
মস্তিষ্কে ওষুধ পৌঁছে দিবে বিড়ালের মলে থাকা পরজীবী
—
লিখেছেন
—
লিখেছেন
আমাদের রক্ত সংবহনতন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যে একটি বাঁধ আছে। একে ব্লাড-ব্রেইন ব্যারিয়ার (Blood-Brain Barrier) বলা হয়। এটি রক্ত থেকে অবাঞ্চিত কোনো কিছু মস্তিষ্কে প্রবেশ করা থেকে বাধা দেয়। যেমন রক্তে যদি কোন জীবাণু, বড় অণু কিংবা পানিআকর্ষী অণু ইত্যাদি থাকে, তাদেরকে আটকে দেয় এই ব্লাড-ব্রেইন ব্যারিযারটি। মস্তিষ্ক আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ হওয়ায় তার সুরক্ষার জন্যই […]
—
লিখেছেন
শুরু করি একটি মজার তথ্য দিয়ে। আমাদের বায়ুমণ্ডল কতখানি উঁচু পর্যন্ত বিস্তৃত? ঘনত্বের হেরফের হবে, তবে ভূমি থেকে প্রায় দশ হাজার কিলোমিটার উঁচু পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলের বিস্তার। দশ হাজার কিলোমিটার কিন্তু অনেক বড় একটি দূরত্ব। আপনি যদি দিনে মাত্র ছয় ঘণ্টা ঘুমিয়ে, বাকি এক মুহূর্তও নষ্ট না করে, কোন বিশ্রাম না নিয়ে খুবই দ্রুতগতিতে হাঁটতে থাকেন, […]
—
লিখেছেন
বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর বেশিরভাগ রহস্য হয়তো সমুদ্রেই লুকিয়ে আছে। রহস্যের ডেরা সমুদ্রের প্রানিকুলও যেন বিচিত্র সম্ভার। সমুদ্রের গভীরে ঠিক কত প্রজাতির প্রাণী আছে তার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। ভবিষ্যতেও জানা যাবে কিনে সন্দেহ। যতদূর জানা গেছে সে সংখ্যাটাও নগণ্য। মনে করা হয়, সমুদ্রের এক শতাংশ প্রাণী সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষাকারী […]
—
লিখেছেন
কখনো কি পুরনো মৃত গাছের পড়ে থাকা গুড়ি বা কান্ডে হয়তো হলুদ রঙের ছোপ চোখে পড়েছে আপনার? কাছে গিয়ে দেখলে মনে হবে ছত্রাক পড়েছে। এদের অনেকেই স্লাইম মোল্ড পরিবারের সদস্য। দেখতে অপ্রয়োজনীয় ছত্রাক মনে হলেও এরা বুদ্ধিমত্তার প্রচলিত সংজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে। স্লাইম মোল্ড পরিবারের সবচেয়ে আলোচিত সদস্য বোধ হয় ফাইসারাম পলিসেফালাম (Physarum polycephalum)। আলোচিত হবেই […]
—
লিখেছেন
২৭ অক্টোবর, ১৯৫৪ সাল। স্টেডিও আর্টেমিও ফ্রাঞ্চি স্টেডিয়াম। ফ্লোরেন্স, ইতালি। হ্যালোউইন উৎসবের তখনও দিন চারেক বাকি। এরইমধ্যে চমৎকার এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে তৎকালীন দুই পরিচিত ক্লাব–ফিওরেন্টিনা ও পিস্তোইয়েস। উৎসব আর উৎকণ্ঠার আমেজমাখা মুহূর্তে উত্তেজনা বিরাজ করছিল চরম আকারে। জনা হাজার দশেক দর্শকের চিৎকার আর চেঁচামেচিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটি যেন আরো জমজমাট হয়ে উঠেছিল। গুটি গুটি […]
—
লিখেছেন
আল্টিমা থুল (Ultima Thule), যেন এক স্বর্গরাজ্য। পৃথিবীর সর্বোচ্চ উত্তরে যার অবস্থান। উষ্ণতা যেখানে দুর্লভ, আলো যেখানে অপ্রতুল, বছরজুড়ে তুষারপাত এবং প্রচণ্ড শক্তিশালী ঝড় যেখানে নিত্যসঙ্গী। শতাব্দী ধরে কিংবদন্তিরা যেখানে অভিযান চালাতে চেয়েছে। অন্ধকারের কুয়াশা আর হিমশীতল বরফের ঘূর্ণিঝড়ের ওপারে আলোর আভাসের সন্ধানে অভিযানে বের হয়ে মারা গেছে সহস্র মানুষ। শীতল বরফের আলিঙ্গন একীভূত করেছে […]
—
লিখেছেন
বাংলাদেশে বেশ কিছু বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন রয়েছে। আর সেই ভান্ডারেই অন্যতম সংযোজন ছিল বিজ্ঞান প্ল্যাটফর্ম ‘ট্যকিয়ন’ এর বিশেষ ম্যাগাজিন। জুলাই সংখ্যার এই ম্যাগাজিনটিতে ছিল গবেষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও বিজ্ঞানকর্মীদের টুকটাক লেখনি ও প্রবন্ধ। কেমন লাগলো এই ম্যাগাজিন? চলুন, ম্যাগাজিনের ভেতরে ডুব দেওয়া যাক এবং দেখে নেওয়া যাক ভালো-মন্দ! ম্যাগাজিন পরিচিতি ম্যাগাজিনটিতে মূলত জ্যোতির্বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, […]
—
লিখেছেন
এক সময়ে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াতো এমন সব প্রাণীরা, যাদের কোন মস্তিষ্ক ছিলো না। এমন একটি প্রাণী ছিলো অ্যাম্ফিওক্সাস। এদেরকে হঠাৎ দেখলে মনে হবে ক্ষুদ্র কোন কীট মনে হবে। তবে ভালোভাবে খেয়াল করলে এর দেহের দুই পাশে মাছের গিলের মতো চিড় দেখা যাবে। ৫৫০ মিলিয়ন বছর আগে অ্যাম্ফিওক্সাস সমুদ্রে ঘুরে বেড়াতো। নিজেদেরকে সামনে ঠেলে দিয়ে এরা […]
—
লিখেছেন
আর্কটিক বা উত্তর মহাসাগর (Arctic Ocean) পৃথিবীর জলবায়ুর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর একটি। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর ফলে পৃথিবীতে সামান্য যেই কয়টি জায়গা বড় পরিসরে ঝুঁকির মুখে আছে, আর্কটিক মহাসাগর সেই তালিকায় একদম উপরে থাকবে। শুধু বিগত পঁয়ত্রিশ বছরেই আর্কটিক মহাসাগর প্রায় বিশ লক্ষ বর্গকিলোমিটার বরফের আস্তরণ হারিয়েছে [1] যা কিনা গত […]