প্রায় ২৬০০ বছর আগের কথা।
বর্তমান ভারতের বেনারসের নিকটবর্তী কোনো এক অচেনা জনপদ। কাছেপিঠেই ছোট্ট এক আলো ঝলমলে কুঁড়েঘরে বাস করতেন মহর্ষি সুশ্রুত, তখনকার দিনে সে অঞ্চলের পরিচিত মুখ– জ্ঞানী, গুণী ও মহানুভব এক শল্য চিকিৎসক। সময়ে-অসময়ে তার কাছেই যেকোনো রোগ-ব্যধি-পথ্যের প্রয়োজনে ছুটে আসতেন স্থানীয় মানুষজন। হাত বাড়াতেই পেয়ে যেতেন প্রয়োজনীয় ওষুধ-চিকিৎসা।
তেমনি এক ঝড়বাদলের মধ্যরাতের ঘটনা। সুশ্রুত-র কুঁড়েঘরের দরজায় অকস্মাৎ টুকা পড়লো– ঠক ঠক ঠক। কে এসেছে বাইরে? প্রশ্ন শেষ না হতেই দরজা খুলে তার পদযুগলে লুটিয়ে পড়লেন এক যুবক। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে তার নাক বেয়ে। রক্তের তোড়ে ভিজে যাচ্ছে তার পুরো মুখাবয়ব! ঝরঝর করে পড়েই যাচ্ছে এখনো। বললো, চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় নাক কেটে দিয়েছে তার, বাড়ির গৃহকর্তা।
সুশ্রুত যেন আকাশ থেকে পড়লেন। কী বলছে এসব? সঙ্গে সঙ্গে অভয়ও দিলেন তিনি, সবকিছু সেরে উঠবে, চিন্তা নেই! শুইয়ে দিলেন নিজের একমাত্র মাদুরের উপর। শুরু হলো চিকিৎসা, পরিষ্কার পানি ও ভেষজ উদ্ভিদের নির্যাসে জীবাণুমুক্ত করার তোড়জোড়। এসময় তিনি রোগীর মুখে গুঁজে দিলেন তরল উষ্ণ পানীয়, যেন কিছুটা আরাম পায় সে।
ভেষজের প্রভাবে রোগীর দেহ কিছুটা অবচেতন হয়ে আসলে শুরু হলো অপারেশন, কাটাছেঁড়া। নাকের কাটা অংশে সতেজ পাতা বসিয়ে মাপমতো এঁকে নিলেন তিনি। অতঃপর, গালের উপরিভাগ থেকে পাতার মাপে আলতো করে তুলে নিলেন পাতলা মাংস। জুড়ে দিলেন নাকের ক্ষতস্থানে, এর মাঝ দিয়ে ফুসফুসে বায়ুপ্রবাহের চলাচলে কৃত্রিম সরু নলও যুক্ত করে দিলেন তিনি। নিখুঁত সেলাই শেষে দ্রুতই জুড়ে দিলেন নতুন নাকের আবরণ।
গালের যে অংশ থেকে মাংস কেটে নেওয়া হয়েছিল, সেখানেও ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করা হয়ে গেছে ততক্ষণে। এরপর রোগীকে কিছু ওষুধ-পথ্য ও নির্দেশনা দিয়ে পৌঁছে দিয়ে এলেন নিজ বাড়িতে।
পরবর্তী ঘটনা
উপরের পুরো ঘটনাটিই ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির জাহাজের ক্যাপ্টেন আরভাইনের কাছ থেকে শুনছিলেন ডাক্তার স্কট। সে বড়জোর ১৭৯৩ সালের কথা। সমুদ্রের কনকনে আবহাওয়ায় মৃদুমন্দ বাতাসের তোড়ে ভেসে চলছিল কোম্পানির জাহাজ-তরী। উষ্ণ পানীয়ের চুমুকে বেশ ভালোই জমে উঠেছিল তাদের গল্প-আড্ডা, সত্যিকার রোমাঞ্চকর ঘটনা শোনার পসরা।
ঘটনা বলার একফাঁকে ক্যাপ্টেন জানালেন, সেসময় চৌর্যবৃত্তিসহ আরো নানাবিধ অপরাধের শাস্তিস্বরূপ কেটে দেওয়া হতো অপরাধীর নাক। ফলে নাকবিহীন অবস্থায়ই বাকি জীবন কাটাতে হতো ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে।
কিন্তু, পুনের (ভারতের) কুমার সম্প্রদায়ের মধ্যে একদল লোক ছিলেন, যারা এই কাটা নাক সারিয়ে তুলতে পারতেন। সেখানে জুড়ে দিতে পারতেন নতুন নাক। কিন্তু, তা কী আদৌও সম্ভব? যেন মুহূর্তেই বিস্ময় খেলে গেলো শ্রোতাদের চোখজোড়ায়।
ক্যাপ্টেনের ভাষ্যমতে, এটি তাদের নিজেদের আবিষ্কার নয়, পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে বংশপরম্পরায় এটি পেয়ে এসেছে তারা। আয়ত্ত করেছে এই জ্ঞান, ধীরে ধীরে, বহুবছর সাধনা করে। তবে, কে কবে উদ্ভাবন করেছিলো এই পদ্ধতি, তা তারা নিজেরাও জানেন না!
কাহিনির সত্যতা প্রমাণে
সেসময় আরভাইনের কাছ থেকে এমন আজগুবি কথা শুনে অবিশ্বাসে চোখ-মুখ কুঁচকে ফেললেও তৎক্ষণাৎ মুখে কিছুই বলেন নি ডাক্তার স্কট। তবে, মনে মনে ঠিকই সিদ্ধান্ত নিলেন, যে করেই হোক বিষয়টা যাচাই করে দেখা জরুরি। কাটা নাক সারিয়ে তোলা মানে? এ কী সম্ভব নাকি?
নিজ রুমে ফিরে এসে ভাবতে লাগলেন, কী করা যায়? কেননা, তখনো তারা ভাসছে উত্তাল সমুদ্রে। এগিয়ে চলছে বিশালাকার ঢেউ ভেঙে, ভারতের পানে। ভেসে চলা জাহাজ থেকে তখন কিছুই করার ছিলো না তাঁর। অপেক্ষা করতে হলো আরো প্রায় দু’মাস। একদিন শুভ্র প্রভাতে ভারতের বন্দরে নোঙর করলো জাহাজটি। সেখানে নেমেই তিনি খবর পাঠালেন পুনেতে কর্মরত সার্জন ডাক্তার ফিনলে এবং ক্রুসোর কাছে। গোপনে দায়িত্ব বর্তালেন তাদের উপরেই, ঘটনা কী, সরেজমিনে তদন্ত করার।
উপরিমহলের নির্দেশ কিছুতেই অমান্য করার সুযোগ ছিলো না তখন। আর তাই দীর্ঘ অপেক্ষার পর সুযোগ মেলা মাত্র তারাও বিনা বাক্যব্যয়ে বেরিয়ে পড়লেন সেখানকার উদ্দেশ্যে। তাদের বসিয়ে রেখেই কুমার সম্প্রদায়ের দু’জন অতিসাধারণ মানুষ সুচারুভাবে সম্পন্ন করলো তাদের কার্য! বিস্ময়ে যেন আগত ডাক্তার দু’জনের চোখ বের হয়ে আসার উপক্রম হলো।
সুশ্রুত-র মতোই তারাও একইভাবে কাটাছেঁড়া, জোড়া লাগানো ও ওষুধপথ্য দিলো রোগীকে। পর্যবেক্ষণে রাখলো কিছুদিন। যথাসময়ে গ্রাফট টিস্যুও জোড়া লেগে গেলো সঠিক স্থানে। ১৭৯৪ সালের শুরুর দিকের কথা। অনুসন্ধানী ডাক্তার দু’জন পেশ করলেন তাদের প্রতিবেদন। সেখানে তারা দেখান কুমারদের শল্য বিদ্যার কার্যপ্রণালী। তুলে ধরেন যাবতীয় তথ্যাবলী। রিপোর্ট দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান স্কটও। সে-বছরই সেটি পাঠিয়ে দেন লন্ডনের জেন্টলম্যানস ম্যাগাজিন-এ। উদ্দেশ্য, পুরো বিশ্ব দেখুক এমন মাহাত্ম্যপূর্ণ কাজের ফিরিস্তি।
ঠিকই সেটি নজর কাড়ে বিশ্বের জ্ঞানী-গুণী ডাক্তারদের। তাদের একজন বিখ্যাত ডাক্তার জে সি কাপ্রুর। স্কটের মতো করে কাপ্রুরও এটি চেখে দেখতে চেয়েছিলেন। আর তাই যথাদিনে পরিচালনা করেন একটি পরীক্ষা। ফলাফল- এক ও অভিন্ন! তার পরীক্ষাও সফলতার মুখ দেখেছিল।
সুতরাং, এমন যুগান্তকারী ঘটনার কথা তিনি তার বই “An account of two successful operations for restoring a lost nose from the integuments of the forehead”-এ না লিখে পারেন নি। তুলে ধরেন সবিস্তারে। ফলস্বরূপ, সমগ্র বিশ্ব জানতে পারে এক অত্যাশ্চর্য হারানো বিদ্যার কথা, যা লুকিয়ে ছিল গ্রামের অতিসাধারণ মানুষদের মাঝে, নীরবে-নিভৃতে, ছায়া হয়ে!
বিদ্যার প্রকৃত উৎস সন্ধানে
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সুশ্রুতের সময়কাল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সেসময় তার হাত ধরে রচিত হয় এক চমকপ্রদ গ্রন্থ- সুশ্রুত সংহিতা। এর মাধ্যমে সার্জারি চিকিৎসার ভাগ্যাকাশে উদিত হয় এক নতুন নীল সূর্য। গ্রন্থটি রচনা করেন চিকিৎসক ও দার্শনিক মহর্ষি সুশ্রুত স্বয়ং। বলা হয়ে থাকে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ আগে রচনা করে নি কেউ।
মহর্ষি সুশ্রুত জন্ম ও মৃত্যুকাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে মতপার্থক্যে রয়েছে। কারো মতে তিনি জন্মেছিলেন ১০০০ অব্দের কাছাকাছি সময়ে। কেউ-বা বলেন, খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সাল থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ সালের ভেতরে কোনো এক সময়ে তার বিচরণ ছিলো এই ধরণীতলে।
কয়েকবছর পূর্বে, টাকলামাকান মরুভূমির প্রাচীন এক বৌদ্ধবিহারে ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা এক অতিপ্রাচীন পান্ডুলিপি পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখিত, হিমালয়ের হিমশীতল কুলঘেঁষে বসবাস ও ধ্যানরত জনা দশেক মহান ঋষির একজন ছিলেন এই মহর্ষি। এছাড়াও, পৌরাণিক কাহিনিতে সুশ্রুতকে বর্ণনা করা হয়েছে ঋষি বিশ্বামিত্রের পুত্র এবং ধন্বন্তরীর বংশধর হিসেবে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে ধন্বন্তরী ছিলেন দেবতাদের খুবই কাছের একজন খাস চিকিৎসক।
মহান এই মুনি-ঋষি, দার্শনিক ও চিকিৎসক মহর্ষি সুশ্রুত বেড়ে উঠেছিলেন ভারতের প্রাচীন শহর বেনারসে। সেখানেই কেটেছে তার শৈশব ও তারুণ্য। বিকশিত হয়েছে নানান জ্ঞান, প্রভূত সব প্রতিভা। সুশ্রুত সংহিতায় তিনি শল্যচিকিৎসার পদ্ধতির পাশাপাশি নারীদের প্রসূতিবিদ্যার নানাবিধ সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেছেন। তুলে ধরেছেন মৃত মানুষের অঙ্গ ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে মানবদেহের খুটিনাটি জ্ঞান আহরণের প্রয়োজনীয়তা কথা, বেশ যুৎসইভাবে।
সুশ্রুত সংহিতা বৃত্তান্ত
সার্জারির সংস্কৃত প্রতিশব্দ শল্যচিকিৎসা। যেখানে শল্য শব্দটির অর্থ তীর।খ্রিস্টপূর্ব যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন মানুষজন তীর, ধনুক, বর্শার সাহায্যেই যুদ্ধ করতো। এদের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করতো একে অন্যকে।অর্থাৎ তখনকার যুদ্ধক্ষেত্রের তীরের আঘাত সারিয়ে তুলতে শব্দটির উৎপত্তি হয়। যেখানে থেকে অবতারণা হয় বর্তমান শল্য চিকিৎসার।
সুশ্রুত-র হাত ধরে খ্রিস্টপূর্ব সে সময়ে ভারতবর্ষে এর ব্যাপক উন্নতি ঘটে। প্রচার-প্রসার ঘটে আশেপাশের নানান অঞ্চলে। এসময় সাধারণ কাটাছেঁড়ার পাশাপাশি, চোখের ছানি কাটা, এমনকি বড়সড় থেঁতলে যাওয়া সার্জারিও করতে থাকেন তারা। আর এর সবটুকু কৃতিত্বই যায় সুশ্রুত-র অর্জনের খাতায়। কেননা, এ কাজে তিনিই প্রথম অর্জন করেছিলেন কিংবদন্তীসম বাস্তব জ্ঞান। লিখেন তার মাহাত্ম্যগ্রন্থ- সংহিতা।
দু’টি অংশে বিভক্ত এ গ্রন্থটির প্রথম অংশের নাম পূর্বতন্ত্র, এটি বিধৃত হয়েছে পাঁচটি অধ্যায়ে। পরের অংশ উত্তরতন্ত্র, এটিও ১৪টি অধ্যায়ের সমষ্টি। এছাড়াও, সর্বমোট ছয়টি খন্ডে বিভক্ত হয়ে ১৮৬টি অধ্যায় নিয়ে গঠিত এই মহতীগ্রন্থ।
গ্রন্থটিতে ১,১২০টি সরল-জটিল মেডিকেল কন্ডিশনের বর্ণনা তুলে ধরেছেন সুশ্রুত। দেখিয়েছেন ৭০০টি ওষধি গাছের উপযুক্ত ব্যবহারবিধি। এমনকি খনিজ ও প্রাণীজ উৎসজাত ১২১টি ওষধি দ্রব্যের বর্ণনাও পাওয়া যায় তার এই গ্রন্থে।
শরীরে ছোট-বড় আঘাত, ফ্র্যক্চার, ব্রেন সার্জারি, দাঁতের চিকিৎসা, মুত্রথলির পাথর অপসারণ, হার্নিয়া সারানো, শরীরের একাধিক অঙ্গ কেটে বাদ দেওয়া ছাড়াও আরও অসংখ্য সার্জারির নাড়িনক্ষত্র সম্পর্কে জানাশোনা ছিলো তার। এসবের প্রয়োজনে কখনো নিজ হাতে, কখনো আবার কামারের সাহচর্যে তিনি তৈরি করেছিলেন ১২১ টি সার্জারি উপকরণ।
মূল অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যবহৃত উপকরণগুলোকে তিনি দু-ভাগে ভাগ করেন- সূক্ষ্ম এবং স্থূল। কামারের কাছ থেকেও শিখে নেন কীভাবে এসব যন্ত্রগুলো তৈরি করা যাবে। বইতেও তুলে ধরেন এদের নির্দেশনা। যন্ত্রগুলো হলো–কুশপত্র, উৎপল পত্র, শবরিমুখ কাঁচি, অন্তর্মুখ কাঁচি, মণ্ডলাগ্র সূচিকা প্রভৃতি।
শেষকথা
চিকিৎসা বিজ্ঞানের গগনে আজও চির অম্লান এই গ্রন্থ; যদিও কখন এর আবিষ্কার, তা সঠিকভাবে এখনো জানা যায় নি। তবে, তালপাতার উপর খোদাই করে লেখা এর একটি মূল পান্ডুলিপি এখনো সংরক্ষিত আছে নেপালের কায়সার লাইব্রেরিতে (KL-669)। অষ্টম শতকের গোড়ার দিকে প্রথমবারের মতো আরবি হরফে অনূদিত হয় এই যুগান্তকারী গ্রন্থটি। অতঃপর, মধ্যযুগের শেষাংশে এশিয়া পাড়ি দিয়ে ইউরোপেও পৌঁছে যায় এর নাম, যশ, খ্যাতি। ধারণা করা হয়, সেসময় ইতালিতে শুরু হওয়া রাইনোপ্লাস্টি সার্জারির ধারণা নেয়া হয়েছিল এই গ্রন্থ থেকেই।
১৮৩৫ সালে, সংস্কৃত ভাষায় লিখিত এ গ্রন্থটি প্রথমবারের মতো হিন্দিতে ছাপানো হয়। কলকাতার তৎকালীন বিখ্যাত প্রকাশক মধুসূদন দত্ত বের করেন এর প্রথম সংস্করণ। এছাড়াও রাজন্য কবিরাজ কুঞ্জলাল ভিষকরত্ন ১৯০৭ সাল থেকে ১৯১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে মোট তিন অংশে সুশ্রুত সংহিতার পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ করতে সক্ষম হন। এর ফলে দ্রুতই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে আদিম এই চিকিৎসাগ্রন্থ।
আজও অনেক মুনিঋষিগণ তপস্যার চোখে দেখেন মহান এই চিকিৎসক ও দার্শনিক মহর্ষি সুশ্রুতের জীবনাচরণ। তাঁর রচিত গ্রন্থকেও শ্রদ্ধার চোখে, বিনয়ের সাথে স্মরণ করা হয় সার্জারি অঙ্গনে– তাদের প্রতিটি কাজে, প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতি মুহূর্তে! আর তাই মহান এই চিকিৎসক প্লাস্টিক সার্জারির জনক হয়েই বেঁচে থাকবেন আমাদের মাঝে।
তথ্যসূত্র:
Leave a Reply