অনুবাদ

Anirban Maitra Avatar
  • পরজীবী-আখ্যান : জুয়েল ‘জম্বি’ বোলতা

    পরজীবী-আখ্যান : জুয়েল ‘জম্বি’ বোলতা

    প্রাণীটার বৈজ্ঞানিক নাম Ampulex compressa। সাধারণ নাম জুয়েল ওয়াস্প,বা বাংলা করে বলতে পারি জুয়েল বোলতা। আফ্রিকা এবং এশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকাগুলোয় প্রধানত এর দেখা মেলে। দৈর্ঘ্যে এক ইঞ্চি থেকে সামান্য ছোটো। গায়ে বাহারি রঙ। খটকা লাগতে পারে,এটা কোনো কৃমি না,ভাইরাস না, কোনো ছত্রাকও না; সামান্য একটা বোলতা আবার পরজীবী হয় কীভাবে? আমরা হরদম যেসব বোলতা দেখি,সেগুলো…

  • অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহারের ভয়াবহতা-

    অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহারের ভয়াবহতা-

    যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহারে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিই মূল লক্ষ্য।

  • প্রাণের বিজ্ঞান: একটি ভিন্নধর্মী বই

    প্রাণের বিজ্ঞান: একটি ভিন্নধর্মী বই

    বড় ছুটিতে ছিলাম। ভাবলাম রকমারি থেকে কয়েকটা বই কিনি। যেই ভাবনা সেই কাজ! তিনটে বই অর্ডার দিলাম। তার মধ্যে একটি হলো প্রাণের বিজ্ঞান: সাম্প্রতিক জীববিজ্ঞানের ভাবনা ভাষান্তর। বইটা আসলেই অসাধারণ! শুধু অসাধারণ বললেই তো আর হবে না, কিছু আকর্ষণীয় বিষয়ও তুলে ধরা উচিৎ। বইটি মূলত সমকলীন প্রাণবিজ্ঞান বিষয়ক একগুচ্ছ বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের অনুবাদ-সংকলন। গ্রন্থটির সম্পাদক ও…

  • বিবর্তন কি আমাদের স্বার্থপর করে তোলে?

    বিবর্তন কি আমাদের স্বার্থপর করে তোলে?

    বিবর্তন বিষয়ে একটা প্রচলিত ভুল দৃষ্টিভঙ্গি হলো,বিবর্তন যেহেতু প্রতিযোগিতার কথা বলে তাহলে বিবর্তনের ধারায় প্রাণীদের স্বার্থপর হয়ে উঠবার কথা, অন্য প্রাণীকে সদা শত্রুজ্ঞান করার কথা, তাদের প্রতি সদা সহিংস হয়ে ওঠার কথা। কিন্তু জীবজগতে প্রাণীদের আচার-আচরণ দেখে মনে হয় পারস্পরিক সংযোগ ও নির্ভরশীলতাই যেন তাদের জীবনক্রিয়া পরিচালনার চাবিকাঠি। বিবর্তন কী তবে জীবজগতে কিংবা মানবজগতে সহযোগিতা,সহৃদয়তা,সহানুভূতি…

  • যেভাবে মঙ্গল গ্রহ তার চৌম্বক ক্ষেত্র (ও মহাসাগর) হারালো

    যেভাবে মঙ্গল গ্রহ তার চৌম্বক ক্ষেত্র (ও মহাসাগর) হারালো

    মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ অনুর্বর এবং শুষ্ক। গ্রহটির বরফক্যাপে  কিছু জল  জমাটবাঁধা রয়েছে। সেগুলি সম্ভবত গ্রহটির পৃষ্ঠের নীচে অবস্থিত। কিন্তু আপনি যদি মঙ্গলপৃষ্ঠভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে এর ভূপৃষ্ঠে তীর বা গিরিখাতের মতো গঠন আছে যা পূর্বের ব্যাপক বন্যার অবশিষ্ট প্রমাণ।  বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল ঘন ছিল বলে ধারণা করা…

  • স্টিফেন হকিং এর ভবিষ্যদ্বাণী: কৃষ্ণগহ্বর কি অনন্ত বন্দিশালা?

    স্টিফেন হকিং এর ভবিষ্যদ্বাণী: কৃষ্ণগহ্বর কি অনন্ত বন্দিশালা?

    কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল হলো মহাবিশ্বের এমন একটি এলাকা, যেখানে প্রবল মাধ্যাকর্ষণ বল বিরাজমান। এ বল এতটাই শক্তিশালী যে ওই এলাকা থেকে আলোকরশ্মিও বের হতে পারে না। বিজ্ঞানীদের মতে, বিপুল ভরের কোনো নক্ষত্রের মৃত্যুর পর তা কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হয়। সময়ের সঙ্গে ক্রমেই বৃদ্ধি পায় কৃষ্ণ গহ্বরের (Black Hole) চেহারা। ১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে নিজের গবেষণায়…

  • কোষের শক্তি কোত্থেকে আসে?

    কোষের শক্তি কোত্থেকে আসে?

    মাইটোকন্ড্রিয়া যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে এদের উদ্ভব মাত্র একবার হয়েছে কেন? সুকেন্দ্রীক কোষরাই বা কেন একবার মাত্র বিবর্তিত হয়েছে? নিক লেন ও বিল মার্টিন ২০১০ সালে বৈজ্ঞানিক জার্নাল ন্যাচারে প্রকাশিত নিবন্ধ “The energetics of genome complexity”-তে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সহজ হিসাব-নিকাশ ও চমৎকার যুক্তির মাধ্যমে তারা দেখিয়েছেন প্রাককেন্দ্রিক কোষরা সরলই রয়ে গেছে কারণ…

  • প্রাককেন্দ্রিক জিনেরা সুকেন্দ্রিক জিনোমে কিভাবে কর্মবিভাজন করলো? 

    প্রাককেন্দ্রিক জিনেরা সুকেন্দ্রিক জিনোমে কিভাবে কর্মবিভাজন করলো? 

    [একমেবাদ্বিতীয়ম্ সংযোজন – ৩য়+৪র্থ কিস্তি] বিভিন্ন জীবের জিন সিকোয়েন্স করে (ডি.এন.এ. নিউক্লিওসাইড ক্ষার অণু দিয়ে পর পর কি লেখা আছে তার পাঠোদ্ধার করে) তাদের পারস্পারিক তুলনা করার ভাবনা ১৯৭৭ সালে অণুজীববিজ্ঞানী কার্ল উজের মাথায় আসে। এখন আধুনিক জীববিজ্ঞানে এটা নিত্যদিনের কাজ, তবে সেই সময় বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রজাতির মাঝে বিবর্তনীয় সম্পর্ক আন্দাজ করার জন্য বাহ্যিক-দৈহিক বৈশিষ্ট্যের…

  • সুকেন্দ্রিকদের উদ্ভব কেন অসম্ভব-সম্ভাবনা ছিলো?

    সুকেন্দ্রিকদের উদ্ভব কেন অসম্ভব-সম্ভাবনা ছিলো?

    [একমেবাদ্বিতীয়ম্ সংযোজন – ২য় কিস্তি] সুকেন্দ্রীক-কোষের কিছু অংশ এক সময় অন্তঃমিথোজীবী স্বাধীন অণুজীব হিসেবে ছিলো যারা পরবর্তীতে অন্য কোষের মধ্যে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে নেয় – রাশিয়ান বিজ্ঞানী কনস্ট্যানটিন মেরেস্কোস্কি ১৯০৫ সালে সর্বপ্রথম এ ধারণা দেন। তিনি ভেবেছিলেন নিউক্লিয়াস এভাবে গড়ে উঠেছে, আর সৌরালোক থেকে উদ্ভিদকোষকে শক্তি জোগানো ক্লোরোপ্লাস্টের উদ্ভবও একইভাবে। অন্তঃমিথোজীবির তালিকায় প্রথমে মাইটোকন্ড্রিয়া বাদ…