গারগাস গুহা অবস্থিত ফ্রান্সের পাইরেনিসে অ্যাভেন্টিগনান শহরের কাছেই। এর অন্ধকার গহীনে আঁকা সুপ্রাচীন গুহা চিত্রকলাগুলো যে কারোর চোখকেই বিভ্রান্ত করবে। বাইসন, ঘোড়া, প্রাচীন গবাদি পশু, বুনো ছাগল আর ম্যামথসহ আরও নানান রকম প্রাণীর ছবি খোদাই করা আছে গারগাসের দেয়ালে। এছাড়া আছে শয়ে শয়ে হাতের রূপরেখার ছাপচিত্র। দশ হাজার বছর আগে প্রাগৈতিহাসিক মানুষেরা পাথরের দেয়ালে হাতের তালু প্রসারিত করে রেখে তার উপর দিয়ে লাল আর কালো রং ছিটিয়ে দিয়ে তৈরি করেছে এই ছাপ গুলো। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমেরিকা কিংবা ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউরোপ, বিশ্বের নানা প্রাগৈতিহাসিক স্থানে সন্ধান মেলবে প্রাচীন মানুষের এইরকম অসংখ্য হাতের ছাপ। প্রাগৈতিহাসিক এই গুহা চিত্রকলা প্রাচীন মানুষদের শিল্পস্বত্তার স্বাক্ষর বহন করে। রহস্যের ব্যাপার হচ্ছে, অর্ধেক সংখ্যক ছাপই আহত হাতের ছাপ। কোনোটায় একটা আঙ্গুল নেই তো কোনোটার আবার তিনটা আঙ্গুলই নেই। বহু বছর ধরেই প্রত্নতাত্ত্বিকদের ভাবিয়ে আসছে গারগাসের এই গুহা চিত্রকলাগুলি। বিশেষ করে এই হাতের ছাপগুলি। আচ্ছা এই হাতের ছাপগুলি কি কোনো বার্তা দিচ্ছে? এগুলো কি কোনো প্রাচীন ভাষা? নাকি প্রাচীন মানব সভ্যতার কোনো সংস্কৃতির স্বাক্ষর বহন করছে?
আরো অনেক প্রাগৈতিহাসিক গুহা চিত্রকলাতেও এইরকম বিকৃত হাতের ছাপের সন্ধান মিলেছে। কিন্তু গারগাসের গুলো সবচাইতে আকর্ষণীয় আর রহস্যময়। হতে পারে কোনো দুর্ঘটনা, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অথবা প্রাচীন কোনো প্রথায় বলি হয়েছিল আঙ্গুলগুলো। কিংবা হয়ত ইচ্ছে করেই আঙ্গুলগুলো ভাঁজ করে একটা বিন্যাস তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে একদল গবেষক বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবী এই হাতের ছাপগুলো হচ্ছে প্রস্তরযুগের কোনো ভাষার সাংকেতিক চিহ্ন। যদি তাই-ই হয়, তাহলে নিশ্চয় হাতের এই প্রতিলিপিগুলো কোনো গোপন সংকেত বহন করছে। তাহলে কি গারগাসের গুহার হাতের ছাপগুলোই প্রাচীনতম লিখন পদ্ধতি?
এক শতাব্দীরও বেশী সময় ধরে গবেষকদের ভাবিয়ে আসছে প্রাগৈতিহাসিক এই হাতের ছাপ গুলো। সবগুলোর বয়স এখনো সঠিক ভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নি। তবে ইউরোপ আর ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া কিছু প্রাগৈতিহাসিক হাতের ছাপের বয়স হিসেব করা গেছে। সেগুলোর অধিকাংশই চল্লিশ হাজার বছরের পুরোনো। স্পেনে একটা বেশ পুরোনো হাতের ছাপ এর সন্ধান মেলে। আজ থেকে ৬৬ হাজার বছর আগে কোনো এক নিয়ানডার্থাল মানুষের হাতের ছাপ এটি। সাধারণত ছবির মাধ্যমে কোনো সংস্কৃতির ধ্যান-ধারণা প্রকাশ পদ্ধতিকে বলা হয় ভিজ্যুয়াল কালচার বা দৃশ্যমান সংস্কৃতি। প্রাগৈতিহাসিক এই হাতের ছাপগুলো কে প্রাচীনতম ভিজ্যুয়াল কালচার এর উদাহরণ হিসেবে ভাবা হয়। রূপক চিত্রশিল্পেরও বহু আগে থেকেই প্রাগৈতিহাসিক মানুষেরা এধরণের হাতের ছাপ তৈরি করত। অবধারিতভাবে এগুলো বেশ চিত্তাকর্ষক। বলা যায়, সুপ্রাচীন এই হাতের ছাপগুলোই মানুষকে পরবর্তীতে রূপক চিত্রশিল্প চর্চার দিকে নিয়ে গিয়েছিল। মানুষ নিজেদের মধ্যে ছবির মাধ্যমে জীবনকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা আবিষ্কার করেছিল।
কাঁচা চোখে এই ছবি গুলো হিজিবিজি কিছু মনে হলেও, এগুলোর গূঢ় অর্থ আছে। কেউ এমনি এমনি দুর্ঘটনাক্রমে দেয়ালে চপেটাঘাত দিয়ে এগুলো তৈরি করে নি। ছবি আঁকার উপকরণ আর মশাল হাতে অন্ধকার গুহার ভেতরে যাওয়ার পেছনে অবশ্যই কোনো উদ্দেশ্য ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, এই হাতের ছাপগুলোর কি অর্থ হতে পারে? হতে পারে সেগুলো কোনো বিপদ সংকেত, পথের দিক নির্দেশনা, দলের পরিচয় চিহ্ন কিংবা গুহায় লুকানো কোনো সম্পদের সংকেত। তবে আঙ্গুলবিহীন হাতের ছাপগুলো আরো বেশী কৌতূহলজনক। এরকম হাতের ছাপ সবথেকে বেশী দেখা যায় গারগাসের গুহায়। ২৩১টা হাতের ছাপের মধ্যে ১১৪ টারই কোনো না কোনো আঙ্গুল মিসিং। ফ্রান্সের মার্সেই শহরে অবস্থিত কসকার (cosquer) গুহায়ও এইরকম আঙ্গুলবিহীন হাতের ছাপের সন্ধান মেলে। সেখানেও ঊনপঞ্চাশটা ছাপের মধ্যে আটাশটারই অন্তত একটা হলেও আঙ্গুল মিসিং। কি হতে পারে আঙ্গুলবিহীন হাতের ছাপগুলোর ব্যাখ্যা? হয়ত পাথর যুগের মানুষেরা স্ব-ইচ্ছাতেই আঙ্গুল কেটে ফেলত। শুনতে বর্বরোচিত মনে হলেও, এইরকম প্রথা কিন্তু একেবারে অপ্রচলিত না। সারা বিশ্বে একশ একুশটা সমাজে এধরণের প্রথা প্রচলিত। তবে এসব প্রথায় সাধারণত কড়ে আঙ্গুলটাই কেটে বাদ দেয়া হয়। প্যালিওলিথিক যুগে পাথরে আঁকা ছবিগুলোয়, বেশীরভাগ হাতের ছাপেই কড়ে আঙ্গুলটা মিসিং। সুতরাং কোনো প্রথায় আঙ্গুল বিসর্জন দেয়াটা এধরণের হাতের ছাপের ব্যাখ্যা হতে পারে।
কিন্তু গারগাসের হাতের ছাপ গুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। কেননা সেগুলোতে কোনোটায় কড়ে আঙ্গুলটা মিসিং তো কোনোটায় মধ্যমা কিংবা অনামিকা। কিন্তু বাদবাকী আঙ্গুলসহ হাতের তালু প্রসারিত হয়ে আছে। আঙ্গুলচ্ছেদ নিশ্চয়ই প্রচণ্ড বেদনাদায়ক হতো। সুতরাং কাটা আঙ্গুলসহ হাতের তালু প্রসারিত করে ছাপ তৈরি করাটা সহজসাধ্য হবার কথা না। পাশাপাশি ডান হাতের ছাপগুলোয় সবকটা আঙ্গুলই আছে। এই পর্যবেক্ষণ গুলো প্রাচীন কোনো প্রথায়, দুর্ঘটনায় কিংবা প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আঙ্গুলচ্ছেদ এর ব্যাখ্যাকে বাতিল করে দেয়। অন্তত গারগাস আর কসকার গুহার হাতের ছাপগুলোর ক্ষেত্রে এই ব্যাখ্যাগুলো খাটে না। বরং ধারণা করা হচ্ছে, প্রাগৈতিহাসিক মানুষেরা ইচ্ছে করেই হাতের তালুতে আঙ্গুল ভাঁজ করে এই ছাপগুলো তৈরি করেছে। যদি তাই-ই হয়, তাহলে নিশ্চয়ই এই ছাপগুলোর অন্য অর্থ আছে। হয়ত এগুলো প্রাচীন কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল।
সংখ্যা দিয়ে ছবি আঁকা
হতে পারে এইরকম হাতের ছাপ সংখ্যা গণনা কিংবা প্রকাশের কোনো মাধ্যম ছিল। এই ব্যাখ্যা কসকার এর ছবিগুলোর ক্ষেত্রে খাটে। কেননা সেখানে পাঁচটা ভিন্ন ভিন্ন বিন্যাসে আঙ্গুলগুলো মিসিং আছে। হয়ত প্রাচীন মানুষেরা এগুলো দিয়ে পাঁচটা ভিন্ন সংখ্যাকে বোঝাত। কিন্তু গারগাস গুহায় এরকম বিন্যাস সংখ্যায় আরো অনেক বেশী, আরো জটিল। প্রত্নতাত্ত্বিক আন্দ্রে লেরোই – গৌরহান এর ধারণা, হাতের ছাপগুলো সম্ভবত শিকার সংকেত হিসেবে ব্যবহৃত হতো। যেমন কালাহারি মরুভূমির শিকারিরা মাঝের তিনটা আঙ্গুল ভাঁজ করে এক প্রজাতির বুনো শূকরকে বোঝায়। যদি তাই সত্যি হয় তাহলে হাতের ছাপগুলো প্রাচীন কোনো ভাষার উদাহরণ হবে। অনেক গবেষকই মনে করেন ভাষা বিবর্তিত হয়েছে বিভিন্ন হাতের সংকেত আর কণ্ঠস্বর থেকে। এখনো অনেক সমাজের মানুষেরা শিকারের সময় কিংবা গল্প বলা, প্রথাগত অনুষ্ঠানে হাত দিয়ে নানান রকম প্রতীকী অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে। আলাদা ভাষায় কথা বলে এমন দুই দলের মধ্যে যোগাযোগ এর একটা মাধ্যম হতে পারে এরকম হাতের ছাপ।
এক শতাব্দীরও বেশী সময় আগে, প্রত্নতাত্ত্বিক ওয়াল্টার রথ অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ফার্স্ট নেশন কমিউনিটিতে এরকম বিকল্প ভাষার ব্যবহার নথিভুক্ত করেন। তারা শুধু কড়ে আঙ্গুলটা বের করা মুষ্টিবদ্ধ হাত দিয়ে শুঁয়াপোকা কিংবা কীটপতঙ্গের লার্ভাকে বোঝাত। গারগাসের গুহার হাতের ছাপগুলো কি কোনো সাংকেতিক ভাষা? বিজ্ঞানীদের ধারণা, যদি ছাপগুলো এমনি খেয়াল বশত এলোমেলো ভাবে তৈরি করা হত তাহলে দেয়াল পৃষ্ঠের সাহায্যে মোটমাট ৩২টা ভিন্ন ভিন্ন বিন্যাস সম্ভব। কিন্তু গারগাসের গুহায় কেবল দশ’টা ভিন্ন ভিন্ন বিন্যাসের হাতের ছাপ ছিল। এর সবগুলোই কোনো রকম দেয়াল পৃষ্ঠের সাহায্য ছাড়া কেবল বাতাসেই তৈরি করা সম্ভব। তার মানে গারগাস গুহার দেয়ালে আঁকা হাতের ছাপগুলো মোটেও খেয়াল বশত তৈরি হয় নি। এগুলো সম্ভবত কোনো ভাষার সাংকেতিক চিহ্নই হবে। গারগাস গুহায় এমন কোনো হাতের ছাপের সন্ধান মেলে নি যার পক্ষে সাংকেতিক ভাষার চিহ্ন হওয়া অসম্ভব কিছু!
প্রস্তর যুগের গুহা চিত্রকলা কোনো গোপন সংকেত বহন করছে, এমন প্রস্তাবনা আগেও ক’বার এসেছে। ম্যামথ আর বাইসনের প্রতিকৃতি ছাড়াও এসব চিত্রকলায় সরল রেখা, বিন্দু এবং ত্রিভুজ থেকে শুরু করে আরও থাকে নানান রকম জটিল আঁকিবুঁকি, যেমন মই আর পালক আকৃতির পেনিফর্ম। বিজ্ঞানীরা ইউরোপের বিভিন্ন গুহায় থেকে সংগ্রহকৃত ভিন্ন ভিন্ন বিন্যাসের হাতের ছাপের একটা পঞ্জি তৈরি করেন। পঞ্জিতে প্রস্তর যুগের মানুষের ৩২টা ভিন্ন ভিন্ন বিন্যাসের হাতের ছাপের সংগ্রহ আছে। এগুলোর মধ্যে কিছু আছে যেগুলো পুরো বিশ্ব জুড়েই বিভিন্ন গুহায় পাওয়া যায়। কোথাও কোথাও আবার হাতের ছাপের সাথে থাকে সমতলীয় বৃত্তাকার ডিস্কের ছবি। হাতের ছাপ এবং ডিস্কের কম্বিনেশন বেশ কৌতূহলজনক। এগুলো লেখালেখির উদ্ভব বোঝতে গবেষকদের নজর কেড়েছে।
ইংরেজি ভাষায় কেবল ২৬টা ল্যাটিন বর্ণ দিয়েই এত বিশাল পরিমাণের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব হয়েছে। লন্ডনের গবেষক বেন বেকন একটা গবেষণাপত্রে দাবী করেন, তিনি প্রাগৈতিহাসিক গুহার দেয়ালে আঁকা কিছু সংকেত এর অর্থ পাঠোদ্ধার করতে পেরেছেন। তিনি এবং তার গবেষণা সহকর্মীরা মিলে, বিশ থেকে দশ হাজার বছর আগে আঁকা কিছু বিন্দু এবং Y আকৃতির সংকেত নিয়ে গবেষণা করেন। সংকেত গুলো দিয়ে তারা একটা শিকার পঞ্জি তৈরি করেন, যেখানে শিকার প্রাণীদের নানান রকম আচার-আচরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। পঞ্জিতে চিহ্নের সংখ্যা দিয়ে বসন্ত শুরুর মাস কয়েক পর প্রাণীদের সঙ্গমের মরশুমকে বোঝানো হয়েছে। আর Y আকৃতির সংকেতগুলো প্রাণীদের সন্তান জন্ম দেবার মাসকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
লেখার উদ্ভব
ক্রমে ক্রমেই এটা পরিষ্কার হচ্ছে যে, পাথর যুগের মানুষেরা বিস্ময়কর ভাবে নানান রকম গ্রাফিক সংকেত ব্যবহার করত মনের ভাব প্রকাশে। তাহলে এরকম আঙ্গুলবিহীন হাতের ছাপগুলো প্রস্তর যুগের কোনো ভাষার সাংকেতিক চিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এখনো অবধি হাতের ছাপগুলোর সবচাইতে ভালো ব্যাখ্যা এটিই। অন্তত গারগাস আর কসকার গুহার ক্ষেত্রে তো বটেই। খুব সাধারণ ভাবেও ভাবলে, একটা খোলা হাতের ছাপ দিয়ে অন্তত এটা বোঝায় “আমি এখানে আছি”। হয়ত আরও জটিল কোনো মানেও হতে পারে। তবে কেউ কেউ এ ব্যাপারে সন্দিহান। তাদের মতে হাতের ছাপগুলো কোনো গোপন সংকেত বহন করলেও সেগুলো কোনো ভাষা হতে পারে না।
লেখনিকে ভাবা যায় ভাষার গ্রাফিক চিত্রায়ন। প্রাগৈতিহাসিক হাতের ছাপগুলোও যদি একটা বিকল্প সাংকেতিক ভাষা হয়, তাহলে অবশ্যই সেগুলো এক প্রকার লেখনি। যদি তাই-ই হয় তাহলে, মানব ইতিহাসের সবচাইতে প্রাচীন লেখার পদ্ধতি হবে গুহার দেয়ালে আঁকা এই হাতের ছাপগুলো। কিন্তু কতটা পুরোনো? প্রাগৈতিহাসিক গুহা চিত্রকলার সঠিক বয়স নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকদিন থেকেই মনে করা হতো, তেত্রিশ থেকে একুশ বছর আগে গ্রেভেটিয়ান পিরিয়ডে গারগাস গুহার হাতের ছাপগুলো তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গুহার দেয়ালের ফাটলে সাতাশ হাজার বছরের পুরোনো একটা হাড়ের ফসিল খুঁজে পাওয়া গেছে।
কসকার এর গুহায় সাতাশ হাজার বছরের পুরানা কিছু হাতের ছাপের সন্ধান মেলে। ইউরোপিয়ান গুহার দেয়ালে চল্লিশ হাজার বছরেরও বেশী পুরানা হাতের ছাপ খুঁজে পাওয়া গেছে। প্রথম বিধিবৎ লেখার পদ্ধতি “কিউনিফর্ম” এর উদ্ভব ঘটে আজ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মেসোপটেমিয়ায়। তবে কিউনিফর্ম লিপির শেকড় গেঁড়ে আছে দশ হাজার বছর আগে, যখন মানুষ হিসেব কষার জন্যে কাঁদামাটির প্লেট ব্যবহার করত। সেদিক থেকে দেখলে গারগাস গুহার হাতের ছাপগুলোই হবে সবচাইতে প্রাচীন আদি-লেখনি পদ্ধতি। অবশ্যই এই দাবী সুপ্রতিষ্ঠিত করতে আরও প্রমাণাদি দরকার। সে অবধি আমরা অপেক্ষা থাকলাম।
তথ্যসূত্রঃ নিউ সায়ন্টিস্ট ম্যাগাজিন এর “Message from stone age” প্রবন্ধ আলোকে লেখা।
Leave a Reply