
গড়গড়ার মাধ্যমে ভাইরাস ধুয়ে ফেলার বিজ্ঞান
—
লিখেছেন
—
লিখেছেন
শ্বাসতন্ত্রের যেসব ভাইরাস সাধারণ সর্দি, ঠান্ডা অথবা আরো মারাত্মক উপসর্গের জন্য দায়ী তারা মূলত নাক ও মুখ দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। নাক ও মুখের গভীরে এই অংশকে ফ্যারিংক্স বলে যেটির সবথেকে উপরের অংশ ন্যাসোফেরিংক্স (নাকের গভীরের অংশ), এরপর অরোফেরিংক্স (মুখ গহ্বর এর ভিতরে) এবং হাইপোফেরিংক্স ( অরোফেরিংক্স এর আরো খানিকটা নীচে)। অন্যান্য ভাইরাসের মতো […]
—
লিখেছেন
কোভিড-১৯ প্যানডেমিকের জন্য দায়ী সার্স-কভ-২ ভাইরাস শনাক্তকরণে বিশ্বব্যাপী রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টেজ পলিমারেজ চেইন রিয়াকশন (RT-PCR) ব্যবহার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য রোগীর নাক বা গলার ভিতর থেকে নমুনা নেয়া হয় যার মধ্যে সক্রিয় ভাইরাস বিদ্যমান। এই নমুনা ল্যাবে এনে পরীক্ষায় কয়েকটি ধাপ রয়েছে। প্রথমে নমুনার ভাইরাস থেকে এর জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল বা RNA বের করে আনা। এরপর বেশ […]
—
লিখেছেন
আগের পর্বে আমরা নিউটনের গতিসূত্র কীভাবে আসলো, সূত্রগুলো কখন খাটে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা এটা দেখেছি যে নিউটনের সূত্রগুলো একটা বিশেষ ফ্রেমে খাটে, যাদের ইনারশিয়াল ফ্রেম বা গ্যালিলিয়ান ফ্রেম বলা হয়। আজকে আমরা এই বিশেষ ফ্রেম নিয়ে সবিস্তর আলোচনা করবো। আর এর সাথে আমরা আজকে স্পেসটাইম ডায়াগ্রামের সাথে পরিচিত হবো। ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স সিরিজের শেষের […]
—
লিখেছেন
আপনার কোভিড-১৯ এর উপসর্গ বিদ্যমান। টেস্ট করালেন। রিপোর্ট হাতে পেয়ে দেখলেন রিপোর্ট নেগেটিভ। নিঃসন্দেহে খুশি হবেন। খুশিতে বাড়ি ফিরে নির্দ্বিধায় জড়িয়ে ধরলেন প্রিয়জনদের। দূরত্ব বজায় রেখে চলার প্রয়োজন বোধ করলেন না। দিনকয়েকের মধ্যেই আপনার প্রিয়জনদের উপসর্গ দেখা দিল এবং তাদের টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ আসলো! আপনি আসলে করোনা আক্রান্ত হবার পরেও রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছিল, এটাকেই বলা […]
—
লিখেছেন
ভাইরাস সম্পর্কে প্রথমেই যেটা বুঝতে হবে তা হলো, এরা নির্জীব। এদের মধ্যে জীবন্ত কোষের খুব কম বৈশিষ্ট্যই উপস্থিত। এদের একটা প্রোটিনের আবরণী আছে সত্যি, কিন্তু এর ভেতরে না আছে কোন নিউক্লিয়াস, না আছে পাওয়ারহাউস মাইটোকন্ড্রিয়া, নেই কোন রাইবোজম। এসব ছাড়াও ভাইরাস কিন্তু ঠিকই তার বংশগতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে পারে। তাই এদের আবরনীর ভেতরে […]
—
লিখেছেন
কোভিড-১৯ যখন বিশ্বব্যাপী তার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য বিস্তার করে চলেছে, সে সময় চিকিৎসক, নার্সদের পাশাপাশি বিজ্ঞানীরাও বসে নেই। তারাও জানার চেষ্টা করছেন সার্স-কভ-২ (SARS-CoV-2) ভাইরাসের নানা দিক। সারা বিশ্বে জৈবপ্রযুক্তি অত্যন্ত গতিশীল হওয়াতে অল্প সময়ের ভিতর দেশে দেশে রোগীদের কাছ থেকে পাওয়া ভাইরাস এর জেনোম সিকোয়েন্সিং করে তা সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে […]
—
লিখেছেন
আমরা স্কুলে ক্লাস নাইনে ওঠার পরপরই নিউটনের গতিসূত্রের সাথে পরিচিত হই। ১৬৮৭ সালে প্রকাশিত Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica বইতে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন তিনটি গতিসূত্র প্রকাশ করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি ঘটনা। নিউটনের তিনটি গতিসূত্রই মূলত বিন্দু ভর (point mass) এর জন্য। বিন্দু ভর মানে এর কোন সাইজ নেই, এটি একটি বিন্দু যার ভর […]
—
লিখেছেন
শুরুতে ছোট বেলার একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মনে হলো, তখন গ্রামে থাকতাম। সম্পর্কে দাদী হতেন, উনি স্বাস্থ্যসেবাতে কাজ করতো। তো আম্মা বলেছিলো সেই দাদী সবাইকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। কথাটা শুনে লোভে মনটা আকুপাকু করতে লাগল। পরে আম্মুর হাঁটার আগে আমি দৌঁড়ে দৌঁড়ে সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখি সেখানে আমার মতো অনেক কমবয়সীরা কান্না করছে। উনি আদর করত […]
—
লিখেছেন
জীবাণুর সংক্রমন হলে আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নানা ভাবে তা ঠেকাতে চেষ্টা করে। এর ভিতর সবথেকে বেশী আলোচিত নাম এন্টিবডি। এন্টিবডি সাধারন ভাবে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে পরাজিত করে শরীরের সুস্থতা নিশ্চিত করে এবং দীর্ঘমেয়াদে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। এন্টিবডির আরো কিছু ব্যবহার রয়েছে যেমন ঔষধ হিসাবে এবং রোগ সনাক্তকরণ সরঞ্জামের গুরুত্বপূর্ন উপাদান হিসাবে। কিন্তু কোন কোন […]