জিনতত্ত্ব
করোনার মধ্য দিয়েই কি mRNA ভ্যাক্সিনের বিপ্লব ঘটবে?
ভাইরাস এবং ভ্যাক্সিন এখন বলা যায় “ভয় এবং ভরসা” শব্দ দুইটির সাথে বেশি যায়। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আমরা বুঝতে পেরেছি ভাইরাস যতটা না সহজলভ্য, ভ্যাক্সিন ততটাই মূল্যবান আর কষ্টসাধ্য৷ পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারীর কারণেই গত কয়েক মাসে জনসাধারণ অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছে। যেমন: কোয়ারেন্টাইন বা সঙ্গনিরোধ, লকডাউন, মাস্ক বা মুখোশ পরিধান, সামাজিক দূরত্ব ইত্যাদি।…
পৃথিবীর সব জিনোম-তথ্য নিয়ে আমরা যা করতে পারি
১. যদি আপনি ঠিকমতো খেয়াল করে না থাকেন, গত কয়েক বছরে জিনোমিকসবিদ্যায় অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে। যেমন এখন কোন মানুষের জিনোম পড়ে সেখানে থাকা সকল ভুল সংশোধন করা সম্ভব। শুনতে ভীতিকর মনে হতে পারে, কিন্তু জিনোমিকসের অজস্র রেকর্ড আছে বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীকে বাস্তবে পরিণত করার। ক্যামব্রিয়ান জেনোমিকসের সিইও অস্টিন হেইনজ গর্ব নিয়ে যেমনটা বলেছেন – ‘যা কিছুই…
ভাইরাস কি আসলেই আমাদের ভবিষ্যৎ-সম্ভাবনার দ্বার?
ভাইরাস শব্দটি মূলত আক্রমনাত্মক এবং সংক্রামক স্বভাবেই বেশি পরিচিত। খালি চোখে দেখতে না পাওয়া এই জীবতত্ত্বিক রসায়ন অসংখ্য মৃত্যু এবং অসুস্থতার সাথে জড়িত। একটি ক্ষতিকর ভাইরাস মহামারীর মত প্রতিবেশি, শহর, এমনকি কোন ভৌগলিক এলাকাকে নিদারুণ উদ্ভট আতংকে ফেলতে পারে৷ যার প্রমাণ আমরা এই করোনার কারণে ভালোই উপলব্ধি করতে পারছি৷ আর এই খালি চোখে অদৃশ্য ভাইরাস…
ক্রিসপার ও জিনোম সম্পাদনা
১. এমন যদি হতো জীবন্ত-প্রাণকে কম্পিউটার সফটওয়্যাররের মতো সহজে বদলানো যেতো? তাহলে আমরা খামারের পশু থেকে থেকে পেতাম চর্বিহীন মাংশপিন্ড। প্রকৌশলের মাধ্যমে গাছগাছালি থেকে রসালো ফল অথবা তীব্র জলবায়ুতে টিকে থাকার ক্ষমতা চালু করা যেত। চিকিৎসা গবেষণা বদলে যেত। মানব রোগ বোঝার জন্য আমরা মিউট্যান্ট প্রাণী তৈরি করতাম। কিংবা নতুন ঔষুধ-অণুর উৎস হিসেবে উদ্ভিদ-প্রকৌশল করা…
১০ মিনিটে ক্যান্সার শনাক্তকরণ পদ্ধতি আবিষ্কার
ক্যান্সার শব্দটি শুনলেই এর ভিতরটা কেমন যেন আঁতকে উঠে। কেননা ক্যান্সার হলো পৃথিবীর অন্যতম প্রধান মরণব্যধী। কোন কারণে আমাদের দেহে স্বাভাবিক কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে গেলেই ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়। কোন নির্দিষ্ট একটা জায়গায় ক্যান্সার হওয়ার পর তা ধীরে ধীরে দেহের অন্যত্র ছড়িয়ে পরে। ২০১৫ সাল নাগাদ প্রায় ৯০.৫ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সার রোগে ভোগছে। প্রতিবছর…
ক্রিসপার-শিশুর জন্ম-বিতর্ক : পৃথিবী কি জিনোম-সম্পাদিত শিশুদের স্বাগত জানাবে?
তাদের নাম লুলু ও নানা। প্রকৃত নয়, ছদ্মনাম। ছদ্মনাম দেয়ার উদ্দেশ্য হলো এ দুই নবজাতকের প্রকৃত পরিচয় যাতে গোপন থাকে। কারণ তাদের জন্ম কোন সাধারণ জন্ম নয়, প্রকৃতির উপর বাড়াবাড়ি যেন, বিশ্ববাসীর কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত । লুলু ও নানা পৃথিবীতে জন্ম নেয়া প্রথম শিশু যাদের জিনোম প্রকৃতির হাত থেকে ছিনিয়ে গবেষণাগারে সম্পাদিত করা হয়েছে। হে…
X ক্রোমোসোম এর রহস্য উন্মোচন
ধরুন দুটি আইডেন্টিক্যাল জমজ বোন আছে। আইডেন্টিক্যাল জমজ মানে এরা দুইজন একটিমাত্র জাইগোট থেকে বৃদ্ধি লাভ করেছে। যেহেতু তারা সম্পূর্ণ একই রকম ডিএনএ বিশিষ্ট্য তাই তাদের চুলের রঙ, নাক, হাত, চোখের রঙ সহ প্রায় সব কিছুই হুবুহু একই রকম। কিন্তু আশ্চর্য করা বিষয় হল এদের মাঝে একজন সবুজ আলোর জন্য বর্ণান্ধ কিন্তু অন্যজন স্বাভাবিক। প্রশ্ন…
লিঙ্গ নির্ধারণ পদ্ধতি
কোন দম্পতির ক্ষেত্রে যখন স্ত্রী গর্ভবতী হয় তখন ঐ দম্পতিকে দেখলে সকলের একটি সাধারণ প্রশ্ন হলো “ছেলে হবে নাকি মেয়ে?”। এই প্রশ্নের কারণ হলো, সামাজিক জীবনের অভিজ্ঞতায় আমরা বলতে পারি যে ছেলে বা মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা ৫০/৫০। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে মেয়ে বা ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা কেনই বা ৫০/৫০ হলো? এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে আমাদের…
বেহালা-বাদক, শয়তানের বর কিংবা বংশগতি
নিকোলো প্যাগানিনি পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সংগীতের একটি বিখ্যাত নাম। আঠারোশো শতকের শেষ দিকে ইতালিতে জন্ম নেন তিনি। প্যাগানিনি সমসাময়িক ইউরোপ মাতিয়ে তুলেছিলেন তার বেহালার জাদু দিয়ে। পাশ্চাত্য সংগীতে বেহালা বাজানোর আধুনিক রীতি স্থাপন করেছেন তিনি। তার তৈরি সুর এখনো জনপ্রিয়। বহু বেহালা-বাদকের অনুপ্রেরণা হলেন প্যাগানিনি। অদ্ভূত বিষয় হলো, তার এই সাফল্যের অন্তত আংশিক কারণ ছিলো বংশগতির…