[আপডেট: লোটন ভাইয়ের চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।]
লোটন ভাইয়ের অনেকগুলো পরিচয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো তিনি বিজ্ঞান ব্লগের সহপ্রতিষ্ঠাতা। মনে পড়ে ২০১০ সালে ইমতিয়াজ ভাইয়ের প্রস্তাবে লোটন ভাই, শান্ত ও আমি ওয়ার্ডপ্রেস.কম-এর সাবডোমেইনে বিজ্ঞান ব্লগের যাত্রা শুরু করি। সেসময় আমরা সবাই অনুসন্ধিৎসু চক্রের সক্রিয় সদস্য। খুব দ্রুতই বিজ্ঞান ব্লগ নিজস্ব ডোমেইনে চলে আসে (৪ মার্চ, ২০১১)। লোটন ভাই মূলত সাইটের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখেন। বিজ্ঞান ব্লগে নতুন লেখা সম্পাদনা, প্রশাসনিক ও টেকনিক্যাল দেখাশুনার কাজগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিলো। এরপর বিজ্ঞান ব্লগের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে – লেখক সংখ্যা বেড়েছে অনেক, এটি বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রুপ-ব্লগ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, সহসম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছেন ওসমান ভাই, রুহশান ও শ্রাবণ। ছোট ব্লগের গন্ডী পেড়িয়ে আমাদের অনেক লেখকই বিজ্ঞান নিয়ে গুরুত্ব সহকারে বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখছেন। অনেকেই বিজ্ঞান নিয়ে বইও প্রকাশ করেছেন, নিয়মিত বিজ্ঞান নিয়ে পত্রিকায় লিখছেন। বিজ্ঞান ব্লগটিকে বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে লোটনভাই দীর্ঘ সময়, শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছেন। ব্লগের অন্তরালের কর্মী লোটন ভাই খাদ্যরসিক, উদার মনের মানুষ। পেশায় সৃজনশীল ওয়েব ডেভলপার। বিজ্ঞান ব্লগে হাত দেয়ার আগে তিনি খবর-দার নামের একটি বিজ্ঞান পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিন বছর। বর্তমানে তিনি অনুসন্ধিৎসু চক্রের কেন্দ্রীয় সহঃসাধারণ সম্পাদক।
এ কথাগুলো বলার মূল কারণ হলো এহতেশামূল কবীর লোটন ভাই ভীষণ অসুস্থ। এই টগবগে তরুণের দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আপাতত তাঁকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। প্রয়োজন কিডনি প্রতিস্থাপন করা – যেটা অনেক ব্যয়বহুল। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা লাগবে এই চিকিৎসার জন্য। কিডনি প্রতিস্থাপন হলে তিনি আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন, বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে আবার পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন।
লোটন ভাই অনুসন্ধিৎসু চক্র বিজ্ঞান সংগঠনে বারো বছরেও অধিক সময় ধরে সক্রিয়-সংগঠক হিসেবে স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে আসছেন। এমনিতেই আমাদের দেশে বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা মানুষের সংখ্যা কম। খুব কম মানুষই বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ, বা ভালো জানেন-বোঝেন। তারও চাইতে স্বল্প হলো বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য কাজ করা সংগঠকের সংখ্যা। লোটন ভাই তেমনিই একজন বিজ্ঞান-সংগঠক। তাঁর বেঁচে থাকাটা খুব দরকার। এজন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা।
তিনি বর্তমানে অধ্যাপক ডা. মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী (বিভাগীয় প্রধান, কিডনী বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) – এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। সম্প্রতি ঢাকায় আসা ভারতের ফর্টিস হাসপাতালের নেফ্রলজি বিভাগের পরিচালক ও কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ ডা. মনোজ কুমার সিংহালকে দেখানোর পর তিনিও লোটনকে যত দ্রুত সম্ভব কিডনী প্রতিস্থাপন করার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিডনী প্রতিস্থাপনে প্রয়োজন হবে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। এই বিপুল ব্যয় তার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য বর্তমানে বেঁচে থাকার জন্য লোটনকে সপ্তাহে ৩ বার করে মাসে মোট ১২ বার কিডনী ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে।
এই তরুণ বিজ্ঞানকর্মীর চিকিৎসার্থে এগিয়ে আসার জন্য সকল সহৃদয় ব্যক্তির প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানাই। আপনার বাড়িয়ে দেয়া সহযোগিতার হাতের অপেক্ষায় আমরা। অজ্ঞানতার অন্ধকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চায় যে তরুণ, তাকে কি আমরা জীবনযুদ্ধে হেরে যেতে দিব? আসুন, সবাই মিলে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার, সামাজিক দায়বদ্ধতার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করি; সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই তরুণ প্রাণটিকে পুনরায় সুস্থ করে তুলি।
আর্থিক সহযোগিতা পাঠানো যাবে লোটন ভাইয়ের বড় বোনের নিম্নোক্ত একাউন্টে:
নুসরাত জাহান,
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, মান্ডা শাখা
হিসাব নং: ২২১১৫১০০৬০৯৩৫
Nusrat Jahan
Dutch-Bangla Bank Limited, Manda Branch
A/C No.: 221.151.0060935
বিকাশ এর মাধ্যমে অর্থ সহযোগিতা পাঠানো যাবে: ০১৮৮১১৭৮০০৭ নাম্বারে।
প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে: ০১৫৫৪৬৮৩৭৩৫ নাম্বারে।
এছাড়াও বাংলাদেশে বাইরে অবস্থিত শুভাকাঙ্ক্ষীরা MoneyGram বা এ ধরনের সেবার মাধ্যমে অর্থ সাহায্য পাঠাতে পারবেন।
ফেসবুক ইভেন্ট লিঙ্ক: লোটন ভাইয়ের সাহায্যার্থে ফেসবুক ইভেন্টে যুক্ত হোন ও অন্যদের মধ্যে এ বার্তাটি ছড়িয়ে দিন।
Leave a Reply