(লেখাটি নিউইয়র্ক টাইমসে কার্ল জিমারের লেখা Most New York Coronavirus Cases Came From Europe, Genomes Show এর ভাবানুবাদ। লেখাটি এই বছর এপ্রিলের ৮ তারিখে লেখা।)
নতুন একটি গবেষণার মতে নিউয়র্কে আক্রান্ত রোগী শনাঙ্ক হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে ফেব্রুয়ারী মাঝামাঝি সময়েই করোনাভাইরাস নিউইয়র্কে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটি ইউরোপের ভ্রমণকারীদের কাজ থেকে ছড়ায়, এশিয়ার কারো থেকে নয়।
হার্ম ভেন বেকেল এর মতে বেশীরভাগ করোনা ভাইরাস ইউরোপিয়ানদের থেকে এসেছে। তিনি মাউন্ট সিনাই-এর ইকান স্কুল অফ মেডিসিনের জিনতত্ত্ববিদ এবং একটি গবেষণাপত্র লিখেছেন যেটা রিভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। (অনুবাদক: গবেষণাটি সায়েন্স জার্নালে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে)
এন ওয়াই ইউ গ্রসম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের আরেক দল গবেষক একই ধরণের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। যদিও তারা ভিন্ন গ্রুপ নিয়ে গবেষণা করেছেন। দুই দলই নিউইয়র্কে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে করোনায় আক্রান্ত মানুষ থেকে ভাইরাস নিয়ে তার জিনোম পর্যবেক্ষণ করেছেন। গবেষণায় দেখানো হয়েছে সবার অজান্তেই ভাইরাসটি ভেতরে ভেতরে সঙ্ক্রমিত হয়েছে। যদি বেশি বেশি টেস্ট করা হতো তাহলে করোনা ভাইরাস ধরা পড়তো।
জানুয়ারির ৩১ তারিখ ট্রাম্প বিদেশী যারা দুই সপ্তাহ আগে চীন গিয়েছে তাদের আমেরিকাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেন। ইটালি শহরগুলোতে লকডাউন শুরু করেছে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এবং মার্চের ১১ তারিখে ট্রাম্প বেশিরভাগ ইউরোপিয়ান দেশ থেকে লোকজন আশা নিষিদ্ধ করে দেন। কিন্তু নিউয়র্কবাসীরা এর আগে থেকেই ভাইয়াসে আক্রান্ত অবস্থায় ফিরে আশা শুরু করে দিয়েছিলেন।
এড্রিয়ানা হেগুয়ে, যিনি এন ওয়াই ইউ টিমের সদস্য তার মতে মানুষজন কেবল অন্যমনস্ক ছিলো। ড হেগুয়ে এবং ড ভেন বেকেল আন্তর্জাতিক ভাইরাস ইতিহাসবিদ। তারা হাজার হাজার রোগী থেকে ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল খুঁড়ে খুঁড়ে ভাইরাস সংক্রমণের ইতিহাস বের করেন।
ভাইরাস কোষে ঢুকে তার মলিকুলার মেশিনারি হ্যাক করে এবং নতুন ভাইরাস তৈরি করে। এই পদ্ধতিটি দ্রুত এবং ভুলপ্রবণ। ফলে নতুন ভাইরাস একটি নতুন মিউটেশন পেতে পারে যা আগের ভাইরাসে নেই। যদি নতুন ভাইরাসটি পোষক থেকে বের হতে পারে এবং অন্য মানুষকে আক্রমণ করতে পারে তাহলে সেই ভাইরাসের বংশধরেও ওই মিউটেশন থাকবে।
ভাইরাসের মিউটেশনের গতিবিধি খেয়াল করতে হলে তার পুরো জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল অর্থাৎ জিনোম সম্মন্ধে জানতে হবে। গবেষকেরা যখন অনেকগুলো ভাইরাসের জিনোমের তথ্য জমা করেন তখন তারা তাদের মধ্যকার মিউটেশন তুলনা করতে পারেন।
কিছু খুবই ক্ষুরধার কম্পিউটার এক পুর্বপুরুষ থেকে কীভাবে মিউটেশনগুলো আসলো তা উদ্ধার করতে পারে। যদি তাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য থাকে তাহলে পূর্বপুরুষ ভাইরাসটি কতদিন আগে বেঁচেছিল তা তারা বের করে ফেলতে পারেন। এর কারণ হলো মিউটেশন একটি নির্দিষ্ট গতিতে হয় অনেকটা মলিকিউলার ক্লকের মতো।
পেন স্টেট ইউনিভার্সটির মাসিয়েজ বনি এবং তার সহকর্মীরা সম্প্রতি এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সার্স কোভ-২ এর উৎস সন্ধান করেছেন। যেখানে কন্সপিরেসি থিওরির মতে ভাইরাসটি ল্যাবে তৈরি হয়েছে সেখানে এই ভাইরাসের জিনোম বলছে এটি বাদুড় থেকে এসেছে।
গবেষকদের মতে সার্স কোভ-২ এর নিকট করোনা ভাইরাস হলো চাইনিজ হর্সশু বাদুড়। কিন্তু নতুন ভাইরাসটি বাদুড় ভাইরাস থেকে আলাদা হয়েছে প্রায় এক যুগ আগে এবং এতে কিছু নতুন কিছু মিউটেশন এসেছে।
ড বনি এর মতে পুর্বপুরুষ ভাইরাসটি থেকে নতুন কিছু স্ট্রেইন উৎপত্তি হয়েছে যা হর্সশু বাদুড়কে আক্রান্ত করেছে এবং কিছু সময় হয়তো অন্য প্রাণীকেও আক্রান্ত করেছে। তার মতে আরও অনেক বৈচিত্র্য আছে এই ভাইরাসের যার নমুনা এখনও সংগ্রহ করা হয় নি। ভুলের মাধ্যমেই (মিউটেশন) কেবল নতুন ভাইরাস সৃষ্টি হয় না। মাঝে মাঝে দুইটি ভাইরাস একই সাথে একটি কোষকে আক্রান্ত করে এবং তাদের ডিএনএ মিশে গিয়ে একটি নতুন ভাইরাসের সৃষ্টি হয়।
ড বনি এর মতে এটা খুবই সম্ভব যে আজ থেকে ১০-২০ বছর আগে হর্সশু বাঁদুরে একটি হাইব্রিড ভাইরাসের উৎপত্তি হয় যা ছিল মানুষকে আক্রান্ত করার জন্যও উপযোগী। পরবর্তীতে এই ভাইরাস পোষকের প্রজাতির বাঁধা পেরিয়ে নতুন পোষকে চলে আসে। তার মতে মাঝে মধ্যে এক দুইটা ভাইরাস এই লটারি জিতে।
জানুয়ারিতে চীনের এবং অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক প্রথম এই ভাইরাসটির জিনোম প্রকাশিত করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত গবেষকরা ৩০০০ এর বেশি জিনোম সিকুয়েন্স করেছে। কিছু জেনেটিক্যালি একই রকম কিন্তু অন্যগুলোতে মিউটেশন রয়েছে। ভাইরাসের বৈচিত্র্যতার তুলনায় ৩০০০ নমুনা সংগ্রহ অতি নগণ্য বলা যায়। এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত প্রায় দেড় মিলিয়ন মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। বাস্তবে হয়তো আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েক মিলিয়ন বেশি হবে। কিন্তু গত কয়েকমাসে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্সিং এর ইতিহাস সম্মন্ধে আরও কিছু বিষয়ে আলো ফেলেছে।
নতুন জিনোম সিকুয়েন্সগুলো গবেষকরা অনলাইন ডাটাবেস GISAID তে আপলোড করছে। Nextstrain নামের প্রজেক্টের মাধ্যমে ভাইরাস বিবর্তন বিশেষজ্ঞরা সিকুয়েন্সগুলো বিশ্লেষণ করছে। তারা এতে ভাইরাসের ফ্যামিলি ট্রি হালনাগাদ করে।
ফ্যামিলি ট্রিতে দেখা যায় বেশিরভাগ ভাইরাসের উৎপত্তি শাখা চীন। Nextsrain এর দল মিউটেশনের হার ব্যবহার করে বের করেছেন সম্ভবত ২০১৯ এর শেষের দিকে কোন প্রাণী থেকে মানুষে প্রথম ভাইরাসটি আসে। ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ চীন জানায় যে উহানে ডাক্তাররা ডজন খানেক রহস্যময় শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা করছে।
জানুয়ারীতে চীনে বিপর্যয় যখন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে, তখন কিছু দেশ তাদের টেস্টের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। তারা তাদের দেশে ভাইরাসের আগমণ শনাক্ত করতে পারে এবং তাদের নিজেদের জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়াকেও তারা শনাক্ত করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রথম টেস্টিং কিট বানাতে দেরী করেছিল এবং প্রাথমিকভাবে তাদের টেস্ট করেছে যারা চীন থেকে এসেছে অথবা যাদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর উৎসর্গ দেখা গেছে। ড হুগয়ে বলেন,
আমাদের টেস্ট না করাটা ছিলো একটা মহা বিপর্যয়।
জানুয়ারির শেষের দিকে কিছু সংখ্যক রিপোর্ট দেখা যায়। কিন্তু এটা স্থানীয় সঙ্ক্রমণ নয় বরং বাহির থেকে এসেছে ভেবে উড়িয়ে দেয়া খুব সহজ ছিলো।
এই ভ্রান্তিতে ধাক্কা লাগে ফ্রেড হাচিন্সন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন এর সহযোগী অধ্যাপক এবং তার সহকর্মীদের মাধ্যমে। তারা নেক্সটস্ট্রেইন ব্যবহার করে দেখান ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে একজন রোগীতে পাওয়া ভাইরাসের মিউটেশন এবং জানুয়ারির ২০ তারিখ ওয়াশিংটনে পাওয়া ভাইরাসের মিউটেশন মিলে যায়। আর ওয়াশিংটনে ভাইরাসের মিউটেশন উহানের ভাইরাসের সাথে মিল ছিলো, এর ফলে ধারণা পাওয়া যায় চীন থেকে কোন যাত্রী এই ভাইরাস নিয়ে এসেছে। এই আবিষ্কারের পর ড: বেডফোর্ড এবং তার সহকর্মীরা করোনাভাইরাস সিকুয়েন্সিং এর নেতৃত্ব দেন। ওয়াশিংটনের আশেপাশের ভাইরাসের আরও জিনোম সিকুয়েন্সিং করার মাধ্যমে তারা ঐ এলাকায় কীভাবে ভাইরাস ছড়িয়েছে সে সম্বন্ধে আরও ভালো ধারণা পান।
ব্রেডফোর্ড বলেন,
আমি নিশ্চিত ডিসেম্বরে এই ভাইরাস আমেরিকাতে ছড়ায় নি। জানুয়ারিতে হয়তো আরও কিছু সংক্রমণ ঘটেছে তবে এটা তত মারাত্মক হয় নি।
আমেরিকার অন্যান্য জায়গায় যখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো বিজ্ঞানীরাও তাদের সিকুয়েন্সিং শুরু করে দিলেন। নিউইয়র্কে মার্চের ১ তারিখে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় এবং কয়েক সপ্তাহ পর হুড়হুড় করে রোগী আসা শুরু করে।
ড হেগুয়ে বলেন,
আমি ভেবেছিলাম, নিউইয়র্কের জন্য আমাদের এটা করতে হবে।
ড হেগুয়ে এবং তার সহকর্মীরা নিউইয়র্কের কিছু ভাইরাসে এমন মিউটেশন পেলেন যেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় নি। ড হেগুয়ে এর মতে এমন পরিস্থিতিতে বোঝা যায় যে নিরবে একটা সংক্রমণ ঘটে গেছে। ড হেগুয়ে অনুমান করলেন ভাইরাসটি কয়েকমাস আগে সংক্রমণ শুরু করেছে।
মাউন্ট সিনাইয়ের গবেষকরা তাদের হাসপাতালে আসা রোগীর ভাইরাস সিকুয়েন্স করা শুরু করলেন। তারা দেখলেন নিউইয়র্কের প্রথম দিকের সংক্রমণকারী ভাইরাসের সাথে পরবর্তীতে সংক্রমণকারী ভাইরাসের মিল নেই।
মাউন্ট সিনাই গবেষক দলের সদস্য এনা সিলভা গনজালেজ-রেইচি বলেন, “দুই সপ্তাহ পর আমরা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত ভাইরাস পেতে শুরু করলাম।”
ড গনাজালেজ-রেইচি এবং তার গবেষক দল খুঁজে পেলেন এই ভাইরাসগুলো ইউরোপে পাওয়া ভাইরাসের মতো হুবুহু একই রকম। তারা বলতে পারে নি কোন বিমানে করে এই ভাইরাসটি নিউয়র্কে এসেছে কিন্তু তারা লিখেছেন এই ভাইরাসটি জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী নিরবে ছড়িয়ে।
মাউন্ট সিনাইয়ের গবেষকরা এখন পর্যন্ত সাত ধরণের লিনিয়েজের ভাইরাস খুঁজে পেয়েছেন যেগুলো নিউয়র্কে বাহির থেকে এসে ছড়িয়েছে। ড ভেন বেকেলের মতে, “আমরা আরও খুঁজে পাবো”।
করোনাভাইরাসে জিনোমও শুরুর দিকে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ছড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। ড ভেন বেকেল ও তার গবেষকদল নিউয়র্কে পাওয়া ভাইরাসের সাথে ওয়াশিংটনে ড ব্রেডফোর্ড ও তার গবেষকদলের পাওয়া ভাইরাসে মিল পেয়েছেন। আলাদা গবেষণায় ইয়েল এর গবেষকরা ওয়াশিংটনের সাথে মিল আছে এমন ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন। এই দুই গবেষণা থেকে এটা পরিষ্কার যে করোনাভাইরাস এক উপকূল থেকে আরেক উপকূল থেকে আরেক উপকূলে কয়েক সপ্তাহ-ব্যাপী ছড়াচ্ছিলো।
নেক্সাস স্ট্রেইন গবেষণা দলে কর্মরত কম্পিউটার বায়োলজিস্ট সিডনি বেল সতর্ক করে দেন, মানুষজন যাতে নিজেরা যাতে এই নতুন মিউটেশন এতটা না পড়ে। ড বেল বলেন,
কোন জিনিস আলাদা হলেই তা গুরুত্বপূর্ণ হবে এমন কোন মানে নেই
মিউটেশন নিজেই নিজেই ভাইরাসকে নতুন ও ভয়ঙ্কর স্ট্রেইনে পরিণত করে না। তারা প্রায়ই কোন পরিবর্তন আনে না। ড বেল বলেন,
(ভাইরাসের) মিউটেশন হবেই এবং একটা একঘেয়ে একটা বিষয়। কিন্তু মুভিতে মিউটেশনের ফলে আপনি এক্স-ম্যান পান
জন হপকিন্স এপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরির মলিকিউলার বায়োলজিস্ট পিটার থিয়েনের মতে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া হলো অনেকটা খোলা মাঠে ডেন্ডেলিয়নের বীজের ছড়িয়ে পড়ার মতো। ফুল বেড়ে উঠে এবং নিজের বীজ তৈরি করে। সেই বীজ আবার ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন গাছ গজায়। মাঠ ভরে উঠতে উঠতে কয়েক জেনারেশনে নতুন মিউটেশনের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ড থিয়েন বলেন,
কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত ডেন্ডেলিয়নই থাকে
করনোভাইরাসের মিউটেশন নতুন লিনিয়েজ সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা ভাইরাস কীভাবে কাজ করে তার উপর কোন প্রভাব ফেলে না। যেসব বিজ্ঞানী ভ্যাক্সিন নিয়ে কাজ করছেন এটা তাদের জন্য খুশির সংবাদ। ভেক্সিন ডেভেলাপাররা কোভিড-১৯ এর সাথে লড়াইয়ের জন্য আমাদের শরীরকে এন্টিবডি তৈরি করা শেখাতে চান যা ভাইরাসকে আটকিয়ে কোষে প্রবেশ রোধ করবে।
কিছু ভাইরাস এতো তাড়াতাড়ি বিবর্তিত হয় যে তাদের এমন ভ্যাক্সিনের দরকার হয় যা ভিন্ন ধরণের এন্টিবডি তৈরি করতে পারে। কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন নয়। অন্যান্য করোনাভাইরাসের মতো এর মিউটেশনের হার অনেক ভাইরাসের (যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা) তুলনায় কম।
করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কঠিন এবং এর মিউটেশন থেকে বোঝা যাচ্ছে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। অবশ্যই করোনাভাইরাস যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষকে আক্রান্ত করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিউটেশন করতে থাকবে। এমন হতে পারে ভাইরাসের সাথে তাল মেলানোর জন্য ভ্যাক্সিন পাল্টাতে হবে। তাই বিজ্ঞানীদের এই ভাইরাসের সঙ্ক্রমণের ইতিহাসের উপর নজর রাখতে হবে।
Leave a Reply