বিজ্ঞান কল্পগল্প
জাতিস্মর: এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানী অভিযাত্রীর কাহিনী
‘জাতিস্মর’ বইয়ের গল্পের নায়ক ড. জামিল। মোট ১২টি গল্প আছে বইটিতে। ড. জামিল লেখকের সৃষ্ট একজন বিজ্ঞানী, যিনি প্রথাগত বিজ্ঞানচর্চা করেন না। তিনি ভালোবাসেন সত্যজিতের ফেলুদার মতো রহস্য সমাধান করতে আর তার ভালোবাসেন প্রফেসর শঙ্কুর মতো অদ্ভুত অদ্ভুত বৈজ্ঞানিক যন্ত্র উদ্ভাবন করতে। শার্লক হোমসের যেমন একজন শত্রু লেগে থাকে মরিয়ার্টি, তেমনই ড. জামিলের শত্রু আরেক…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: মধ্যরাতের আগন্তুক (শেষ পর্ব)
কোয়াসার গ্রহের নীল মাটিতে সবুজ গাছ পালা, ফলমূল আর ঔষধের বাগান। বড় বড় কাঁচের বিল্ডিং। সব ঘরই ভার্চুয়াল ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। এখানে কলকারখানা, কৃষিকাজ ও অন্যান্য সকল কাজে রোবটের ব্যবহার লক্ষ্য করার মতো। এসব রোবট জৈবিকভাবে অনুপ্রাণিত! তাই এরা মানুষের কথা বুঝতে পারে। নীনা’র মন খারাপ। কারণ তার মানুষ মা ও বাবা সারাদিন অফিসে ব্যস্ত…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: গ্রহাণু
এক. কাজ শেষে বাসায় ফেরা মাত্রই লরা বিছানায় গা এলিয়ে দিলো।নরম তুলতুলে বিছানা শোয়া মাত্র দু-চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে এলো তার। নতুন প্রজেক্টটা নিয়ে প্রচুর খাটাখাটুনি যাচ্ছে তার উপর। শরীরে এক দন্ড বিশ্রাম পাওয়ারও জো নেই। খাটুনি যাবেই বা না কেন, মানুষের বসবাস উপযোগী গ্রহগুলের সন্ধান করা কি মুখের কথা!!! মাঝে মাঝ লরার মেজাজ খারাপ…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: অতিথি
এক. রাত দু’টা। বাসার ছাদের চিলেকোঠায় বসে নানা এলোমেলো ভাবনা ভেবে চলেছি। অনেকদিন ধরেই রাইটার্স ব্লকে ভুগতে থাকায় লেখালেখিটাও একটু নেতিয়ে পড়েছে। তাই নতুন কিছু আইডিয়ার কথাও ভাবছিলাম। আবছা চাঁদের আলোয় কেমন যেন একটা নেশার মতো লাগছে। ছাদবাগানের হাস্নাহেনার মাতাল করা ঘ্রাণ সেই নেশার ঘোরকে যেন আরও বাস্তব করে তুলেছে। সবমিলিয়ে লেখালেখির ভাবনার জন্য চমৎকার…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: ছত্রাক মানুষ
নিকষ কালো রাত। আকাশে কোনো তারা নেই। বাতাস বইছে না। পাতলা কুয়াশার চাদর ঝুলছে চারদিকে। আমরা তখন প্রশান্ত মহাসাগরে। আমাদের ছোট মাছধরা জাহাজটি ঠিক কোথায় আছে তার সঠিক অবস্থান জানি না। সাত দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। এই ছোট জাহাজে আমি ছাড়া আর দুজন নাবিক রয়েছে। তারা ঘুমোচ্ছে। ঘন অন্ধকারের ভেতরে…