ল্যাপটপ নিয়ে সেখানে নোট নেয়াটা শুরু হয় নি। কিন্তু অনেকেই স্মার্টফোন/ট্যাব ঘাঁটাঘাঁটি করে ক্লাসের ৫০-৬০% সময় নষ্ট করে এটা বুঝতে আইনস্টাইন হওয়া লাগে না । তবে ক্লাসে নিজ হাতে লেকচার নোট তুললে সেটা ল্যাপটপে নোট নেয়ার চাইতে বেশি কাজে দেয়। তথ্যটা একটু বিস্ময়কর কারণ হাতে লেখার চাইতে মানুষের QWERT বা কি-বোর্ড টাইপিং স্পিড অনেক বেশি। এটা হওয়ার কারণ কি? বলা হচ্ছে যে দ্রুত টাইপিঙের সময় শিক্ষকের মুখের কথা অক্ষত ভাবেই ল্যাপটপে তুলে নেয়া সম্ভব। কিন্তু হাতে লেখার গতি যেহেতু কম, সেহেতু স্যার/ম্যাডাম লেকচারে কি বলেছেন সেটা সাথে সাথে তুলে ফেলা যায় না। এজন্য লেকচারের সারাংশ চিন্তা করে মূল কথাটা লিখতে হয়, ফলে শেখাও হয় বেশি। সূত্র সায়েন্টিফিক আমেরিকান।
অসহায় পেশী-মেটাবলিজম
খাবার ভেঙে অন্যান্য জরুরী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপাদান ও শক্তি তৈরির প্রক্রিয়াকে বলা হয় মেটাবলিজম। বিজ্ঞানীরা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিভিন্ন অঙ্গের মেটাবলিজম তুলনা করে দেখেছেন যে, বিবর্তনীয়ভাবে কাছাকাছি স্তন্যপায়ীদের মেটাবলিজমও একই রকম। কিন্তু মানুষের মস্তিষ্ক (বিশেষ করে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স) এবং দেহপেশির মেটাবলিজমের সাথে অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের সংশ্লিষ্ট মেটাবলিজমের ধরন খুবই ভিন্ন। কেন? একটা অনুকল্প হলো মানব মস্তিষ্কের ক্রমবিকাশের ফলে মগজের বর্ধিত শক্তি চাহিদা মেটাতে গিয়ে দাম দিতে হয়েছে দেহপেশীসমূহকে। এ অনুকল্পের বিকল্প প্রস্তাব করছেন অনেকে — আদিম মানুষের চরে বেড়ানো কিংবা শিকারের খোঁজে সারাদিন ঘোরার জন্য পেশীসমুহের সহ্যক্ষমতা বেড়েছে, যে কারণে কমে গেছে দেহপেশীর শক্তিমত্তা। মস্তিষ্কের বর্ধিত মেটাবলিজম হয়তো এ প্রক্রিয়ার উপজাত। সূত্র নিউইয়র্ক টাইমস।
কৃত্রিম প্রাণের গবেষণা
২০১০ সালে কৃত্রিম জিনোম দিয়ে একটি ব্যাক্টেরিয়া চালানোর মাধ্যমে ক্রেইগ ভেন্টর হইচই ফেলে দেন সারা বিশ্বে, সেই পরীক্ষাটি ছিলো কৃত্রিম প্রাণ গবেষণার একটা প্রাথমিক প্রদর্শন। ভেন্টর মানব জিনোম প্রজেক্টের এক অংশের নেতা ছিলেন। তবে এখন মানব জিনোমের চেয়ে কৃত্রিম প্রাণ তাকে বেশী উদ্দীপিত করে। তার থলেতে আছে আরো অনেক কিছুই, অচিরেই তিনি এক এক করে সেগুলো বের করে আনতে যাচ্ছেন। সূত্র FT ম্যাগাজিন।
প্রথম প্রাণীর সন্ধানে
প্রথম ‘প্রাণী’ কারা? বলে রাখা ভালো এখানে প্রাণী বা Animal বলতে প্রথম এককোষী জীব নয়, বহুকোষী প্রাণী বোঝানো হচ্ছে। প্রথম প্রাণী বলতে আমাদের জীবনের অতীত ইতিহাস ঘাঁটতে হবে, এজন্যে ফাইলোজেনেটিক ট্রি বা জীবন-বৃক্ষ তৈরি করে তাকাতে হবে অতীতের ঘটনার দিকে।সম্প্রতি জেলিফিশের ডিএনএ অন্যান্য প্রাণীদের সাথে তুলনা করে দুনিয়া-উল্টানো তথ্য পাওয়া গেছে। আগে ধারণা করা হতো স্পঞ্জ ও তাদের আত্মীয়রাই সম্ভবত প্রথম প্রাণী — প্রাণীদের পূর্বপুরুষ। এখন দেখা যাচ্ছে ঘটনা ভিন্ন। সূত্র ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক।
নিষ্ক্রিয় ভিটামিন-সি জিন
বেশিরভাগ ভিটামিন মানব দেহ তৈরি করতে পারে না। তবে প্রতিদিনের জরুরী এই অণু তৈরি করতে পারে ব্যাক্টেরিয়া, উদ্ভিদ কিংবা ক্যাঙারু-ব্যাঙেরা। দেখা গেছে, আমাদের ভিটামিন সি তৈরির জিন রয়েছে, তবে সেটা নষ্ট। কেন এরকমটা হলো? অন্য জীবদের এই ক্ষমতা আছে, কিন্তু প্রাইমেটদের নাই, এর কারণটা কি? সূত্র নিয়ইয়র্ক টাইমস।
Leave a Reply