বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন যেভাবে নতুন রোগ ছড়াতে পারে
কোন সংক্রামক রোগের হঠাৎ প্রাদুর্ভাবের কারণ খুঁজতে গেলে অনেকগুলো প্রশ্নের উদয় হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হলো “কেন?”।
কেন তখন? কেন ঐখানে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজা প্রায় অসম্ভব হতে পারে। এর কারণ শুধু এই নয় যে প্রশ্নগুলো অনেকটা অধিবিদ্যাধর্মী ও বোঝা কঠিন। বরং অণুজীব, পরিবেশ ও আক্রান্ত মানুষের মধ্যে আপাত-নগণ্য মিথষ্ক্রিয়াগুলো নির্ণয় করা শ্রমসাধ্য ও জটিল কাজ। তাই জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট জনগণের কাছে অসহায়ের মতো কাঁধ-ঝাঁকিয়ে ভগ্নহৃদয়ে স্বীকার করেন যে তারা এসব প্রশ্নের উত্তর “জানেন না আর হয়তোবা কখনোই জানতে পারবেন না“; এরপর অন্ধকারাচ্ছন্ন, ধোঁয়াটে বারে গিয়ে অক্ষমতার আক্ষেপ গ্লাসের পর গ্লাস ভর্তি এককোষী ছত্রাকের বিপাকীয় বর্জ্য-তরলে নিমজ্জিত করতে থাকেন।
হলিউডের চলচিত্র কন্টাজিয়ন-এর (Contagion) শেষ দৃশ্যের কথা বলা যাক। কন্টাজিয়ন চলচিত্রটিতে MEV-1 নামক প্রাণঘাতী জীবাণু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার গল্প বর্ণিত হয়। MEV-1 হলো কাল্পনিক ভাইরাস, যা আক্রান্ত দেহে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি করে। পরিচালক স্টিভেন সোডারবার্গ সুচারূভাবে দেখানে কেন ও কিভাবে এই কাল্পনিক ভাইরাস পৃথিবী জুড়ে সংক্রমিত হয়। দেখুন কিভাবে:
একটি ভিনদেশী ক্রান্তীয় এলাকা। একটি বুলডোজার পামগাছের কুঞ্জবন ধ্বংস করে দেয়, উৎখাত করে একদল বাদুড়কে যারা আশ্রয়ের খোঁজে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন করে উড়ে যায় পার্শ্ববর্তী কলাগাছের বনে। একটি বাদুড় আধাখাওয়া, লালামিশ্রিত কলা বহন করে নিয়ে এলো একটি জায়গায় যা দেখে শূকর–খামার মনে হয়, বাদুড়ের অর্ধ–ভক্ষিত ফলটি পড়ে যায় মাটিতে, এক তীক্ষ্ম–দৃষ্টির শূকর–ছানা ফলটি দেখে দ্রুত খেয়ে ফেলে। এর পরে শুকর ছানাটি চিনে অবস্থিত ম্যাকাও–ক্যাসিনোতে রান্নার জন্য নির্বাচিত করে পাঠানো হয় রান্নাঘরে, যেখানে তাকে রান্না–বান্নার পূর্বপ্রস্তুতীর জন্যে মৃত পড়ে থাকতে দেখা যায়। একজন শেফকে দেখা যায় রান্না শুরু করার আগে শুকরের মুখে গাছগাছরা গুঁজে দিতে; তারপর ভৃত্যের হঠাৎ–ডাকে সাড়া দিয়ে সে সচকিত হয়ে ওঠে। রান্নাঘর থেকে বের হওয়ার সময় এপ্রনে হাত মুছে বাবুর্চি বাইরে গুয়েনেথ প্যালট্রো–র চরিত্রের সাথে হাত মেলায়, যিনি আমাদের সূচক–রোগী, এবং শুরু হয় MEV-1 এর বিশ্বযাত্রা (সূচক রোগী বলতে চিহ্নিত রোগীকে বোঝায় যিনি কোন রোগ প্রদুর্ভাবে সর্বপ্রথম আক্রান্ত হয়েছেন বলে সনাক্ত করা গেছে)।
চলচিত্রের এই সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় MEV-1 ভাইরাসটির বিশ্ব-সংক্রামণের উৎপত্তি দেখানো হয় মামুলিভাবে; সাধারণ আর প্রচলিত উপায়ে। সাথে শিরশিরে আবহসংগীত যা দর্শকের পরিতোষ পূর্ণ করবে। কী দারুণ গোছানো একটা গল্প! হয়তো একটু বেশিই গোছানো … ।
কন্টাজিয়নে যে দৃশ্যকল্প দেখানো হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন রোগ প্রাদুর্ভাবের এরকম পুনঃনির্মাণ গণস্বাস্থ্য-গবেষকদের জন্য বলতে গেলে অসম্ভব। যদিও আমরা কোন রোগ-প্রাদুর্ভাবের উৎপত্তি সম্পর্কে প্রাথমিক উপসংহার টানতে পারে, কিন্তু এরকম ঘটনার ধারাবাহিক কার্যকারণ বের করতে পারা দুষ্কর। তবে এ চলচিত্রে বর্ণিত প্রাদুর্ভাবের বয়ানটি ১৯৯৮-৯৯ সালে মালয়শিয়ায় নিপাহ ভাইরাস আবির্ভাবের সাথে সম্পর্কিত। নিপাহ ভাইরাস মালয়শিয়ার শুকর-খামারী ও কসাই-শ্রমিকদের সংক্রামিত করেছিলো। ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি পৃথিবীকে নিজের অস্তিত্বের কথা জানিয়েছিলো। কন্টাজিয়ন চলচিত্রটির মতোই এ নিপাহ-ভাইরাস বিস্তারে ছিলো একটি বিশেষ সন্ধিক্ষণ – একের পর এক ঘটে যাওয়া ঘটনা যা বৃহত্তর ঘটনা উছলে দেয়। যা মানুষের পরিবেশ-হস্তক্ষেপের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। যা সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ও ব্যয়বহুল প্রাদুর্ভাবের জন্ম দেয়।
মালয়শিয়ার জন্য ১৯৯৮-৯৮ সাল ছিলো বিশ্রী ও কুয়াশাচ্ছন্ন সময়। বাণিজ্যিক লাভ ও কাগজ তৈরির জন্য ইন্দোনেশিয়ায় কৃত্রিম বনায়নের উদ্দেশ্যে ক্রান্তীয় বনের ব্যাপক অংশ কেটে পুড়িয়ে দেয়া হয়। ফলশ্রুতিতে তৈরি হয় অভেদ্য কুয়াশার আস্তরণ যা উপদ্বীপটি ও পার্শ্ববর্তী দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে মাসের পর মাস ঢেকে রাখে। বারো মিলিয়ন একরের ক্রান্তীয় বাদলবন মানবসৃষ্ট দাবানলের মাধ্যমে উজাড় করা হয়। আর সৃষ্ট ধোঁয়াশার চাদর সূর্যালোককে এমনভাবে আটকে দেয় যে দক্ষিণ মালয়শিয়ার ফুল-ফল উৎপাদী উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ করতে ব্যর্থ হয়। সে সময় দেশজুড়েই ফসল ব্যর্থ হয়।
ঠিক সে সময়ে এল নিনো-র দক্ষিণ আবর্তনজনিত সৃষ্ট খরা তৎকালীন পরিবেশগত ও বাস্তুসংস্থানীয় অবস্থার অবনতি ঘটায়।
ছবি: এই ছবিটি নাসা–র পৃথিবী–সম্পর্কিত তথ্য অনুসন্ধানের জন্য Total Ozone Mapping Spectrometer (TOMS) স্যাটেলাইট থেকে নেয়া যেখানে ইন্দোনেশিয়ার দাবানল থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণের ব্যাপ্তি দেখা যাচ্ছে। সাদা ধোঁয়া দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার উপর ঝুলছে, আর সবুজ, হলুদ ও লাল রং দিয়ে ওজন–স্তর কিংবা ধোঁয়াশা বোঝাচ্ছে। সূত্র: NASA/GSFC Scientific Visualization Studio, based on data from TOMS।
মানুষ ও শূকর উভয়ের মধ্যে অস্বাভাবিক ধরণের জ্বরো-জ্বরো মস্তিষ্কপ্রদাহ দেখা যাওয়া শুরু করে ১৯৯৮ সালের শরতের দিকে। মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিম জেরা কিন্টা-র শূকর-খামারী সম্প্রদায়ের মধ্যে এ রোগলক্ষণটি প্রথম দেখা যায়। কিন্টা থেকে অন্যান্য জেলায় (নেগেরি সেম্বিলান, সানগাই নিপাহ ও বাকিট পেলান্দুক) শূকর রপ্তানীর মাধ্যমে নতুন নতুন খামার একই ব্যাধীতে আক্রান্ত হওযা শুরু করে। এ রোগকে প্রথমে ভুল করে মশা দিয়ে ছড়ানো জাপানী-মস্তিষ্কপ্রদাহ (জাপানিজ এনসেফালাইটিস) বলে চিহ্নিত করা হয়েছিলো।
সে সময় সরকারী লোকজন জাপানী-মস্তিষ্কপ্রদাহ প্রতিষেধক সরবরাহ ও মশা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছিলো। কিন্তু বধ করার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুরে রপ্তানীকৃত শূকর এগার-জন কসাইকে আক্রান্ত করে ফেলে। একজন মারা যান আর এই রোগের আন্তর্জাতিক ধাক্কা বিস্তৃত হতেই থাকে। তখন বোঝা যাচ্ছিলো এটা মশা-দিয়ে-ছড়ানো রোগ নয় বরং অন্য কিছু। যদিও এই রোগটি আসলে কি আর তা কিভাবে ছড়াচ্ছে তা মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করে রাখছিলো মাসের পর মাস।
এর মধ্যে দেশটির চৈনিক ক্ষুদ্র-নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠির লোকজন রীতিমতো একঘরে হয়ে পড়ে। এরা মূলত শূকর খামারের মালিক ও কসাই হিসেবে কাজ করতো। শূকর রপ্তানী ধ্বসে পড়ে। শূকর পালন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অন্যতম বৃহৎ শিল্প। কিন্তু তখন এটি সাময়িকভাবে বন্ধই হয়ে যায়। ১০০ মিলিয়ন ইউ.এস. ডলার সমমানের রাজস্ব নষ্ট হয়ে যায়। সব শেষে মালয়শিয়ান কর্তৃপক্ষ নতুন এক ভাইরাস আবিষ্কার করলেন যা শূকর থেকে মানুষে ছড়াতে পারে। তারপর মালয়শিয়ান সরকার ১.১ মিলিয়ন শূকর ধ্বংস করে ফেলে, যার মূল্যমান ৩.৫ মিলিয়ন ইউ.এস. ডলার। আনুমানিক ২৬৫ জন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন ও ১০৫ জন মারা যান।
পরবর্তীতে মালয়শিয়ান ফ্লাইং–ফক্স (Pteropus vampyrus) ও আইল্যান্ড ফ্লাই–ফক্সের (Pteropus hypomelanus) মতো ফল-খেকো বাদুড়ের মাঝে নিপাহ ভাইরাস সনাক্ত করা গেল। তখন মালয়শিয়ার কলেজ অব কুয়ালালামপুরের গবেষকরা সন্দেহ করা শুরু করলেন যে কোন “মানবসৃষ্ট ঘটনা” হয়তো এই মারাত্মক ও ব্যায়বহুল রোগ-প্রাদুর্ভাবের পেছনে দায়ী। ধোঁয়াশার আস্তরণ, বনবিনাশ ও খরার ভয়বহ সম্মেলন ধ্বংস করে দেয় বাদুড়দের খাদ্য সংগ্রহের নিবিড় আবাসস্থল, তাদের প্ররোচিত করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে। ফলে খাবার ও আবাসস্থলের খোঁজে দেশটির উত্তরের ফলনশীল অঞ্চলে বাদুড়রা আম, ডুরিয়ান, নাসপাতি আর রাম্বুটানের আবাদী বাগানে বসতি গাড়ে। ঐ এলাকায় এ বাগানগুলো সাধারণত শূকর-খামারের আশেপাশেই ছড়ানো থাকে।
ঐ আক্রান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী খেটে খাওয়া কৃষক ও শিকারীরা পরবর্তীতে গবেষকদের জানান তৎকালীন পরিবেশ-বিপর্যয়ের সময় বাদুড়রা পার্শ্ববর্তী বনে বিশ্রাম নিচ্ছে ও বাগানে নিশুতি অভিযান চালিয়ে ফুলের মধু খাচ্ছে, সেটা তারাও খেয়াল করতে শুরু করেছিলেন। ঘন ফল-গুচ্ছের ঝুলন্ত সমাহার খাবারের খোঁজে আগত উদ্বাস্তু বাদুড়দের জন্য যথার্থ লক্ষ্যবস্তু ছিলো। গবেষকরা পরবর্তিতে শুকর-খামারের আবর্জনায় বাদুড়ের বিষ্ঠা ও তাদের অর্ধ-খাওয়া ফল খুঁজে পান। অন্যদিকে গাছ থেকে ফেলে দেয়া এসব ফল ছিলো ক্ষুধার্ত, অর্ধভূক্ত শূকরের জন্য সুস্বাদু ফলাহার।
শূকরগুলো ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয় আর ভাইরাসটি নিজের প্রতিলিপি তৈরি করা শুরু করে অপ্রতিরোধ্যভাবে বাড়তে থাকে। অনেকগুলো শূকর অসুস্থ হয়ে পড়ে। কংক্রিটের ঘরে নাক ও গলা থেকে নির্গত শ্লেমা, কাশি ও খিঁচুনির সাথে সাথে ভাইরাসটি অন্য শূকরদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে থাকে। যে কসাইরা গ্লভস, মুখোশ কিংবা প্রতিরক্ষামূলক কাপড় না পড়ে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় এ শূকরদের বধ করছিলেন তারাও এই ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
নিপাহ ভাইরাস সবার অলক্ষে মালয়েশিয়ার বাদুড়দের মধ্যে আটকে ছিলো বহু বছর ধরে। একটি আপাতদৃষ্টিতে অসম্পর্কিত, পরাবাস্তব ঘটনাক্রমের মাধ্যমে বাদুড় থেকে মানুষ ও শূকরে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটে — দাবানল ও বন উজাড়, এল নিনোর প্রভাব, ফলের বাগানের মাঝে শূকর-খামারের অবস্থান, বাদুড়দের দ্রুত চলনশীলতা আর শূকরদের ভাইরাস “বিবর্ধন” করার ক্ষমতা যা কি না মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আমরা দেখেছি জলবায়ুর ভয়ঙ্কর শক্তি আর ব্যাপক ধ্বংসলীলার ক্ষমতা। এ ধ্বংসলীলা আমাদের জীবন-যাপন পদ্ধতি ও আমাদের শহরে হানা দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বে হারিকেন স্যান্ডি-র ক্রোধ আর টেক্সাসকে পিড়িত করা বহু-বছরব্যাপী খরা এর দুইটি সাম্প্রতিক উদাহরণ। কিন্তু এর বাইরেও আরো পরিবর্তন ঘটছে যা সাথে সাথে দেখা যায় না। এরা আমাদের বোধ ও ধীশক্তি-ক্ষমতার বাইরে।
পরিবর্তিত আবহাওয়া ও আমাদের পরিবেশের উপর হস্তক্ষেপের কারণে বাস্তুসংস্থানগত- ও অণুজীবগত- ক্ষেত্র সমূহে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কগুলো পরিবর্তিত হয়ে পুননির্মিত হচ্ছে। প্রাণী ও কীট-পতঙ্গরা নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশের খোঁজে নতুন স্থানে নিজেদের পরিচালিত করছে, সাথে নিয়ে আসছে নিজস্ব অণুজীবের লাটবহর। জলবায়ু পরিবর্তনে সাড়া দিয়ে টিক-পোকারা উত্তরের দিকে ছড়াচ্ছে, যে কারণে বাড়ছে লাইম রোগের ব্যাপকতা। মশারা সাম্প্রতিক রেকর্ড ভেঙে দেয়া তাপ-তরঙ্গের সহচারী হয়ে বিশ্বজুড়ে পশ্চিম-নীল ভাইরাস (ওয়েস্ট-নীল ভাইরাস) ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সে দিক দিয়ে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আখ্যান তুলনামূলক পরিপাটি। বিশেষ করে মানুষের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব যেভাবে শুরু হলো তা চিন্তা করলে এরকমই মনে হবে। তবে এটি নিয়মের একটি ব্যাত্যয়-মাত্র। ১৯৯০-র দশকের শেষ দিকে মালয়েশিয়ায় এ নতুন ভাইরাসটির উত্থান, বুনোপ্রাণী থেকে গৃহপালিত পশুতে ভাইরাসটির উছলে-পড়া আর সেখান থেকে মানুষে সংক্রামণ একটি সংযত-স্মারক মাত্র। এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা নিবিড়-জটিলতা সম্পন্ন বহুমুখী এক বিশ্বে বসবাস করি। চারপাশের বাস্তুসংস্থানে যখনই আমরা গায়ের জোড় প্রয়োগ করতে চাইবো তখন খেয়াল রাখা দরকার যে সেটা উল্টো কামড় দিতে পারে।
রেবেকা ক্রেস্টন একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি অণুজীববিজ্ঞান ও রোগতত্ত্ববিদ্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ডিসকভার ম্যাগাজিনের বডি হরর ব্লগে প্রকাশিত The Climatic Origins of the Malaysian Nipah Virus Outbreak লেখাটির ভাষান্তর। অনুবাদটি আমার বই প্রাণের বিজ্ঞান: সাম্প্রতিক জীববিজ্ঞানের ভাবনা ভাষান্তর (২০১৭) থেকে নেয়া।
নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কিত লেখা: বাদুড় আর নিপাহ ভাইরাস রহস্য
Leave a Reply