বয়ঃসন্ধিকালে মস্তিষ্ক যেভাবে কাজ করে

লিখেছেন

লেখাটি , বিভাগে প্রকাশিত

শৈশব এবং যৌবনের মধ্যবর্তী সময়কাল হচ্ছে কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকাল (Puberty)। বয়ঃসন্ধি দেহের একটি স্বাভাবিক বেড়ে উঠার প্রক্রিয়া। কারো ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া ধীরে শুরু হয়, আবার কারো ক্ষেত্রে দ্রুত শুরু হয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধি বলতে আমরা বুঝে থাকি, হঠাত করে কিছু পরিবর্তন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। এই যেমন ধরুন- কন্ঠস্বরে পরিবর্তন, গায়ের গন্ধ, চুলের বৃদ্ধি ইত্যাদি। কারো ক্ষেত্রে আবার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দেখা দেয়। খেয়াল করলে দেখবেন – হুট করে কেউ অনেক লম্বা হয়ে গেছে বা অনেক মোটা হয়ে গেছে। এইসব পরিবর্তনের জন্য আদতে ব্যক্তি দায়ী নয়। কলকাঠি নাড়ে মস্তিষ্ক এবং বাস্তবায়ন করে হরমোন। মন্ত্রী মস্তিষ্ক তারা সাগরেদ হরমোনদের হুকুম দিয়ে আরো কত কি যে করে!

বয়ঃসন্ধিকালে হরমোন নিঃসরণ

বয়ঃসন্ধি শুরু হবার সময়টা খানিক ভিন্ন দেশ ভেদে,অঞ্চল ভেদে। ভৌগলিক কাঠামো, জলবায়ু, সার্বিক আবহাওয়া এসব প্রভাবক হিসেবে কাজ করে বয়ঃসন্ধির সময়ে। তবে সাধারণত, মেয়েদের ক্ষেত্রে দশ বছর বয়সের সময় এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে তার এক বছর পর থেকে বয়ঃসন্ধি শুরু হয়।

বয়ঃসন্ধিকালে অনেক ধরনের হরমোন নিঃসরণ ঘটে। মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস এবং পিটুইটারি গ্ল্যান্ড সম্মিলিতভাবে প্রজনন অঙ্গে বার্তা পাঠায়। তখন সেখানে টেস্টোস্টেরন (testosterone), এস্ট্রোজেন (estrogen), প্রজেস্টেরন (progesterone)। এন্ড্রোজেন (androgens) নামে এক বিশেষ গোষ্ঠীর হরমোন মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি নিঃসরিত হয়।

চিত্রঃ- মানবদেহের প্রজনন অঙ্গে হরমোন নিঃসরণ

বয়ঃসন্ধিকালে মূলত দুই ধরনের হরমোন বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। তারা হচ্ছে – টেস্টোস্টেরন এবং এস্ট্রাডিওল (Estradiol)। ছেলেদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরণ হরমোন এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে এস্ট্রাডিওল হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায় এসময়। টেস্টোস্টেরন হরমোন ভ্রমণ করে দেহের বিভিন্ন কোষে যেমন- চুলের কোষে যা এক সময় চুলকে ঘন এবং কালো করে তোলে। তাছাড়াও বগলে, মুখে এবং অন্যান্য স্থানে চুলের বৃদ্ধিতে এই হরমোন ভূমিকা রাখে। কন্ঠস্বরে পরিবর্তন দেখা দেয়। অন্যদিকে এস্ট্রাডিওল হরমোন মেয়েদের ক্ষেত্রে স্তন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মজার বিষয় হচ্ছে দুটো হরমোন একটা বিশেষ কাজের ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা রাখে। তা হচ্ছে- শারীরিকভাবে ছেলে বা মেয়ে উভয়কে যৌনমিলনের জন্য সক্ষম করে তোলে। সেক্স স্টেরয়েড নামেে এক বিশেষ হরমোন পরবর্তীতে প্রজনন অঙ্গদের গঠনে ভূমিকা রাখে। ছেলেদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষে (testes) এবং মেয়েদের ডিম্বাশয়ে (ovaries) ক্ষরণ ঘটে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হরমোন বেশি নিঃসরণের ফলে ঋতুস্রাব (menustruation) শুরু হয়। হরমোনের প্রভাবে ছেলেদের ক্ষেত্রে পৌরুষ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে নারীসুলভ আচরণ প্রস্ফুটিত হতে শুরু করে।

মস্তিষ্কের গঠনে হরমোনের ভূমিকা

মস্তিষ্ক কোষ দেহের অন্যান্য যেকোন কোষ থেকে খানিকটা ভিন্নধারার। মস্তিষ্কের কোষ নিউরণের দুটো অংশ থাকে। কোষের ছোট অংশ যা ডেনড্রাইট এবং বড় লম্বা অংশ এক্সন নামে পরিচিত। ডেনড্রাইট অন্য কোষ থেকে সংকেত গ্রহণ করে এবং এক্সন সেই সংকেত অন্য কোষে পাচার করে বা স্থানান্তরিত করে। টেস্টোস্টেরণ এবং এস্ট্রাডিওল হরমোন মস্তিষ্ক কোষের সাথে সংযুক্ত হতে পারে। দুটো প্রক্রিয়ায় হরমোন মস্তিষ্ক কোষে প্রভাব রাখতে পারে-

প্রথমত, মস্তিষ্ক কোষগুলো কিভাবে বিন্যস্ত আছে এবং কাঠামো কেমনভাবে পরিবর্তন হয়ে থাকে- তার উপর হরমোনের আধিপত্য সবসময় থাকে। উদহারণস্বরুপ, টেস্টোস্টেরন হরমোন মস্তিষ্কের এমাইগডালা (amygdala) অংশের নতুন কোষের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের টেস্টোস্টেরণ হরমোন বেশি ক্ষরিত হয়। তাই মস্তিষ্কের সেই অংশ মেয়েদের তুলনায় বড় আকৃতির হয়ে থাকে।

দ্বিতীয়ত, হরমোন কোষদের সাহায্য করে বা প্রতিরোধ করে থাকে তথ্য আদান-প্রদানে। ধারণাটা খানিক ধোঁয়াশা। হরমোন মস্তিষ্কের পরিবেশ এবং অবস্থা ভেদে কোষের সক্রিয়তা এবং নিষ্ক্রিয়তায় ভূমিকা রাখে। উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাক-
ইঁদুর (বা মানুষ) কে বিবেচনা করে দেখলে পরিলক্ষিত হয়, প্রতিযোগিতা বা লড়াইয়ের সময় টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। লড়াইয়ে যে জিতে যায় তার মস্তিষ্কে টেস্টোস্টেরন হরমোনের জন্য বেশি গ্রাহক অংশ (receptor) সংগঠিত হতে থাকে। মূলত এই গ্রাহক অংশই পুরস্কার (reward) এবং আচরণে (behaviour) ভূমিকা রাখে। এই সম্পূর্ণ ঘটনা একটি সুনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় – যা বয়ঃসন্ধিকালের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

মস্তিষ্কের কাঠামো যেভাবে পরিবর্তিত হয়

বয়ঃসন্ধিকালে মস্তিষ্কের কাঠামো কেমন পরিবর্তিত হয় এবং পুর্নবিন্যাস ঘটে, তা দেখার জন্য একদল গবেষক ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং (MRI) যন্ত্রে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
সেরেব্রাম (cerebrum) , মস্তিষ্কের অনেক গুলো অংশের মধ্যে অন্যতম। সেরেব্রাম মস্তিষ্কের যেকোন অংশের তুলনায় বৃহত্তম ও বটে। সেরেব্রাম দুই ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত। সেগুলো হচ্ছে – ধূসর কোষ অংশ (Gray matter) এবং সাদা কোষ অংশ (white matter)।
ধূসর অংশ প্রধানত নিউরণ কোষ দিয়ে গঠিত। এছাড়া তাদের সংযোগ পাওয়া যায় সেরেব্রামের বাইরের অংশে যা কর্টেক্স নামে পরিচিত। নিউরণ কোষ দিয়ে গঠিত হওয়ায় এই অংশ পেশী কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে, সংবেদনশীলনতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। বয়ঃসন্ধিকালে এই ধূসর অংশের পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে । প্রায় ধরুন, ১.৫ শতাংশ হারে প্রতি বছর। আপনি হয়তো ভাবছেন, কমে যাওয়া ভারী খারাপ ব্যাপার। কিন্তু না! ধারণা করা হয়ে থাকে, এই ব্যাপারটাই মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম-মসৃণ সংযোগ বজায় রাখতে দারুণ ভূমিকা রাখে।
এবার আসা যাক, অন্য অংশ মানে সাদা অংশ নিয়ে। সাদা অংশের কোষ পাওয়া যায় কর্টেক্স অংশের নিচে যা নিউরণের এক্সন দিয়ে সুগঠিত। বয়ঃসন্ধিকালে সাদা অংশের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং মধ্যম বয়সে বা যৌবনকালে তা স্থির হয়ে যায়। সাদা অংশের বৃদ্ধি মস্তিষ্কের কোষে দ্রুত সংকেত আদান-প্রদানে সক্রিয় প্রভাব রাখে। বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তিত মস্তিষ্ক শিশু এবং বয়স্কদের তুলনায় অধিক সক্ষম যেকোন জটিল সমস্যা সমাধানে।

চিত্রঃ মস্তিষ্কের সেরেব্রাম অংশ
চিত্রঃ- (A) মস্তিষ্কের সেরেব্রাম অংশ, (B) ধূসর অংশের পরিমাণ কমে যাচ্ছে বয়ঃসন্ধিকালে, (C) সাদা অংশের পরিমাণ বাড়ছে সেরেব্রামে।

এছাড়াও অনেক রকমের পথ আছে যেভাবে মস্তিষ্ক পরিবর্তিত হয়। একটা উপায় হচ্ছে, নিউরণের জন্ম এবং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। এভাবে মস্তিষ্কের একটা বড় অংশ পরিবর্তিত হয়ে থাকে। প্রাণী এবং মানুষের দেহে বয়ঃসন্ধিকালের হরমোন মস্তিষ্কের বিশেষ অংশগুলোর গঠনে ভূমিকা রাখে যেমন- হাইপোথ্যালামাস, পিটুইটারি গ্ল্যান্ড এবং এমাইগডালা। হাইপোথ্যালামাস এবং পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের সুগঠন অতীব জরুরী কেননা পুরো জীবনভর এরা হরমোনদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আর এদের গঠনে ত্রুটি থাকলে বিভিন্নধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই যেমন ধরুন- ঘুমের সমস্যা, শরীরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত দেখা দেয়া। অন্য আরেকটি উপায় হচ্ছে, নিউরণের মধ্যবর্তী সংযোগেস্থলে নিউরণের সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো। উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাক-
মস্তিষ্কের হিপ্পোকাম্পাস (hippocampus) অংশে এস্ট্রোজেন হরমোনের জন্য বেশি গ্রাহক অংশ আছে। আর এস্ট্রোজেন হরমোনের সাথে নিউরণের সংযোগ সংখ্যাও বেশি (ইঁদুরে দেখা গেছে)। ফলে, অনেক বেশি পরিমাণে নিউরণের সংযোগের কারণে হিপ্পোকাম্পাস সহজেই শেখা বা স্মৃতি সংরক্ষণে অত্যাধিক ভূমিকা রাখে।

চিত্রঃ- একটি তালিকায় মানবদেহে বিভিন্ন হরমোনের প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে।

বয়ঃসন্ধিকালে শিখন প্রক্রিয়া

শিশুরা সবচেয়ে দ্রুত শিখে যেকোন বয়সের তরুণ বা বৃদ্ধের তুলনায়। উদাহরণস্বরুপ যদি বলি, নতুন কোন ভাষা শিখতে কম বয়সীরা তাড়াতাড়ি দক্ষ হয়ে উঠে। ৯-১১ বছর বয়সের পর নতুন ভাষা শিখা দুরুহ হয়ে উঠে। এর কারণ হচ্ছে, মস্তিষ্কের পরিবর্তিত কাঠামোর জন্য এবং অন্য ভাষার তথ্য প্রক্রিয়ার ধরনের জন্য। এই পরিবর্তিত মস্তিষ্কের অন্য ভাষার প্রতি সংবেদনশীলতার সময়ে বয়ঃসন্ধিকাল গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। হয়তোবা এই সময়কাল নতুন কিছু শিখার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত পথ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে কিশোর-কিশোরীরা নিজেকে, আশেপাশের মানুষদের জানতে ও বুঝতে পারে, মানসিকভাবে পরিপক্ব হয়ে উঠতে থাকে ঠিক বয়স্কদের মত করে।
নতুন কোন বিষয়ে জানার চেষ্টায় কিছুটা ঝুঁকি (risk) থাকে। আচ্ছা, একটু ভেঙ্গে বলা যাক তবে-
ধরুন, আপনার গান শেখার তুমুল আগ্রহ বা ইচ্ছা বলতে পারেন। এখন এই আগ্রহকে বাস্তবায়ন করতে হলে আপনাকে একজন দক্ষ গায়কের শরণাপন্ন হতে হবে। তাকে বলতে হবে আপনার আগ্রহ নিয়ে। তবেই আপনি শিখতে পারবেন। আর যদি আপনি তার কাছে না যান বা খুলে নাইবা বলে আগ্রহের কথা তবে গান শেখা কষ্টসাধ্য। যখন আপনি একজন ভালো গায়ক হয়ে উঠবেন তখন আপনার যশ-খ্যাতি বাড়বে। এই যে চিন্তা সেটা দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। প্রাপ্তির আকাক্ষা মস্তিষ্কে পুরস্কার হিসেবে কাজ করে।

একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৮-২৭ বছর বয়সীদের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু অংশ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়-
বয়ঃসন্ধিকালে বেশি পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণ মস্তিষ্কের স্ট্রেইটাম অংশকে সক্রিয় করে তোলে। বয়ঃসন্ধিকালের এই প্রভাব মস্তিষ্কে দারুণভাবে সংরক্ষিত হয়ে থাকে। যা ফলস্বরুপ, তরুণ- তরুণীদের নতুন ভাষা শিখতে, নতুনভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে প্রভাবিত করে। তাছাড়া মস্তিষ্কের এই পরিবর্তন মানসিকভাবে অস্থির করে তোলে এবং মাদকাসক্তির দিকেও প্রভাবিত করে তোলে। টেস্টোস্টেরন হরমোন মস্তিষ্কের পুরস্কার উদ্দীপনাকে প্রভাবিত করে তোলে। এইজন্যে বয়ঃসন্ধিকালে যে কোন কিছুতে সহজে মোহ জন্মায়, কিশোর-কিশোরীরা সহজে প্রেমে পড়ে এমনকি মদ বা অন্য যেকোন নেশায় আসক্তি অনুভব করে। এছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে মানসিকভাবে দৃঢ়তা জন্ম নিতে শুরু করে। সৃজনশীল চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটে, জীবনের জটিল দিক উন্মোচিত হতে শুরু করে কৈশোরের এই দুরন্ত সময়ে। তাই, কিশোর-কিশোরীদের মুক্ত চিন্তার জন্য স্বাধীনতা দেয়া উচিত। তাদের মত করে ভাবনার জন্য এক চিলতে নীল আকাশ মেলে দিতে হয় যত্ন করে। তাদের সহজাত এই পরিবর্তন যেন সুস্থ ধারার দিকে প্রবাহিত হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

তথ্যসূত্র –

১) Puberty: Your Brain on Hormones

২) Your Brain on Puberty

৩) The Adolescent Brain Is Literally Awesome

লেখাটি 427-বার পড়া হয়েছে।


আলোচনা

Responses

  1. আরাফাত রহমান Avatar
    আরাফাত রহমান

    তাই তো বলি কেন আগের মতো কোন কিছু দ্রুত বুঝতে পারি না 😀 পড়ে ভালো লাগলো। বিশেষ করে গবেষণাপত্রের ছবির বাংলা বর্ণনা।

    1. মিঠুন পাল Avatar
      মিঠুন পাল

      পড়ার জন্য এবং মতামতের জন্য ধন্যবাদ স্যার।

Leave a Reply to আরাফাত রহমানCancel reply

ই-মেইলে গ্রাহক হয়ে যান

আপনার ই-মেইলে চলে যাবে নতুন প্রকাশিত লেখার খবর। দৈনিকের বদলে সাপ্তাহিক বা মাসিক ডাইজেস্ট হিসেবেও পরিবর্তন করতে পারেন সাবস্ক্রাইবের পর ।

Join 905 other subscribers