কল্পকাহিনী
চাঁদের মাটিতে প্রাণ: বিজ্ঞানের এক আজগুবি গল্পের রহস্য সমাধান
“আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থানরত তরুণ বিজ্ঞানী জন হার্শেল এক বিস্ময়কর আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। অসাধারণ এক টেলিস্কোপের সাহায্যে চাঁদের বুকে খুঁজে পেয়েছেন নানান প্রাণী, সতেজ গাছপালা, নীল সমুদ্রের ম্লান ঢেউ। পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের প্রশ্ন, এরই মাধ্যমে চিরসমাপ্তি হলো।” ১৮৩৫ সাল। নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। আজ থেকে ১৮৮ বছর পূর্বে, দ্য নিউ ইয়র্ক…
অঙ্কিতার ফায অভিযানঃ দি বায়ো-মিসাইল
রাত প্রায় একটা পার হয়েছে। টেবিল ল্যাম্পের আলোয়, রুমের এক কোনায় বসে ক্লান্ত চোখে বিড়বিড় করে কি একটা পড়ছিল, অঙ্কিতা। অঙ্কিতা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, অনুজীববিজ্ঞান বিভাগে, তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছে। তার সেমিস্টার ফাইনাল চলছে, আগামীকাল তার ভাইরাসবিদ্যা বিষয়ের পরীক্ষা। পড়া গুলো একবার শেষ করতে পাড়লেও রিভিশন টা এখনও ভালোভাবে শেষ করতে পাড়েনি। ঘুমও পেয়েছে খুব,…
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী: কলম
১. সকাল থেকেই জাহিদ সাহেবের মনটা ভীষণ খারাপ। শুধু জাহিদ সাহেবই না সেই সাথে মনির সাহেব, মনোয়ার সাহেব এবং জসিম সাহেবেরও মনটা খারাপ হয়ে আছে। অফিসে আসার পর থেকেই তাদের কাজে কোনো মন নেই। একটু পর পর চেয়ার ছেড়ে উঠে তারা অফিসের এক কোনায় গিয়ে কি যেন কানাঘুষা করে। অফিসের অন্যদের চোখে সেটা পড়লেও কেউ…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: মধ্যরাতের আগন্তুক (শেষ পর্ব)
কোয়াসার গ্রহের নীল মাটিতে সবুজ গাছ পালা, ফলমূল আর ঔষধের বাগান। বড় বড় কাঁচের বিল্ডিং। সব ঘরই ভার্চুয়াল ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। এখানে কলকারখানা, কৃষিকাজ ও অন্যান্য সকল কাজে রোবটের ব্যবহার লক্ষ্য করার মতো। এসব রোবট জৈবিকভাবে অনুপ্রাণিত! তাই এরা মানুষের কথা বুঝতে পারে। নীনা’র মন খারাপ। কারণ তার মানুষ মা ও বাবা সারাদিন অফিসে ব্যস্ত…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: অতিথি
এক. রাত দু’টা। বাসার ছাদের চিলেকোঠায় বসে নানা এলোমেলো ভাবনা ভেবে চলেছি। অনেকদিন ধরেই রাইটার্স ব্লকে ভুগতে থাকায় লেখালেখিটাও একটু নেতিয়ে পড়েছে। তাই নতুন কিছু আইডিয়ার কথাও ভাবছিলাম। আবছা চাঁদের আলোয় কেমন যেন একটা নেশার মতো লাগছে। ছাদবাগানের হাস্নাহেনার মাতাল করা ঘ্রাণ সেই নেশার ঘোরকে যেন আরও বাস্তব করে তুলেছে। সবমিলিয়ে লেখালেখির ভাবনার জন্য চমৎকার…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: মধ্যরাতের আগন্তুক (প্রথম পর্ব)
নীলুদের খেলার জায়গাটা নির্দিষ্ট। বাড়ি থেকে দূরের যে জঙ্গল আছে তার মাঝখানে মাঠটা। পাশে একটা ভাঙাচোড়া পোড়া জমিদার বাড়ি। এই বাড়ি আর জঙ্গল নিয়ে এলাকায় নানা ভয়ানক গল্প প্রচলিত থাকলেও সেটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই নীলুদের। বলা যায় দুঃসাহসী একদল বালক এরা। স্কুল ছুটি হলেই বিকালে এই মাঠে ক্রিকেট খেলা ওদের রীতিমত ডাল ভাতের মত ব্যাপার…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: ছত্রাক মানুষ
নিকষ কালো রাত। আকাশে কোনো তারা নেই। বাতাস বইছে না। পাতলা কুয়াশার চাদর ঝুলছে চারদিকে। আমরা তখন প্রশান্ত মহাসাগরে। আমাদের ছোট মাছধরা জাহাজটি ঠিক কোথায় আছে তার সঠিক অবস্থান জানি না। সাত দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। এই ছোট জাহাজে আমি ছাড়া আর দুজন নাবিক রয়েছে। তারা ঘুমোচ্ছে। ঘন অন্ধকারের ভেতরে…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: অন্য জগতে ভিন্ন জগতে
এক. রতন মিয়া পত্রিকা অফিসে কাজ করে। তার কাজ ছোটখাট। চা বানানো, সম্পাদক সাহেবের জন্য সিগারেট এনে দেওয়া, পত্রিকা বিলি করা ইত্যাদি। তার বয়স ৫২। ৫২ থেকে ১৬ বাদ দিলে থাকে ৩৬। ১৬ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। যদিও পুরোটা দিতে পারেনি। এরপর গত ৩৬ বছর ধরে সে চাকরি করে আসছে পত্রিকার। এ চাকরিটা…
বিজ্ঞান কল্পগল্প: অনন্তপথের কথামালা
— রিন, দৃশ্যটা সুন্দর না? — হ্যাঁ, রণ, নতুন নক্ষত্রের সৃষ্টি হচ্ছে। আর কয়েক গ্যাল ইউনিটের মধ্যেই হয়তো আলো ছড়াতে শুরু করবে। — কি মনেহয়? ওই পাশের সোলার সিস্টেমের গ্রহগুলো তো আমাদের গ্রহগুলোর মতোই। পাঁচ নম্বর গ্রহটা আবার মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির পৃথিবীর মতোই। নেমে দেখবে নাকি? — না থাক, কে জানে কেমন ধরনের প্রাণের জন্ম হয়েছে…