চীনের মধ্যাঞ্চলে সাধারণত ফিতাকৃমির সংক্রমণ হয় না। পরিবেশগত কারণেই হয়তোবা এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে এর উৎপাত কম। কিন্তু ২০১৬ সালের শুরুর দিকে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটে। ডাক্তাররা এক ব্যক্তির অন্ত্রে খুঁজে পান ২০ ফুট লম্বা এক ফিতাকৃমি। একে তো ঐ অঞ্চলে এধরনের সংক্রমণ কম তার উপর এত বেশি লম্বা হওয়াতে অবাক হয়ে যায় সবাই। দুই বছর ধরে এই কৃমিটি বাস করছিল ঐ লোকের দেহে।
জানা যায় আক্রান্ত ব্যক্তি কাঁচা মাংস খেতে ভালোবাসেতেন, নিয়মিতই খেতেন সেদ্ধ না করা মাংস। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুই বছর ধরে লেগেই থাকে অসুস্থতা। বমি হতো, ক্ষুধামন্দা লেগে থাকতো, খেতে ইচ্ছে করতো না, পায়ুপথে ব্যথা করতো, শরীর দুর্বল লাগতো, আর ধীরে ধীরে ওজন কমতো। এক পর্যায়ে তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার তার মলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখতে পান তাতে ফিতাকৃমির ডিমের অস্তিত্ব আছে। এধরনের কৃমি দেহে থাকলে দেহের সকল শক্তি শুষে নেয়। খাদ্য খেলে সেসবের পুষ্টি শরীরে না গিয়ে যায় ঐ কৃমির পেটে। অসুস্থ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক এক্ষেত্রে। সব দেখে ডাক্তার কৃমিনাশকের চিকিৎসা দিলেন। ওষুধ খাবার পর মাত্র ৩ ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসে ২০ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা ফিতাকৃমি।
এই ঘটনার খবর এবং কৃমির আদি-অন্ত প্রকাশিত হয় দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ। কৃমিটির বৈজ্ঞানিক নাম Taenia saginata।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
Leave a Reply to সিরাজাম মুনির শ্রাবণCancel reply